শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:২৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

কাদের থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে, ফখরুল ঘোরেন বউয়ের গাড়িতে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ১৩৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ওবায়দুল কাদের, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি। এছাড়াও সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী তিনি। অথচ রাজধানীতে তার কোনো বাড়ি বা ফ্ল্যাট নেই। থাকেন স্ত্রীর বাড়িতে। আর রাজনীতিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মহাসচিব সাবেক মন্ত্রী মির্জা ফখরুল ইসলামের নিজস্ব কোনো গাড়ি নেই। স্ত্রীর দেয়া গাড়ি ব্যবহার করেন তিনি। রাজনীতির দুই মেরুর এই দুইজনই স্ত্রীর দ্বারস্থ। মির্জা ফখরুল একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ এবং ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসন থেকে নির্বাচন করছেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য জমা দেয়া হলফনামা থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের দুজনের হলফনামা পর্যালোচনা করে জানা গেছে, ওবায়দুল কাদেরের সম্পদ স্ত্রীর চেয়ে বেশি। তার স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- উত্তরায় অর্জনকালীন সময়ের ৫০ লাখ ৭৯ হাজার ৬০০ টাকা মূল্যের অকৃষি জমি এবং পৈতৃক সম্পত্তি হিসেবে ৬০ শতাংশ অকৃষি জমি। ওবায়দুল কাদেরের নিজস্ব কোনো বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট নেই। স্ত্রীর অর্জনকালীন সময়ের ১৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা মূল্যের এক হাজার ৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট আছে।

মামলাসংক্রান্ত বিষয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন- বর্তমানে তার নামে কোনো ফৌজদারি মামলা নেই। অতীতে ১২টি মামলা দায়ের হয়েছিল। অব্যাহতিমূলে ৯টি নিষ্পত্তি এবং ৩টিতে খালাস পেয়েছেন।

আয়ের স্থানে তিনি উল্লেখ করেছেন- বাড়িভাড়া/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে আয় ১৩ লাখ ৬৮ হাজার টাকা, পেশা (শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন, পরামর্শক ইত্যাদি) থেকে ১২ লাখ ৬০ হাজার, বই লিখে আয় চার লাখ ৮৯ হাজার ৬৫১ টাকা। ৩১ লাখ ১৭ হাজার ৬৫১ টাকা। মাসিক গড় আয় দুই লাখ ৫৯ হাজার ৮০৪ টাকা ২৫ পয়সা।

স্ত্রীর আয় আসে বাড়িভাড়া/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে; বছরে আয় দুই লাখ ৬৬ হাজার ৪৩৬ টাকা, ব্যবসা থেকে আয় তিন লাখ ৯৩ হাজার ২৬০ টাকা, অন্যান্য আয় দেখিয়েছেন- তিন লাখ ৯৬ হাজার ৫১৯ টাকা।

ওবায়দুল কাদেরের অস্থাবর সম্পদের মধ্যে তার নিজের নগদ টাকা আছে ৫৫ হাজার টাকা। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ৭৪২ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ এক কোটি ২৪ লাখ ২১ হাজার। ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে। আর এক লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের ২৫ তোলা স্বর্ণ আছে। তিনি উপহার পাওয়া মোবাইল ব্যবহার করেন। নিজের নামে আট লাখ ৭৫ হাজার টাকার আসবাবপত্র আছে।

স্ত্রীর হাতে নগদ ৫০ হাজার টাকা আছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ২৬ লাখ ৩৪ হাজার ৬১১ টাকা। পোস্টাল, সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্রে বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ ৫৫ লাখ ৯ হাজার ৮৪৫ টাকা, ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি নেই। এক লাখ টাকা মূল্যের ২০ তোলা স্বর্ণ আছে। ১২ হাজার টাকার টিঅ্যান্ডটি ও মোবাইল আছে। আছে এক লাখ টাকার আসবাবপত্র।

অন্যদিকে স্ত্রীর ১৭ লাখ ৫৮ হাজার ১৪০ টাকা দামের একটি গাড়ি দানসূত্রে ব্যবহার করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া স্ত্রীর ব্যাংক-ব্যালেন্স তার চেয়ে বেশি।

হলফনামা অনুযায়ী, ফখরুলের নগদ ৪২ লাখ ৭১ হাজার ও ব্যাংকে এক লাখ ৪৩ হাজার টাকার মতো রয়েছে। তবে স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২১ লাখ ৭২ হাজার ৮৭০ টাকা রয়েছে। হলফনামায় ফখরুল তার আয়ের উৎস উল্লেখ করেন শিক্ষকতা, চিকিৎসা, আইন ও পরামর্শক। এই চার খাত থেকে তিনি বছরে সর্বোচ্চ ছয় লাখ টাকা আয় করেন। এছাড়াও ফখরুল কৃষিখাত থেকে ৯৯ হাজার ৫০০, মার্কেটের ফার্মের শেয়ার থেকে এক লাখ ২৫ হাজার ৯৪৭, শেয়ার বাজার ও ব্যাংক আমানত থেকে এক লাখ ৪১ হাজার ১৮১ টাকা, দি মিজার্স প্রাইভেট লিমিটেড থেকে এক লাখ ৬২ হাজার টাকার সম্মানী, ব্যাংকসুদ থেকে দুই হাজার ৮০৫ টাকা আয় করেন।

অতীতে ৩৮টি এবং বর্তমানে ৭টি ফৌজদারি মামলার আসামি তিনি। এর মধ্যে ১৪টি মামলার চার্জ গঠন ও শুনানি চলছে। হলফনামায় তিনি ৪৫টি মামলার কথা উল্লেখ করেন যার অধিকাংশ, নাশকতা, ভাঙচুরের হুকুম দেয়ার। ১৪টির কার্যক্রম চললেও বাকি মামলাগুলোর কার্যক্রম হাইকোর্ট স্থগিত করেছেন, কয়েকটিতে অব্যাহতি পেয়েছেন।

আগামী ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোট। এ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ছিল ২৮ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২ ডিসেম্বর। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৯ ডিসেম্বর আর প্রতীক বরাদ্দ ১০ ডিসেম্বর।  সৌজন্যে: সিরাজুজ্জামান , জাগোনিউজ।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com