বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: পাবনার নারী সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা। এই হত্যাকাণ্ডসহ সব সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার দাবি করেছেন তারা। নদী হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন সাংবাদিকরা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের নেতারা এক বিক্ষোভ সমাবেশে এই দাবি জানান।
সাংবাদিক নেতা রুহুল আমীন গাজী বলেন, ‘হেলমেট পেটোয়া ছাত্রলীগের সন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা সাংবাদিক নির্যাতন হয়েছিল, সেটার বিচার হয়নি। ওই হেলমেট বাহিনীকে বিচারের আওতায় আনা হলে আজকে এভাবে নদীকে খুন হতে হতো না।’
হত্যাকারী কারা সেটা সরকার জানে বলেই তাদের গ্রেপ্তার নিয়ে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
গাজী বলেন, ‘যতদিন পর্যন্ত সাংবাদিক হত্যার বিচার না হবে এবং এই ভোটারবিহীন সরকার ক্ষমতা না ছাড়বে ততদিন পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আমরা রাজপথ বন্ধ করে দেব এবং এই সরকারকে রাজপথ থেকে বিতাড়িত করবো।’
বিএনপিপন্থী এই সাংবাদিক নেতা বলেন, ‘এই সরকারের আমলে সাগর-রুনিসহ মোট ৩৩ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। এসব হত্যার কোনো বিচার হচ্ছে না। এজন্য হত্যাকারীরা সাহস পাচ্ছে। আওয়ামী লীগের শাসন ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা একসাথে হয় না। এই সরকার যখনই ক্ষমতায় এসেছে গণমাধ্যমকে তখনই তারা গলা টিপে ধরেছে।’
সাংবাদিক নেতা এম আব্দুল্লাহ বলেন, ‘নিরাপদ সড়ক আন্দোলনে ৪০ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। সেটার বিচার করাতো দূরের কথা বরং এখন আরেকটা লাশ উপহার দিল এই অগণতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী সরকার। এই সরকার প্রমাণ করেছে যে, তারা সাংবাদিকদের খুন গুম করবে কিন্তু এটার বিচার করবে না।’
আবদুল্লাহ বলেন, ‘এই সরকারের আমলে সাংবাদিক হত্যার বিচার পাবো না সেটা আমরাও জানি। সরকার এদেশে সাংবাদিকদের হত্যা ও নির্যাতনের বিচার করবে না। তাই আসুন আমরা হাতে হাত রেখে এই স্বৈরাচার সরকারকে বিদায় করি।’
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মানববন্ধন শেষে রুহুল আমীন গাজীর নেতৃত্বে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তা ঘুরে ক্লাবের ভেতরে গিয়ে শেষ হয়। সূত্র: ঢাকাটাইমস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস