বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা:রাজধানীতে বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বিচার চেয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা একটি কমিটি গঠন করেছে। কমিটির নাম ‘সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধ ছাত্র আন্দোলন’।
আজ মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী শেখ শাফীকে এই কমিটির মুখপাত্র করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা তাদের সাত দফা দাবির কথা জানায়।
দাবিগুলো হলো : শিক্ষার্থী হত্যার বিচার, ছাত্রদের অর্ধেক ভাড়া সর্বত্র কার্যকর, এক জীবনের আয়ের দ্বিগুণ ক্ষতিপূরণ, আন্দোলনে আটক হওয়া শিক্ষার্থীদের মুক্তি, সড়কসংলগ্ন সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফুটওভার ব্রিজ তৈরি, নৌপরিবহনমন্ত্রীর পদত্যাগ, লাইসেন্সবিহীন চালক ও ফিটনেসবিহীন গাড়ি নিষিদ্ধ করা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাস চাপা দেওয়ার ঘটনায় ও এর পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহনমন্ত্রীর কাণ্ডজ্ঞানহীন ও ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের প্রতিবাদে ঢাকার অধিকাংশ কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানে পুলিশি বাধায় পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে পড়ে। সেখান থেকে পুলিশ তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়।’
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে আগামীকাল বেলা ১১টায় সায়েন্স ল্যাবে এক সংবাদ সম্মেলনের কথা জানানো হয়। তারা জানায়, সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
গত ২৯ জুলাই রাজধানীর কুর্মিটোলার এয়ারপোর্ট রোডে বাসের চাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো চারজন। নিহত শিক্ষার্থীরা হলো শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী দিয়া খানম মীম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম।
ঘটনার পরে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং শতাধিক বাস ভাঙচুর করে। এরপর গত তিন দিন ধরেই টানা অবরোধ করে চলেছে কলেজটির শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া এই বিচারের দাবিতে অবরোধ কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছে অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও।
বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ