বাংলা৭১নিউজ,আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: গতকাল বৃহস্পতিার ছিল ১ অগ্রাহায়ন নবান্ন। এই দিনকে ঘিরে আদমদীঘির কৃষকরা চলতি রোপা আমন কাটা মাড়াই শুরু করে ।এইদিন মসজিদে মৌসুমের নতুন ধানের চাল দিয়ে পোলাও আর ছিন্নি দিয়ে নতুন চাল খাওয়া শুরু করে এলাকার কৃষকরা।
এইদিনকে ঘিরে পশ্চিম বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে কৃষকের ঘরে ঘরে নবান্ন উৎসবের আমেজ দেখা দেয় । প্রতি বছর বাংলা সালের অগ্রহয়ণ মাসের ১ম দিন হয় এই নবন্ন উৎসব। এ দিনটি পালন করার জন্য কৃষকদের ঘরে ঘরে আনন্দের যেন কোন কুমতি নেই। জাতি ধর্ম নির্বিষে এ এলাকার সকল ধর্মের পরিবারের মানুষ এই নবান্ন করে থাকে।
যুগের পর যুগ ধরে চলে আসা আনন্দের এ দিনটি পালনে এবারও কোন ব্যতিক্রম ছিলনা। এদিনটিকে পালনে জন্য এলাকার কৃষকরা আগাম জাতের নতুন ধান কেটে ঘড়ে তুলেছে। পাশা পাশি পাড়া মহলায় গরু মহিষ খাসি জবাই করে ভাগাভাগি করে নিয়ে নতুন ধানের চাল দিয়ে পোলাও পিঠাপুলি পায়েশ এবং নতুন ধানের চালের আটা,গুড় ও কলা দিয়ে সির্নি তৈরী করে আত্বীয়স্বজন পাড়া প্রতিবেশীদের নিয়ে খাবার ধুম পরে গ্রামে গ্রামে।
নবান্ন ছাড়া এই উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার অনেক কৃষক নতুন চালের ভাত খায়না। এর মধ্যে যেসব কৃষকের ধান পাকতে দেরী হয় তারা পরে নবান্ন করেন। আবার অনেকে স্থানীয় মসজিদে পোলাও পায়েশ দেওয়ার পর নতুন চালের ভাত খান বলে জানিয়েছেন অনেকে।
উপজেলার শালগ্রমের মাহমুদ হোসেন ভোলা জানান, তার বাড়ীতে গত তিন দিন আগে থেকে আত্বীয়স্বজন আসতে শুরু করেছে। উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের শালগ্রাম কোমারপুর কালাইকুড়ি, কালাগাড়ী, সাগর পুর, নিমাই দীঘি, বাগবাড়ি, অন্তাহার, দুর্গপুর পোঁওতা বশিপুরে দমদমা, সান্দিড়া, কদমা, করজবাড়ী রামপুরা গ্রামের কৃষকদের ঘরে ঘরে এই নবান্ন উৎসব পালন করা হয়।
অনেকে ১লা অগ্রহনের পরেও এ অনুষ্টান করে। এদিন উপলক্ষে উপজেলার শালগ্রমে ২০টি মহিষ, ১০টি গরু,৭টি খাঁসি জবাই করা হয় এবং পাড়ায় পাড়ায় খেলাধুলা,সাংস্কৃতিক অনুষ্টান, পিঠা মেলার আয়োজন করা হয়। মেলাতে বিভিন্ন প্রকারের পিঠা শোভা পায়।
বাংলা৭১নিউজ/এসএম