বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ২ জুন আদালতে হাজিরের নির্দেশ দিয়ে বিচারক বলেছেন, সেদিন অনুপস্থিত থাকলে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হবে।
খালেদা জিয়া আদালতে হাজির না হওয়ায় বৃহস্পতিবার এ মামলায় তার আত্মপক্ষ সমর্থন পঞ্চম দফায় পিছিয়ে যায়।
খালেদার অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তার অন্যতম আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এদিন আবারও সময়ের আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনে ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আবু আহমেদ জমাদার নতুন তারিখ ঠিক করে দিয়ে ওইদিন খালেদাকে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
আদেশের পর দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, “আমি আজই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চেয়েছিলাম। বার বার কথা দিয়ে তার আইনজীবীরা প্রতিশ্রুতি রক্ষা করছেন না। খালেদা জিয়াও আদালতকে শ্রদ্ধা দেখাচ্ছেন না।”
এ কারণে বৃহস্পতিবারই আসামিকে পলাতক দেখিয়ে যুক্তির্ক শুরু করার আবেদন করেছিলেন বলে জানান দুদকের আইনজীবী।
জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট ও জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা দুটি মামলার বিচারিক কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজের অস্থায়ী এজলাসে।
এর আগে গত ৭, ১৭ ও ২৫ এপ্রিল ও ৫ মে চার দফা সময়ের আবেদন জানিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন পিছিয়ে নেন খালেদা জিয়া।
এর আগে গত বছরের শুরুর দিকে টানা তিন মাস খালেদা জিয়া নিজের কার্যালয়ে অবস্থান নিয়ে থাকার সময় আদালতে না যাওয়ায় একই বিচারক খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। পরোয়ানা জারির এক মাস দশ দিন পর খালেদা আদালতে আত্মসমর্পণ করে দুর্নীতির এ দুই মামলায় জামিন পেয়েছিলেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে আসা অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১০ সালের ৮ অগাস্ট তেজগাঁও থানায় এই মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য চার আসামিরা হলেন- তার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চার জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। পরের বছরের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিচার শুরু হয়।
এ মামলায় জামিনে থাকা জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান গত ৭ এপ্রিল আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা ও বাদী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশিদসহ ৩২ জন।
একই আদালতে জিয়া এতিমখানা ট্রাস্ট মামলার বাদী ও প্রথম সাক্ষী দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশিদের জেরা চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইস