বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনসুর আলী, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: কর্মস্থল থেকে প্রিয়জদের সাথে ঈদ করতে আসা মানুষ ঈদ শেষে আবার কর্মস্থলে ফিরছে। সান্তাহার জংশন মানুষের উপচে পরা ভিড়। এর মধ্যে রাজধানীমুখী মানুষর সংখ্যা বেশী। ঝুকিতে চলছে ট্রেন। ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী উঠার কারনে আন্তঃনগর লালমনি এক্স্রপ্রেস ট্রেনের ৪টি বগির স্পেরিং দেবে যাওয়ায় সান্তহার জংশন ষ্টেশনে ২ঘন্ট ট্রেনটির বিলম্ব ঘটে।
জানা যায়, ঈদের পর থেকে সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনে ঢাকামুখী মানুষের উপচে পরা ভিড় দেখাগেছে। ফলে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ট্রেনের টিকেট কাটতে রীতিমত হিমশিম খেতে হচ্ছে। টিকিটের নির্ধারিত মুল্যের চেয়ে দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা দিয়ে কালোবাজারিদের কাছ থেকে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করছে অনেকেই। স্থানীয় রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত শনিবার থেকে সান্তাহার-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী ট্রেনযাত্রীদের চাপ বেড়েছে। ঢাকাগামী ট্রেনের কোন জায়গায় পা ফেলার জায়গা না থাকায় রেলওয়ের ওভার ব্রিজ ব্যবহার করে জীবনের ঝুকি নিয়ে ছাদে ওঠছে অনেকে।
আবার অনেককে টিকিট কেটেও সিটে বসতে না পেরে দাঁড়িয়েই ঢাকা যাচ্ছেন। এমন চিত্র দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রতিদিন। ছাদে পুরুষ যাত্রীদের পাশাপাশি নারীও শিশুদেরকেও ট্রেনের ছাদে ঝুকি নিয়ে ভ্রমন করতে দেখে গাছে । ছাদে ভ্রমন যাত্রীদের নিকট থেকে ডিউটিরত রেল পুলিশ,নিাপত্তাবাহীনি, এ্যাটেনডেন্টরা ২০০ থেকে ৩০০ টাকা আদায় করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রেলওয়ে আইনে ছাদে ভ্রমন দন্ডনিয় অপরাধ অথচ সেখানে রেলওয়ের লোকজনই টাকার বিনিময়ে ছাদে ভ্রমনের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সান্তাহার জংশন স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে ঢাকামী ট্রেনের টিকেট চাইলেই বলা হয় সিট নেই। অথচ শো থেকে দুই শো টাকা দিলেই সিট নাম্বারকৃত টিকিট। এছারাও বহিরাগতদের দ্বরা টিকিট কাউরাটার নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় কালোবাজারেও টিকিট বিক্রি হয় বলে অনেকে অভিযোগ,করেন। সান্তাহার জংশন স্টেশনের যাত্রীরা অভিযোগে জানান,স্টেশনের টিকিট কাউন্টারেটিকিট চাইলেই জানানো হয় টিকেট শেষ হয়ে গাছে। ফলে লাইনে দির্ঘ্য সময় দাঁড়িয়েও কোন লাভ হয়না।
ঢাকাগামী ট্রেনগুলোর বেশিরভাগ টিকেট কালোবাজারিদের হাতে চলে যায়। গত কয়েক দিন ধরে টিকিট কাউন্টারের পাশের্^য় প্রকাশ্যে দ্বিগুণ দামে ঢাকাগামীসহ খুলনা ও রাজশাহীগামী আন্তঃনগর ট্রেনের টিকেট বিক্রি করা হলেও এ বিষয়ে রেলওয়ে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে কোন রকম পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বরে যাত্যীরা দাবি করেন।
প্রতিনিয়ত এসব ঘটনা ঘটলেও রের বিভাগের পক্ষ থেকে কোন পদক্সেপ গ্রহন করা হয় না বরেও জানাগাছে। স্থানীয় রেলওয়ে সুত্রে জানাযায়, গত কয়েক দিন আগে স্থানীয় স্টেশন মাষ্টানসহ বুকিংসহকারী এবং কয়েক জন রেল কমৃচারী ও টিকিট কালোবাজারী চক্রের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে রেল বিভাগ থেকে স্থানীয় রেলওয়ে থানায় বিষয়টি তদন্তের নিদের্শ দেওয়া হয়। এর পরও এসব কর্মকান্ডে জরিতরা কোন কিছুর তোওক্কা না করে তারা বহার তবিয়তে পুরোদমে এই কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এছরাও ট্রেন যাত্রীদের ভিড়ের কারনে ঝুকিতে ট্রেন চলাচর করছে। যে কোন সময় ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে এবং ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছেবলে জানাগেছে। সান্তাহার জংশন থেকে ঢাকাগামীসহ সকল রুটের ট্রেন ৮- ১০ ঘন্টা বিলম্বে চলাচল করছে। ট্রেনে অতিরিক্ত যাত্রী উঠার কারনে আন্তঃনগর লালমনি এক্স্রপ্রেস ট্রেনের ৪টি বগির স্পেরিং দেবে যাওয়ায় সান্তহার জংশন ষ্টেশনে ২ঘন্ট ট্রেনটির বিলম্ব ঘটে।এ ব্যাপরে সান্তাহার স্টেশন মাস্টার রেজাউল করিম ডালিমের সাথে বললে তিনি বলেন অতিরিক্ত যাত্রী উঠার কারনে লালমনি এক্স্রপ্রেস ট্রেনের ৫০০৬,৫০১০,৫০২১,৫৩০৩ নম্বর বগির ¯েপ্ররিং দেবে যায়। পরে ছাদ থেকে যাত্রী নামিয়ে ২ঘন্টার ট্রেনটি ঢাকার উদ্যশ্যে ছেড়ে যায়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস