বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৩:০২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাতক্ষীরায় পাউবো’র কাজে দূর্নীতি: ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ প্রতিমন্ত্রীর স্লোভাকিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে লক্ষ্য করে গুলি, অবস্থা আশঙ্কাজনক টিসিবির জন্য ১০ হাজার টন মসুর ডাল কিনছে সরকার কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা, মৌলভীবাজারে দুজনের মৃত্যুদণ্ড রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নাশকতা চালাতে পাহাড়ে আস্তানা গাড়েন আরসা সদস্যরা দুরারোগ্য রোগে আক্রান্তদের দ্রুত আর্থিক সহায়তা দেওয়ার সুপারিশ ২য় ধাপের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৫৪৫৬ প্রার্থী ফের চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে কাড়লো ৩ প্রাণ খালে ময়লা ফেললে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে: মেয়র আতিক ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিশ্বকাপ খেলতে রাতে দেশ ছাড়ছে বাংলাদেশ দল গাইবান্ধায় ধান কাটার সময় বজ্রপাতে দুইজনের মৃত্যু বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হলে কঠোর আন্দোলন জাল জন্মনিবন্ধন তৈরি চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার কুড়িল বিশ্বরোডে পোশাক শ্রমিকদের অবরোধ, তীব্র যানজট দেশের ১৩ গুণীজনকে সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ রাষ্ট্রীয় চুক্তির মাধ্যমে এক লাখ ৭০ হাজার টন সার কিনবে সরকার খুলনা বিভাগে বিদ্যুতের ২৫টি উপকেন্দ্র, ব্যয় হবে ৬০৮ কোটি টাকা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র আত্মসমালোচনা ছাড়া প্রকৃত মানুষ হওয়া সম্ভব নয়: ধর্মমন্ত্রী

কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে সন্ধ্যাবাতি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
  • ৪২৪ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মোঃ লিহাজ উদ্দীন মানিক, বোদা (পঞ্চগড়) প্রতিনিধি: আমাদের দেশে গ্রামীণ সমাজের প্রতিটি ঘরে ঘরে এক সময় আলোর অন্যতম বাহন হিসেবে ব্যবহৃত হতো হারিকেন। কালের বিতর্তনে পঞ্চগড় জেলা সহ দেশের সব জায়গায় সবার ঘর থেকে হারিকেন হারিয়ে গেছে।

সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রতিটি ঘরের চিত্রটাই পাল্টে গেছে। গ্রামীণ সমাজের সন্ধ্যা বাতি হারিকেন এখন অতীত স্মৃতিতে পরিনত হয়ে গেছে। এখন আর কোনো ঘরে কিংবা ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হাজার বছরের ঐতিহ্যের বাহন সেই হারিকেন এখন আর চোখে পড়ে না। অথচ এখন থেকে ২০ বছর আগেও যেখানে বেশিরভাগ ঘরেই ব্যবহার হতো হারিকেন, আর ২০বছর পরে এসে সেইরূপ এখন পুরোটাই পরিবর্তিত হয়েছে। ২০ বছর আগেও চিত্রটি ছিল এমন যে, সারাদিনের কর্মব্যস্ততা সেরে সাঁঝের বেলায় নারীরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন সন্ধ্যায় ঘরের আলো জ্বালানো নিয়ে।

প্রতি সন্ধ্যায় হারিকেনের চিমনি খুলে, ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করে ছিপি খুলে কেরোসিন তেল ঢেলে আবার ছিপি লাগিয়ে রেশার মধ্যে দিয়াশলাইয়ের কাঠি জ্বালিয়ে আগুন ধরিয়ে তা নির্দিষ্ট সীমারেখায় রেখে ঘরের মেঝে জ্বালিয়ে রাখত। ৫-৬ ইঞ্চি লম্বা ও কিছুটা ছড়াকারের মত এক ধরনের কাপড় ফিতা বা রেশা হিসেবে ব্যবহার করা হতো। আলো কমানো ও বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট একটি গিয়ার ছিল। হাতের সাহায্যে তা ঘুরিয়ে আলোর গতিবেগ কমানো ও বাড়ানো যেতো। রাতে ঘুমানোর সময় আলো কমিয়ে সারারাত হারিকেন জ্বালিয়ে রাখা হতো। তখন কুপি ছিল কয়েক প্রকার। একনলা, দুইনলা, একতাক, দুই তাকের, পিতল ও সিলভারের। তবে সিলভার, টিন এবং মাটির তৈরি বাতির ব্যবহার ছিল খুব বেশি।

বাতির নলে আগুন জ্বালানোর জন্য ফিতা বা রেশা হিসেবে ব্যবহার করা হতো ছেঁড়া কাপড়ের টুকরো কিংবা পাটের সুতলি। চিকন আর লম্বা করে ৫-৬ ইঞ্চির দৈর্ঘ্যরে ওই ফিতা বা রেশা বাতির নল দিয়ে ভেতরে ঢুকিয়ে দিতো। প্রতিদিন এর কিছু অংশ জ্বলে পুড়ে যেত। ফের পরের দিন আবার একটু উপরের দিকে তুলে দিতো। এক পর্যায়ে তা পুড়ে গেলে আবার নতুন করে লাগানো হতো। বাজার থেকে ৫-৭ টাকায় ওই বাতিগুলো কিনতে পাওয়া যেত। কিছুদিন পর নিচ দিয়ে ফুটো হয়ে তেল পড়ে যেত। ফের নতুন একটি বাতি বাজার থেকে কিনতে হতো। এটা ছিল নারীদের সন্ধ্যাবেলার দৈনন্দিন কাজের বিশেষ একটি অংশ।

এই বাতি দিয়ে শিক্ষার্থীরা পড়াশুনা করতো। এছাড়াও রাতের সকল কাজ, যেমন রান্না-বাড়া, কুটির শিল্প, হস্তশিল্প, ধান মাড়ানোসহ সকল চাহিদা মেটানো হতো এই আলো দিয়ে। এখন আর চোখে পড়ে না হারিকেন ও বাতির কথা। যারা শহর এলাকায় বাস করছেন বিশেষ করে নতুন প্রজন্ম তো এখনো চোখে দেখেনি হারিকেন ও বাতির কথা। অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন কালের আবর্তে ডিজিটাল যুগে এই হারিকেন নামীয় বস্তুটি কোন এক সময়ে স্মৃতি যাদুঘরে দেখা দেখা যাচ্ছে অতিত স্মৃতি হয়ে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com