বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে মন্ত্রিসভায় অনুমোদন পাওয়া সড়ক পরিবহন আইনকে শুভঙ্করের ফাঁকি বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, গতকাল সোমবার তড়িঘড়ি করে মন্ত্রিপরিষদে সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনে দুর্বৃত্ত ও গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে। এটি একটি শুভঙ্করের ফাঁকি।
সড়ক পরিবহন আইন আদৌ সংসদে পাস হবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, এ আইন নিরাপদ সড়কের জন্য পর্যাপ্ত নয়। এ আইন গণপরিবহনে নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল পরিবেশ ফিরিয়ে আসবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।
‘গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর পুলিশের পাশাপাশি ছাত্রলীগ-যুবলীগ সশস্ত্র অবস্থায় হামলা করেছে তা দেখে দেশের মানুষ হতভম্ব।’
শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর ও নিষ্ঠুর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসহ সারা বিশ্বে নিন্দার ঝড় বইছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রিজভী বলেন, পুলিশ হল আইনের রক্ষক। আর সেই পুলিশ অস্ত্রধারীদের সহযোগী হিসেবে কাজ করছে, এমন দৃশ্য কি কোনো স্বাধীন দেশে চিন্তা করা যায়?
তিনি বলেন, গতকাল শেখ হাসিনার সোনার ছেলেদের সশস্ত্র আক্রমণ প্রমাণ করে দিয়েছে, তার নির্দেশেই শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা করা হয়েছে।
‘রামপুরায় ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়, বসুন্ধরায় নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়, শাহবাগসহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। পুলিশের সহযোগিতায় সরকারি দলের হামলাকারীদের হিংস্রতা তীব্র রূপ ধারণ করেছে।’
গত পরশুও ধানমণ্ডিতে পুলিশ-ছাত্রলীগ-যুবলীগ শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বর হামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে উল্লেখ করে বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আর কোনো বাবা-মায়ের কোল খালি হোক আমি চাই না। তার এ বক্তব্যও মানুষের মনে আতঙ্ক ধরিয়েছে। প্রতিনিয়ত মায়ের কোল খালি হচ্ছে গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যার মাধ্যমে।
রিজভী বলেন, আলোকচিত্রী শহীদুল আলমকে অপহরণ করে কয়েক ঘণ্টা গুম রাখার পর গ্রেফতার দেখানো হয়। জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। তাই ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের হাতে এখন আর কেউ নিরাপদ নয়। সূত্র: যুগান্তর।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস