শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:১১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুলসহ ৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবিতে লিফলেট বিতরণ এবার কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করলে অসুবিধা হবে : কর্মকর্তাদের সিইসি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: মির্জা ফখরুল ইসলামী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা চুরি শেখ হাসিনার দুর্নীতি খুঁজে বের করতে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত ডিএমপির ১২ ডিসিকে বদলি ‘বৃহত্তর ইসরাইলের’ মানচিত্র প্রকাশ, আরব দেশগুলোর কড়া প্রতিবাদ বিমানবন্দরে রক্তাক্ত সেই প্রবাসীকে জরিমানা, হতে পারে জেলও ৩০ জুনের আগেই মহার্ঘভাতা ঘোষণা মানিকগঞ্জে ডিসির রুমের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান দাবি মানার আল্টিমেটাম দিয়ে ‌‌শাহবাগ ছাড়লেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা শরীয়তপুরে থানা থেকে ওসির মরদেহ উদ্ধার নিক্সন ও তার স্ত্রীর ব্যাংক হিসাবে ৩ হাজার ১৬২ কোটি টাকা লেনদেন শহীদ মিনারের পর শাহবাগ অবরোধ বিডিআর সদস্যের স্বজনদের জেনেভা ক্যাম্পের আলোচিত সন্ত্রাসী চুয়া সেলিম গ্রেপ্তার মা‌র্কি‌নিদের হয়ে ঢাকায় বিশেষ দা‌য়িত্ব সামলাবেন ট্র্যাসি জ্যাকবসন বিসিএসে বাদ পড়া ২২৭ জনের বেশিরভাগই চাকরিতে যোগ দিতে পারবেন রাশিয়ায় বিমানবাহিনীর তেলের ডিপোয় ইউক্রেনের হামলা হাইভোল্টেজ ম্যাচে টস জিতে বরিশালকে ব্যাটিংয়ে পাঠালো রংপুর

মাদারীপুরে নদী ভাঙগনে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেশী ক্ষতিগ্রস্ত

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৩৩২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, আবুল হাসান সোহেল, মাদারীপুর প্রতিনিধি: সাম্প্রতিক মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদীর অব্যাহত ভাঙগনে শিবচরের বেশ কিছু এলাকা নদীগর্ভে চলে যাওয়া শিবচরের ভৌগলিক অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। বিশেষ করে পদ্মা বেষ্টিত চরাঞ্চল ও আড়িয়াল খাঁ তীরবর্তী এলাকায় নদীর ভয়ংকর আগ্রাসনের শিকার হয়েছে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবারই  ভাঙগনে কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীগর্ভে হারিয়ে যাচ্ছে।এতে করে শিক্ষার সুযোগ থেকে ছিটকে পড়ছে অনেক শিশু।

তাছাড়া অনেক শিক্ষা  প্রতিষ্ঠানও এখন হুমকির মুখে রয়েছে।চলতি বছর এ পর্যন্ত পদ্মা নদীর করাল গ্রাসে ইউনিয়ন পরিষদ, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র, হাটবাজারসহ অন্তত ৬০০ ঘরবাড়ির সঙ্গে সঙ্গে নদীতে বিলীন হয়েছে চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। চলতি বছর চারটি বিদ্যালয়সহ ১০ বছরে ১৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিলীন হয়েছে। সে সঙ্গে শত শত পরিবার বাস্Íহারা হয়েছে।

সরেজমিন একাধিক সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর পদ্মা নদীতে দুই দফা পানি বাড়ার সঙ্গে উপজেলার চার ইউনিয়ন নিয়ে মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ভয়াবহ ভাঙন আক্রান্ত হয় চরজানাজাত, বন্দরখোলা ও কাঁঠালবাড়ি ইউনিয়ন।৩ থেকে ৪ দিনে শতাধিক ঘরবাড়িসহ ৩ সপ্তাহে চারটি বিদ্যালয় ভবন, ৬ শতাধিক ঘরবাড়িসহ চরজানাজাত ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, কমিউনিটি ক্লিনিক, খাসেরহাটের অর্ধশত দোকান বিলীন হয়। চরাঞ্চলের চরজানাজাত ইউনিয়নের মাধ্যমিক স্কুল চরজানাজাত ইলিয়াছ আহম্মেদ চৌধুরী উচ্চ বিদ্যালয়, আ.মালেক তালুকদার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মজিদ সরকার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বন্দরখোলার ৭২নং নারিকেল বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি নদীতে বিলীন হয়। ভাঙনের তীব্রতায় অনেক স্কুল, ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ারও সময় পায়নি কর্তৃপক্ষ।

স্কুলগুলো অন্যত্র কোনোমতে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। এর আগে গত বছর একটি মাদ্রাসা ও দুটি প্রাথমিক স্কুল ভবন নদীতে বিলীন হয়। ২০১৬ সালে ৩০ নং পূব খাসচর বন্দরখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন বিলীন হয়। ২০১৫ সালে একই ইউনিয়নের ১টি ৩ তলা ভবন, ২টি দ্বিতল ভবনের প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ ৫টি বিদ্যালয় নদী গর্ভে বিলীন হয়। গত ১০ বছরে এ উপজেলায় ১৭ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সাড়ে ৬ হাজার পরিবার নদী ভাঙ্গনে আক্রান্ত হয়ে নিঃস্ব হয়। একসাথে স্কুল ও বসতভিটা হারিয়ে অনেক শিশু কিশোর শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

চরজানাজাত ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আঃ মালেক তালুকদার বলেন, বড় বড় ভবনের স্কুল, পাকা রাস্তা, ইউনিয়ন পরিষদ, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সবই ছিল। কিন্তু প্রতি বছরের ভাঙনে আমরা এখন নিঃস্ব। এ বছরই ৪টি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাট বাজারসহ শত শত ঘর বাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। আমরা ভাঙন প্রতিরোধ চাই।

ভাঙনে আক্রান্ত ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান মাহবুব বলেন, পদ্মার বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল হলেও শিবচরের চরগুলো ছিল আধুনিক। প্রতিটি স্কুলেই ছিল ভবন। কিন্তু এ বছরই আমার স্কুলসহ চারটি স্কুল ভবন নদীতে চলে গেছে। এতে স্বাভাবিকভাবেই শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। অনেক শিক্ষার্থী ঝরে পড়ছে। চরাঞ্চল রক্ষায় স্থায়ী বাঁধ দরকার।

কাউলিপাড়া দারুল উলুম কওমী মাদ্রাসা ও মাদানী কমপ্লেক্স এর অধ্যক্ষ আব্দুর রকিব বলেন, পদ্মা নদী এখন মাদ্রাসাটির খুব নিকটে এসে পড়েছে। যে কোন সময় মাদ্রাসাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে। ইতোমধ্যেই মহিলা মাদ্রাটি ভেঙ্গে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে। কওমী মাদ্রাসাটিও ভেঙ্গে অন্যত্র সরানো হবে। শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়া চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ তীরবর্তী শিবচরের আটটি ইউনিয়ন। চলতি বছর পদ্মা নদীর ভাঙন আক্রান্ত হয়েছে তিনটি ইউনিয়ন। এ পর্যন্ত চারটি স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদ ভবন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাটবাজার, পাকা রাস্তাসহ ৬ থেকে ৭ শতাধিক ঘরবাড়ি আক্রান্ত হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৫ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com