শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সিলেটে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, একজনের মৃত্যু নিজেদের ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলার আঘাতে ৫ ইসরায়েলি সেনা নিহত বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সংসদীয় কূটনীতি কার্যকর হাতিয়ার এআই ভিডিওর ফাঁদে ভারতের রাজনীতি কোরবানির চাহিদার চেয়ে ২২,৭৭,৯৭৩ অতিরিক্ত গবাদিপশু প্রস্তুত কক্সবাজারের আদলে সাজবে পতেঙ্গা ছিনতাই হতে যাওয়া ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করলেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ‌‘হাসপাতালে দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ কেস খেলবা আসো, নিপুণকে ডিপজল পর্যটন খাতে তুরস্ককে বিনিয়োগের আহ্বান মন্ত্রীর গাজায় ১৫ হাজারের বেশি শিশু নিহত বিদেশি ঋণনির্ভর প্রকল্পের অগ্রগতি জানানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির মুনাফা বেড়েছে পাপুলের শ্যালিকা ও দুই কর কর্মকর্তার বিরু‌দ্ধে দুদকের মামলা ‘কাক পোশাকে’ কানের লাল গালিচায় ভাবনা ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণকালে বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ আটক ৩ বুদ্ধ পূর্ণিমা ঘিরে কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : ডিএমপি কমিশনার ‘মাদক সম্রাজ্ঞী’ লাবনীসহ গ্রেপ্তার ৭ ‘ডো‌নাল্ড লু ঘুরে যাওয়ায় বিএনপির মাথা খারাপ হয়ে গেছে’ রূপপুর-মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্পেই বরাদ্দ ৫২ হাজার কোটি

‘ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব’ সেমিনারে বক্তারা: লাগামহীনভাবে বাড়ছে সিজার, প্রসূতি মায়েরা ঝুঁকিতে

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১৮
  • ৬২৩ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: দেশে লাগামহীনভাবে সিজারের সংখ্যা বাড়ায় প্রসূতি মায়েদের ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। দেশে প্রতিদিন প্রায় ১৬ জন নারী মারা যান সন্তান প্রসব করতে গিয়ে। এই হিসাবে প্রতি বছর প্রসূতি মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ায় ৫ থেকে ৭ হাজার।যার অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে-সিজার। এমন অভিমত ‘ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেওয়া আলোচকবৃন্দের।

ইমপালস হাসপাতাল আজ রোববার (১২ আগস্ট) এই সেমিনারের আয়োজন করে। হাসপাতালটিতে আজ থেকে ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধনও করা হয়।

ইমপালস হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা: জাহীর আল আমীনের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা: ফারজানা আহমেদ। আলোচনায় প্রধান অথিতির বক্তব্য রাখেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বরেণ্য ব্যক্তিত্ব অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ।

অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা: নিয়াজ টি পারভীন, অধ্যাপক ডা: আসরাফুন নেছা, অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান খন্দকার লাইজু, সিও ডা: দবীর আহমেদ প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইমপালস হাসপাতালের উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা: ওয়াদুদ আলী খান, ডা: সামসুদ হক, ডা: রাশিদুল হাসান, ডা: আবুল হোসেন খান চৌধুরী, ডা: জাহাঙ্গীর মিয়া প্রমুখ।

সেমিনারে আলোচকবৃন্দ বিভিন্ন পরিসংখ্যান উপস্থাপন করে বলেন, বাংলাদেশে গত এক দশকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার হার বেড়েছে পাঁচ গুণ।বিশেষজ্ঞদের মতে, অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেওয়া নারীদের ২৬ শতাংশেরই এভাবে মা হওয়ার প্রয়োজন ছিলো না। তারা বলেন, উপযুক্ত নির্দেশনা এবং পর্যবেক্ষণের অভাবে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদান ক্রমেই বাড়ছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, মাতৃত্ব এখন অর্থ উপার্জনের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। সন্তান প্রসব মানেই যেন সিজার।এই শোষন বন্ধে ‘ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসব’ পদ্ধতি অনেকটাই সুফল বয়ে আনবে।সমাজে নারী পুরুষের পার্থক্য অনেক কমেছে। এরপরও এদেশের নারীরা এখনও অসহায়।তাদেরকে কেবল সন্তান উৎপাদন যন্ত্র হিসাবেই দেখা হয়।

অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সাঈদ আরও বলেন, প্রসব ব্যথা হচ্ছে অন্যতম কষ্টদায়ক ব্যথা। তবে ব্যথামুক্তভাবেও স্বাভাবিক প্রসব সম্ভব এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ব্যথামুক্তভাবে প্রসব করানো হচ্ছে। প্রসব বেদনা নিয়ে প্রত্যেক মায়ের মধ্যে একটি আতঙ্ক কাজ করে। এ কারণেই অনেকে সিজারকে বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে আগ্রহী হন।তিনি বলেন, মাতৃমৃত্যুর হার কমাতে সরকারকে এসব দিক বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি দেশের স্বাস্থ্য খাতে বাজেট বরাদ্দ আরও বাড়ানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

মূল প্রবন্ধে  ডা: ফারজানা আহমেদ বলেন, আমেরিকাতে বর্তমানে ৬০ ভাগ গর্ভবতি মহিলা ব্যথামুক্ত ডেলিভারি পছন্দ করেন। কানাডার বিভিন্ন অঞ্চলে ৭০ ভাগ ব্যথামুক্ত ডেলিভারি পদ্ধতি প্রয়োগ হয়। সুইডিশ পার্লামেন্ট ১৯৭১ সালে ব্যথামুক্ত ডেলিভারি আইন পাশ করেছে। জাপানে খুব প্রয়োজন না হলে সিজার করে না। ভারতের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যথামুক্ত ডেলিভারি পদ্ধতি চালু আছে। বিশেষ করে হায়দ্রাবাদের ফারনানদোজ হাসপাতালে ৪ হাজার ডেলিভারির মধ্যে ৬৫ ভাগই ব্যথামুক্ত ডেলিভারি। বাংলাদেশে এ ধরণের পদ্ধতিতে সন্তান প্রসবের কোন পরিসংখ্যান আমাদের কাছে নেই।

গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা: নিয়াজ টি পারভীন বলেন, ইমপালস হাসপাতাল ব্যথামুক্ত সন্তান প্রসবের যে পদ্ধতিটি চালু করেছে-তা অনেক মাকেই স্বভাবিক সন্তান প্রসবে উৎসাহিত করবে। তিনি বলেন, স্বাভাবিক প্রসবের ব্যথার সময়টা ১৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত। এই ব্যথা দীর্ঘ সময় হওয়ার কারণে অনেকেই সিজারিয়ানের দিকে বেশি ঝুঁকে যায়। অথচ সিজার করলে আর্থিক ক্ষতি ছাড়াও থাকে সার্জারির কমবেশি জটিলতা। সার্জারি করা পর সঙ্গে সঙ্গেই প্রসূতি মা তার আগের অবস্থায় পৌঁছাতে পারে না। সে জন্য আমরা যদি স্বাভাবিক প্রসবের দিকে ঝুঁকতে পারি তবে সিজারিয়ান সার্জারি অনেক কমে যাবে।

আলোচনায় অংশ নিয়ে অ্যানেসথেসিয়া বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান খন্দকার লাইজু বলেন, অস্বাভাবিক ঘটনার ক্ষেত্রে সিজারের প্রয়োজন হতে পারে। যেমন: মায়ের যদি কোনো জটিলতা থাকে। দেখা গেল মায়ের উচ্চ রক্তচাপ আছে। কিংবা অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস আছে। অথবা মা একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছে; যেমন হার্টের রোগ।

আর বাচ্চার দিক থেকে যেটা থাকে, গর্ভফুলটা হয়তো জরায়ুমুখের দিকে থাকে, নিচের দিকে থাকে। কিংবা বাচ্চার অবস্থান হয়তো ঠিক নেই। বাচ্চার মাথা হয়তো নিচের দিকে নেই। তা ছাড়া দেখা গেল মায়ের জরায়ুতে কোনো টিউমার আছে যে কারণে স্বাভাবিক প্রসব ব্যাহত হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে সিজারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।

বাংলা৭১নিউজ/এসবি

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com