বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
রাজধানীতে পঙ্গু হাসপাতালে আগুন পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে ইইউর সহায়তা চাইলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা রমজান শেষ না হওয়া পর্যন্ত পণ্যের শুল্কে পরিবর্তন আনবে না সরকার অংশীজনরা কী চান তার ওপর নির্ভর করবে নির্বাচন কবে হবে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া ২ লাখ ৩৮ হাজার বেকারের কর্মসংস্থান করবে বেজা খালেদা জিয়াকে বার্তা পাঠিয়ে যা বললেন জিএম কাদের ইসলামী ব্যাংকের ইন্টার্নশিপ প্রোগ্রাম উদ্বোধন এলএনজি ও চাল আমদানি, ব্যয় ১০২৭ কোটি ৮০ লাখ টাকা নাঈমুল ইসলাম খান ও তার পরিবারের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে বিমসটেক সেক্রেটারি জেনারেলের সাক্ষাৎ প্রথমবারের মতো দেশব্যাপী হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা কবে নাগাদ সব শিক্ষার্থী পাঠ্যবই পাবে জানি না: শিক্ষা উপদেষ্টা ট্রাইব্যুনালের মূল ভবন উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি পুলিশে চাকরি পাচ্ছেন জুলাই বিপ্লবে আহত ১০০ জন জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় শুনানি মুলতবি সচিবালয়ের গেটে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ পাঁচ মাসে আর্থিক স্থিতিশীলতায় খুব বেশি খুশি নয় বাংলাদেশ ব্যাংক জুলাই অভ্যুত্থান নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে ৮ পরিচালক নির্বাচিত

প্রতিদিন শিশুটিকে পুলিশ সদস্যই বাসে তুলে দিতেন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ৬ জুন, ২০১৬
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, চট্রগ্রাম: পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিন সকালে এসে বাচ্চাটিকে স্কুলবাসে তুলে দিতেন। গত শনিবার রাতে তাঁকে ফোন করা হয়নি। এ জন্য রোববার তিনি আসেননি। ফলে মা মাহমুদা খানমের সঙ্গেই কাল বাসা থেকে বের হয়েছিল সে। পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা যায়।

বাবুল আক্তারের বাসার নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন পুলিশের কনস্টেবল সাদ্দাম হোসেন। বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম খুন হওয়ার খবর শুনে সাদ্দাম ছুটে যান ওই বাসায়। শিশুটিকে কোলে নিয়ে কাঁদতে থাকেন তিনি। চিৎকার করে বলতে থাকেন, কেন তাঁকে ফোন করা হয়নি। কেন ভাবি (মাহমুদা) তাঁকে আসতে বললেন না।

সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘শনিবার সন্ধ্যায় ওই বাসা থেকে পুলিশ লাইনে গিয়েছি। শনিবার রাতে কেন ভাবি আমাকে ফোন করলেন না। সকালেও কেন জানালেন না। আমি যদি আসতাম তাহলে হয়তো ভাবি বেঁচে যেতেন। আজ সকালে আমি কেন বাসায় আসলাম না…।’

মাহমুদা খানমের এমন মৃত্যুর জন্য নিজেকে কিছুতেই ক্ষমা করতে পারছিলেন না এই পুলিশ সদস্য। অন্যরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁর কান্না থামছিল না। সকাল নয়টার দিকে তিনি যখন আক্ষেপ আর আহাজারি করছিলেন, এর দুই ঘণ্টা আগে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ও গুলিতে খুন হন মাহমুদা খানম। ঘটনাস্থল থেকে ওই বাসার দূরত্ব বড়জোর ১০০ গজ।

চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনারের দায়িত্বে ছিলেন বাবুল আক্তার। পুলিশ সুপার হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার তিনি ঢাকায় পুলিশ সদর দপ্তরে যোগ দেন।

তাঁর স্ত্রী দুই সন্তানকে নিয়ে থাকতেন চট্টগ্রামে। স্ত্রী নিহত হওয়ার পর সকাল সাড়ে ১০টায় র‍্যাবের হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে নামেন তিনি। সেখান থেকে সহকর্মীরা তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যান। তাঁকে জানানো হয় স্ত্রী মাহমুদা গুরুতর অসুস্থ।

কিন্তু সহকর্মী ও স্বজনদের কাঁদতে দেখে বাবুল আক্তার বুঝতে পারেন, তাঁর স্ত্রী আর নেই। জঙ্গি দমনে সাহসিকতার পরিচয় দেওয়া এই পুলিশ কর্মকর্তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না সহকর্মীরা।

বাংলা৭১নিউজ/এসকে

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com