বাংলা৭১নিউজ, মুসাফির নজরুল, মাগুরা প্রতিনিধি: ঈদ-উল আজহার আর মাত্র ৫ দিন বাকি। মাগুরার পশু হাটগুলো ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে ক্রেতা আর বিক্রেতার ভিড়ে। তবে পশু ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন ধরে গরু মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছে। তারা আশাবাদ ব্যক্ত করছেন, মাগুরায় এবার প্রায় ৬৫ কোটি টাকার গরু বিক্রি করার।
মাগুরা পশুসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদকে ঘিরে এবার ১৩ হাজার ১৮৭টি গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে, যেখানে চাহিদা ৬ হাজার ৫২০, যা প্রায় অর্ধেক। মাগুরার আড়াইসাত গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহিম বলেন, তিনি এক বছর আগে এক লক্ষ টাকা দিয়ে তিনটি গরু কিনেছেন। গরুর পিছনে এ যাবত তার ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫০ হাজার টাকা। বর্তমানে তার গরু তিনটি আড়াই লাখ টাকা দাম হচ্ছে।
সদর উপজেলার রামনগর উপজেলার গরু ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, তার গরু সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে মোটাতাজা করা হয়েছে। খাবার হিসাবে খড়, চিটাগুড় এবং ইউরিয়া ব্যবহার করা হয়েছে। কোন প্রকার স্টেরোয়েড জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা হয়নি। চিকিৎসকের পরামর্শে শুধু গরুর ক্ষুধা বাড়ানোর কিছু ওষুধ দেয়া হয়েছে। বাহ্যিকভাবে গরুকে সুন্দর দেখাতে তিনি জিংক সিরাপ জাতীয় ওষুধ দিয়েছি।
সদর উপজেলার আবালপুর এলাকার গরু ব্যবসায়ী মতি মিয়া বলেন, মাগুরার গরুর অনেক চাহিদা। ইতিমধ্যেই গরু কিনতে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আসছে গরু কিনতে। যদি ভারতীয় গরুর আমদানি বন্ধ করা যায় তবে মাগুরার গরু ব্যবসায়ীরা এবার খুশিমনে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফিরতে পারবে।
জেলা পশুপালন কর্মকর্তা কানাই লাল সরকার বলেন, আমরা প্রাকৃতিক উপায়ে গরু মোটাতাজা করণের জন্য পশুপালকদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়েছি। এছাড়াও স্টেরোয়েড ফ্রি গরু মোটাতাজা করণের জন্য আমাদের ৬ টি টিম সবসময় কাজ করে যাচ্ছে।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, কোরবানি ঈদ সামনে রেখে কোন ধরনের টোল আদায় যেন না হয় তা আমরা নিশ্চিত করেছি। এছাড়াও কোন ধরণের চাদাবাজি ও আইন-শৃংখলার অবনতি যেন না ঘটে সে জন্যও আমরা সবসময় তৎপর।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস