সোমবার, ২৬ মে ২০২৫, ১২:৪৬ পূর্বাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
‘আগামী বছরের জুনের পর এক ঘণ্টাও ক্ষমতায় থাকবেন না ড. ইউনূস’ ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন হতে হবে, মান-অভিমানের সুযোগ নেই সবাই একসঙ্গে বসায় মনে সাহস পেলাম: প্রধান উপদেষ্টা সচিবালয়ে আন্দোলনের মধ্যেই সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ জারি ১২ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হবে কোরবানির চামড়ার সর্বনিম্ন দাম ১১৫০ টাকা, ঢাকায় ১৩৫০ টাকা দ্বন্দ্ব-সংঘাত ছেড়ে ঐকমত্যের পথ ধরুন, আরেকটা সরকার গঠন প্রায় অসম্ভব ধ্বংস প্রায় প্রকৃতিকে ফিরিয়ে আনতে হবে: রিজওয়ানা হাসান দুই ছাত্র উপদেষ্টা গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি, এনসিপির নয় : হাসনাত নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণ ব্যতীত সংস্কার কার্যক্রমের অগ্রগতির সুযোগ নেই

সেই পাপিয়ার চার বছরের কারাদণ্ড

বাংলা৭১নিউজ ঢাকা:
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
  • ১৪ বার পড়া হয়েছে

যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়াকে অর্থপাচারের মামলায় চার বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

আজ রবিবার এ রায় ঘোষণা করেন ঢাকার ৮ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মঞ্জুরুল হোসেন।

পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী, পাপিয়ার সহযোগী সাব্বির খন্দকার, শেখ তায়িবা নূর ও জুবায়ের আলমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তারা খালাস পেয়েছেন।

পাপিয়ার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, চার বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি পাপিয়াকে ৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

এর আগে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর পাপিয়া ও তার স্বামী সুমনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হয়। পরে উচ্চ আদালত থেকে পাপিয়া জামিনে কারামুক্ত হন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী শাখাওয়াত উল্লাহ ভূঁইয়া।

অসুস্থতার কারণে আজ রবিবার পাপিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী সময় চেয়ে আবেদন করলে তা নামঞ্জুর করেন বিচারক। অপর চার আসামির মধ্যে জুবায়ের শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। জামিনে থাকা অন্য তিনজন আদালতে হাজির হন।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফজলুর রহমান বলেন, “আদালত পাপিয়ার জামিন বাতিল করেছে। তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন।”

নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়।

পরে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। সেসময় তাদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, দুই লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ১১ হাজার ৪৮১ ডলার, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের কিছু মুদ্রা এবং দুটি ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়।

পরে পাপিয়ার ফার্মগেইটের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০টি গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং বিভিন্ন ব্যাংকের ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ড উদ্ধারের কথা জানায় র‌্যাব। অভিযান চালানো হয় পাপিয়ার নরসিংদীর বাড়িতেও ।

র‌্যাবের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেল ভাড়া নিয়ে ‘অসামাজিক কার্যকলাপ’ চালিয়ে যে আয় করতেন, তা দিয়ে হোটেলে বিল দিতেন কোটির টাকার উপরে।

গ্রেফতারের পর পাপিয়া ও তার স্বামীর বিরুদ্ধে শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনে দুটি মামলা করে র‌্যাব। বিমানবন্দর থানায়ও তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইন-১৯৭৪ এর অধীনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। আর গুলশান থানায় মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনে সিআইডি আরেকটি মামলা করে। পরে দুদক পাপিয়ার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে।

গুলশান থানার অর্থপাচার মামলায় পাপিয়াসহ পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে ২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডির পরিদর্শক ইব্রাহীম হোসেন।

এরপর ২০২২ সালের ২১ অগাস্ট তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করে আদালত। মামলার বিচার চলাকালে ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রোববার রায় ঘোষণা করলেন বিচারক।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
© All rights reserved © 2018-2025
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com