বাংলা৭১নিউজ, নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের সময় আদালতের কাঠগড়ায় মাথা ঘুরে পড়ে গেলেন মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন। আদালত প্রাঙ্গণে বসেই সাক্ষীদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগের মুখে থাকা নূর হোসেনের পড়ে যাওয়ার এই ঘটনাটিকে ‘নাটক’ বলেছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেনের আদালতে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় নূর হোসেন পড়ে যান বলে জানান পিপি ওয়াজেদ আলী খোকন।
পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ তাকে পুরুষ কাঠগড়া থেকে মহিলা কাঠগড়ায় নিয়ে টুলে বসতে এবং পানি খেতে দেয় বলে জানান পিপি।
তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে নূর হোসেন অসুস্থবোধ করলেও সাক্ষ্য গ্রহণে কোনো সমস্যা হয়নি। সংশ্লিষ্ট জেলারকে তার চিকিৎসার জন্য নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, নূর হোসেন শরীর খারাপ লাগার কথা জানালে আদালতের অনুমতিতে তাকে কাঠগড়া থেকে বের করে বিচারকের এজলাসের সামনে টুলে বসতে দেওয়া হয়। নূর হোসেনের অসুস্থতাকে ‘নাটক’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার সাত খুনের দুই মামলায় এক বিচারকসহ পাঁচ জন সাক্ষ্য দেন এবং পরে তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। এসময় মামলায় গ্রেপ্তার আসামিরা কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংকরোডের ফতুল্লার লামাপাড়া এলাকা থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাসহ সাত জনকে অপহরণ করা হয়। তিন দিন পর তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে।
ওই ঘটনায় নজরুল ইসলাম ও তার ৪ সহযোগী হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি বাদী হয়ে একটি এবং সিনিয়র আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়ির চালক ইব্রাহিম হত্যার ঘটনায় জামাতা বিজয় কুমার পাল বাদী হয়ে আরেকটি মামলা করেন ফতুল্লা মডেল থানায়।
প্রায় এক বছর তদন্ত শেষে ৩৫ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর নূর হোসেন পালিয়ে ভারত চলে গেলেও সেখানে ধরা পড়েন। এরপর তাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হয়।
বাংলা৭১নিউজ/এএস