বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুর সদর উপজেলার চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের দশম শ্রেণির ছাত্রী সাথী আক্তার প্রধান শিক্ষকের নির্যাতনে অপমানিত হয়ে বিষ পানের মাধ্যমে আত্মহত্যা করার ঘটনায় শুক্রবার বিকালে ঐ ছাত্রীর মা রুবি আক্তার বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষক মো. নুর হোসেনকে আসামী করে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সাথীর মৃত্যুর খবর শুনার পর থেকে প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী সাথী আক্তার (১৩) কে আত্মহত্যায় প্ররোচিত করার দায়ে শুক্রবার বিকাল চারটার দিকে ঐ ছাত্রীর মা রুবি আক্তার বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষককে আসামী করে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মাদারীপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি নিয়মিত মামলা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে থানা সূত্রে জানা যায়। সাথীর মৃত্যুর পর থেকে প্রধান শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।
ছাত্রীর মা রুবি আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষকের কারনে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমি শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মো: কামরুল হাসান বলেন, স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে প্রধান শিক্ষককে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
উল্লেখ্য চরমুগরিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির মানবিক বিভাগের ছাত্রী সাথী আক্তার (১৩) শনিবার সকলে বিদ্যালয়ে আসার পর টিফিনের সময় প্রধান শিক্ষকের কাছে অন্য এক ছাত্রী তাকে গালি দিয়েছে বলে বিচার দিলে, প্রধান শিক্ষক দুইজনকেই ডেকে এনে সবার সামনে শাসন করে এবং স্কেল দিয়ে মারধর করে। এতে সাথী খুব লজ্জা পেয়ে স্থানীয় এক দোকান থেকে ঘাস মারার একটি ঔষধ কিনে বাড়ী নিয়ে সন্ধ্যায় সেটা পান করে। ঔষধ খাওয়ার পর সাথী অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে প্রথমে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডেকেল কলেজ হাসপাতালে এবং সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার সকালে সাথী মারা যায়। সাথীর মৃত্যুর খবর এলাকায় ও স্কুলে পৌছালে স্কুলের সহাপাঠি এবং এলাকাবাসী ঐ প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস