বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, জাতীয় জাদুঘরকে আরও আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি আজ রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে সুফিয়া কামাল অডিটোরিয়ামে আন্তর্জাতিক জাদুঘর দিবসের এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। জাতীয় জাদুঘর ও আইকম বাংলাদেশ এ সেমিনারের আয়োজন করে।
তিনি বলেন, দর্শনার্থীদের সঙ্গে জাদুঘরের সম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। অবকাঠামো উন্নয়ন করে পর্যটন শিল্পকে গতিশীল করে অর্থনৈতিক গতিশীলতা বাড়াতে সকলের সমন্বিত উদ্যোগের ওপর তিনি জোর দেন।
মন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় জাতীয় ইতিহাস জাদুঘর (ন্যাশনাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম) নামে আরেকটি জাদুঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
আসাদজ্জামান নূর বলেন, বর্তমানে ও প্রাচীনকালে যে প্রতœতত্ত্ব খুঁড়ে উদ্ধার করা হয়েছে তা স্থানাভাবে জাতীয় জাদুঘরে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বর্তমানে জাদুঘরে ২০ ভাগের একভাগ প্রতœত্ত্ব সামগ্রী প্রদর্শনের জন্য রাখা হয়েছে। তাই জাদুঘর সম্প্রসারণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, যে কোন গঠনমূলক কাজ সাফল্যমন্ডিত করতে হলে সরকারের পাশাপাশি সমাজের সংশ্লিষ্টতার প্রয়োজন। সরকারের সাধ্য সীমিত। এই সীমিত সাধ্যের মধ্যেই দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে সরকার ইতোমধ্যেই নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। প্রতœতত্ত্ব রক্ষা ও সংরক্ষণে কাজের পরিধিও বেড়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
এসময় তিনি ভার্চুয়াল জাদুঘর নির্মানের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ব্যস্ত মানুষেরা যাতে ঘরে বসেই দেশের কৃষ্টি কালচার ও ইতিহাস সর্ম্পকে জানতে পারেন সেজন্য সরকার এ ধরনের জাদুঘর তৈরির পরিকল্পনা করছে।
তিনি বলেন, সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিপর্যয়ে মুদ্রা, টিকিট ও বিশেষ ব্যক্তি¦ত্বের জীবন ও কর্ম রক্ষার মধ্য দিয়ে ও বিভিন্ন ধরনের জাদুঘর বা সংগ্রহশালা নির্মাণ করে যাচ্ছে। এটি একটি ইতিবাচক দিক।
মন্ত্রী বলেন, জাদুঘর বিশেষায়িত সংগ্রহশালা। ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও প্রতœতাত্ত্বিক নিদর্শন জাদুঘরে সংগ্রহ ও প্রদর্শন করা হয়ে থাকে। বিশ্বায়নের প্রভাবে পৃথিবীব্যাপী যে পরিবর্তন সূচিত হচ্ছে তার প্রতিভাস জাদুঘরে লক্ষ্য করা যায়। জাদুঘরে আগত দর্শকের জ্ঞান ভান্ডার স্বাভাবিকভাবে সমৃদ্ধ হয়ে থাকে। এখন জাদুঘর সর্ম্পকে মানুষের ধারণা বদলেছে। সকল স্তর থেকে জাদুঘর রক্ষায় উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
এসময় তিনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জাদুঘর দেখার প্রতি আরও আগ্রহ বাড়নোর জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্য সর্ম্পকে জ্ঞান আহরণ করতে পারবে।
বাংলাদেশ জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সাবেক সচিব ও সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার এম.আজিজুর রহমান।
‘মিউজিয়াম এন্ড কালচারাল ল্যান্ডস্কেপ’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাগাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতœতত্ত্ব বিভাগের প্রফেসর সুফী মোস্তাফিজুর রহমান।
আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন ইউনির্ভাসিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর প্রফেসর আবুদ সাঈদ এম আহমেদ।
জাদুঘরের মহাপরিচালক বলেন, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে জাদুঘরকে আধুনিক ও মানসম্মত করে গড়ে তুলতে নানা কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করার কাজ এগিয়ে চলছে।
বাংলা৭১নিউজ/এম