বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
যাত্রাবাড়ীতে বিপন্ন প্রজাতির হনুমান পাচারের সময় গ্রেপ্তার ২ ব্যারিস্টার আরমানের স্ত্রীকে হেনস্তা করিয়েছিলেন টিউলিপ: রিপোর্ট কামরুল-পলকসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেফতার বেনজীরের স্ত্রী ও মেয়ের আয়কর নথি জব্দের আদেশ ভৈরব থানার লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার অবশেষে মায়ের বুকে ছেলে পোষ্য কোটা বাতিলসহ ৯ দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের অনশন বাঘাবাড়ী নৌবন্দর নাব্য সংকট, ভিড়তে পারছে না জাহাজ নিয়োগ দুর্নীতি : ওয়াসার তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা নির্বাচন সংস্কারে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের ১১ প্রস্তাব লন্ডনে পৌঁছেছেন খালেদা জিয়া ট্রাম্পের মানচিত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন অঙ্গরাজ্য কানাডা ২০২৪ সালে সড়কে নিহত ৭ হাজারের বেশি : রোড সেফটি ফাউন্ডেশন সিরিয়ার কুর্দি যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অভিযানের হুমকি তুরস্কের টিসিবির নতুন চেয়ারম্যান ব্রি. জেনারেল ফয়সাল আজাদ একনেকে ৪ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন ঢাকায় ছিনতাই বেড়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করলেন ডিএমপি কমিশনার বিডিআরের নিরপরাধ সদস্যদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রায় পুলিশের বাধা রায়েরবাজারে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার ফেলানীর পরিবারের দায়িত্ব নিলেন আসিফ মাহমুদ

নির্বাচনে সেনাবাহিনী যেভাবে দায়িত্ব পালন করবে: ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৬ নভেম্বর, ২০১৮
  • ২৬৬ বার পড়া হয়েছে
ছবি: ডয়চে ভেলে।

বাংলা৭১নিউজ,ডেস্ক: বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন হচ্ছে৷ তবে তারা স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করবে৷ প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ কেএম নুরুল হুদা জানিয়েছেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে৷

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এখনো অবশ্য নিশ্চিত করেননি যে, ঠিক কবে থেকে সেনা মোতায়েন করা হবে এবং তারা মাঠে কতদিন থাকবে৷ নির্বাচনের পরেও সেনাবাহিনী থাকবে কিনা আর তারা কিভাবে কাজ করবে, তারা কি স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে থাকবে, নাকি টহলের দায়িত্বেও থাকবে- এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি৷ তবে এর আগে তফসিল ঘোষণার সময় জাতির উদ্দেশ্যে দেয়া ভাষণে তিনি বলেছিলেন, নির্বাচনে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা দিতে ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় সেনা মোতায়েন করা হবে৷

নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম শুক্রবার ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘সেনা মোতায়েনের ব্যাপারে সব দায়িত্ব কমিশন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দিয়েছে৷ তিনিই দিনক্ষণ ঠিক করবেন ও যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেবেন৷ আর এ নিয়ে তিনিই আপডেট জানাবেন৷”

বিএনপি’র প্রাধান্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট  নির্বাচনে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছে৷ এর মানে হলো, সেনাবাহিনী  নির্বাচনের জন্য স্বাধীনভাবে প্রয়োজনীয় টহল, আটকসহ আইনগত ব্যবস্থা নিতে পারবে৷ কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে সেনা মোতায়েনের যে কথা বলেছেন, তা তাদের দাবি পূরণ করে না বলে জানিয়েছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী৷

তিনি ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার যা বলেছেন, তা হলো, সেনাবাহিনী বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্প করে অবস্থান করবে৷ নির্বাচন কমিশন চাইলে তারা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করবে৷ তারা টহল দেবে না অথবা তাদের ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ারও দেয়া হচ্ছে না৷”

তিনি দাবি করেন, ‘‘পোলিং , প্রিসাইডিং বা রিটার্নিং অফিসাররা যদি সেনা বাহিনীকে সহায়তার জন্য কোনো পরিস্থিতিতে ডাকেন, তবে তারা কাজ করবেন৷ কিন্তু নির্বাচন কমিশনই তো তাদের দলীয় কমিশনে পরিণত হয়েছে৷ পোলিং, প্রিসাইডিং বা রিটার্নিং অফিসার তো তাদেরই লোক৷ তাহলে এই সেনা মোতায়েন করে কি কোনো কাজ হবে?”

বাংলাদেশের ফৌজদারী কার্যবিধির ১২৯-১৩১ ধারা এবং ‘এইড টু সিভিল পাওয়ার’ বিধানের আওতায় সেনা বাহিনী সিভিল প্রশাসনকে তাদের চাহিদা মতো সহায়তা করতে পারে৷ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক  মাহবুব উল আলম হানিফ ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘সিভিল প্রশাসনকে সহায়তার যে বিধান, তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই৷ তবে বিএনপি যা চাইছে যে, সেনা বাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দিতে হবে, তা সংবিধান বা আইনে নেই৷ এটা সংবিধান ও আইনবিরোধী৷ পৃথিবীর কোনো দেশে সেনা বাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয় না৷ বিএনপি সব সময়ই সংবিধানবিরোধী অবস্থান নেয়৷ তারা সংবিধান মানতে চায় না৷”

বাংলাদেশে ২০০১ এবং ২০০৮ সালের নির্বাচন ছাড়া আর সব নির্বাচনেই সেনাবাহিনী স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেব নিয়োজিত ছিল৷ নির্বাচন কমিশনে কথা বলে জানা গেছে, এবারও সেনা বাহিনীর সদস্যরা জেলা, উপজেলা ও মহানগরে সুবিধাজনক জায়গায় অবস্থান করবে৷ নির্বাচন কমিশন সহায়তা চাইলে তারা মুভ করবে৷

সুশাসনের জন্য নাগরিক সুজন-এর প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘বিএনপি বা  আরো কিছু বিরোধী রাজনৈতিক দল যেভাবে সেনাবাহিনীকে নির্বাচনের সময় ম্যাজিষ্ট্রেসি পাওয়ার দেয়ার দাবি করছে, তা সংবিধান ও আইন সমর্থন করে না৷ তবে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে তারা ক্যাম্পে বসে থাকলেও কোনো সুফল পাওয়া যাবে না৷ তাদের যদি স্বাধীনভাবে টহলের ক্ষমতা দেয়া হয়, তাহলে সেটা অনেক কাজে দেবে৷ তাদের মুভমেন্টের কারণে অপরাধী ও সমাজবিরোধীরা ভয়ে থাকত৷”

তিনি আরো বলেন, ‘‘সেনাবাহিনী কাজ করবে নির্বাচন কমিশনের চাহিদা অনুযায়ী৷ এখন যদি পোলিং, প্রিসাইডিং বা রিটার্নিং অফিসাররা নিরপেক্ষ না হন, তাহলে কী হবে? তাদের নিরপেক্ষতার ওপরও অনেক কিছু নির্ভর করছে৷”

এদিকে জাতীয় ঐক্যফন্ট নির্বাচন কমিশনের কাছে যখন সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার দাবি জানিয়েছিল, তখন নির্বাচন কমিশন স্পষ্টই জানিয়ে দেয় যে, সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা দেয়ার কোনো সুযোগ নেই৷ নির্বাচনে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কত সেনাসদস্য মোতায়েন করা হবে, একটি উপজেলা, জেলা বা মহানগরে কতজন থাকবেন, তা এখনো চূড়ান্ত নয়৷

প্রসঙ্গত,  সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ সাভার সেনানিবাসে গত সপ্তাহের এক অনুষ্ঠানে বলেন, নির্বাচনে সেনাবাহিনী দায়িত্ব পেলে পেশাদারিত্বের সঙ্গে সেই দায়ীত্ব পালন করবে৷ সেনাবাহিনী অতীতেও পেশাদারিত্বের সাথে এই দায়িত্ব পালন করেছে৷ অতীতের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পেশাদারিত্ব বজায় রাখবে সেনাবাহিনী৷

বাংলা৭১নিউজ/এসই

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com