বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি ঘটনায় তদন্ত চলছে। একটি প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়া গেছে, প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে হাই প্রোফাইল তদন্ত চলছে। রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
জ্বালানি দিবস উদযাপন উপলক্ষে আজ বুধবার সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। কয়লা গায়েব হওয়ার তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে কি না -জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই। সবই ট্রান্সপারেন্ট থাকবে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়লা গায়েবের বিষয়ে একটা সাময়িক তদন্ত হয়েছে। বড় আকারে তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয থেকে তারা গিয়েছিলেন। তারা এখনও রিপোর্ট পেশ করেননি। আশা করছি, এ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবেন। তারপর আমরা দাফতরিকভাবে ব্যবস্থা নেব।
ইতোমধ্যে মামলা হয়েছে, সেটারও একটা তদন্ত চলছে। আমরা কোনোভাবে কোনো জায়গায় কোনো গাফিলতিকে প্রশ্রয় দেব না। আমরা কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেব না। আগামীতে দুর্নীতিমুক্ত জ্বালানি ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই।
তিতাসের কয়েকটি ফিল্ড বন্ধ হয়ে গেছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, গ্যাসের মজুদ কমতে শুরু করেছে। আমরা আগে থেকেই ধারণা করেছিলাম ২০১৮ তে এসে গ্যাসের মজুদ কমে যাবে। এরই মধ্যে কমে যেতে শুরু করেছে। এ জন্য আমরা জ্বালানি আমদানির দিকে নজর দিয়েছি। পাশাপাশি দেশের মধ্যে অনুসন্ধান জোরদার করা হচ্ছে, সেখানেও কিছু গ্যাস পাওয়া গেছে।
বছরে দুই বিলিয়ন ডলারের জ্বালানি আমদানির প্রয়োজন পড়বে। প্রশ্ন ছিলো এতে ডলার রির্জাভে কোনো প্রভাব পড়বে কি-না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুই বিলিয়ন ডলার কিছুই না। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এই দুই বিলিয়নের সুফল পড়বে ২০ গুণ। এতে কোনো সমস্যা হবে না। সূত্র: কালের কণ্ঠ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস