শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
মাও সেতুংয়ের জন্মদিনে চীনের আকাশে ‘গোপন বৈশিষ্ট্যের’ যুদ্ধবিমান ক্রসফায়ারে নিহত বিএনপি নেতার পরিবারকে বাড়ি দিচ্ছেন তারেক রহমান নাশকতাকারীরা কোনোভাবেই দেশপ্রেমিক হতে পারে না : ধর্ম উপদেষ্টা গুম অবস্থায় ভারতের কারাগারে যাওয়ার লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন সুখরঞ্জন ঢাকা মেইলের সাংবাদিক কাজী রফিক আর নেই পাকিস্তানে পৃথক সংঘর্ষে এক মেজর ও ১৩ সন্ত্রাসী নিহত ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক বারবার জাতীয় পতাকাকে খামচে ধরছে পুরোনো শকুন: উপদেষ্টা আদিলুর রহমান আরাকান থেকে পালিয়ে দেশে ঢুকেছে আরও ৩৪ রোহিঙ্গা তেল আবিব বিমানবন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দাবি হুথিদের আবাসন মেলায় ৪০৩ কোটি টাকার ফ্ল্যাট-প্লট বুকিং নির্বাচনেও যেতে হবে কিন্তু তার আগে মানুষকে স্বস্তি দিতে হবে: দেবপ্রিয় ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজমীর বরখাস্তের আদেশ বাতিল: আইএসপিআর গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় যাওয়ার প্রধান ফটক হলো নির্বাচন: ফখরুল সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শুরু সংস্কারের বিষয়ে ঐকমত্য হতে হবে, কাউকে প্রতিপক্ষ ভাবা ঠিক নয় জাতীয় নাগরিক কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল হবে না: সারজিস আলম খালেদা জিয়া-তারেক রহমানের নির্বাচনে অংশ নিতে আইনি বাধা নেই ঢাকামাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকারে বাসের ধাক্কা, নিহত ৫ নাশকতা নাকি দুর্ঘটনা তদন্ত চলছে: ফায়ারের ডিজি

ইউএনও’দের রাজনৈতিক জীবন সম্পর্কে গোপন তদন্ত, প্রশাসনে তোলপাড়

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮
  • ১৯১ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাংলাদেশের পুলিশ বিভাগের এক চিঠিতে দেখা যাচ্ছে যে, সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের শিক্ষাজীবনের রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা ও তাদের পরিবার বা নিকটাত্মীয়দের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনুসন্ধান চালাতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো সব জেলা স্পেশাল ব্রাঞ্চের পুলিশ সুপারদের।

গত ২৭শে জুন ইস্যু করা ওই চিঠিতে পহেলা জুলাইয়ের মধ্যে একজন ইন্সপেক্টর বা পরিদর্শক পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত করতে এবং এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা ও সতর্কতা বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

তবে উপজেলা পর্যায়ে প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তা-ইউএনও’রা প্রায় সবাই এটি জেনে ক্ষুব্ধ হয়েছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন মন্তব্য করতে কেউই রাজী হননি।

বাংলাদেশের সাধারণত সরকারি চাকুরীতে নিয়োগ পাওয়ার আগেই মনোনীত প্রার্থীদের বিষয়ে একটি তদন্ত করে পুলিশ। পুলিশ ভেরিফিকেশন রিপোর্ট চাকুরীতে যোগদানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ বলে বিবেচনা করা হয়।

এতে মূলত দেখা হয়, মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ আছে কি-না বা মামলা আছে কি-না কিংবা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে কি-না।

পুলিশের চিঠির একাংশ
পুলিশের চিঠির একাংশ।

কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশে পুলিশের বিশেষ শাখা (স্পেশাল ব্রাঞ্চের রাজনৈতিক বিভাগ) থেকে মাঠপর্যায়ে পুলিশ বিভাগের কাছে পাঠানো ঐ চিঠি নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

চিঠিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বা ইউএনওদের সম্পর্কে যেসব বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে তার মধ্যে রয়েছে — কর্মকর্তা ও তার পিতার নাম পরিচয়, স্থায়ী ও কর্মস্থলের থানার রেকর্ড, তিনি স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন ও সেখান রাজনীতি করেছেন কি-না, রাজনৈতিক মতাদর্শ, পরিবার বা নিকটাত্মীয়দের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা থাকলে সে সম্পর্কে তথ্যসহ আরও কয়েকটি বিষয়।

তবে পুলিশ বা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কেউ বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচ. টি. ইমামের কাছে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে পুলিশের এ ধরনের পদক্ষেপের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে তিনিও কোন মন্তব্য করতে রাজী হননি।

তবে চিঠিটি নিয়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে।

দক্ষিণাঞ্চলের একটি উপজেলায় ইউএনও হিসেবে কাজ করেছেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেন, একজন ক্যাডার হিসেবে যোগদানের বেশ কয়েক বছর পর নিজ যোগ্যতাবলে যখন ইউএনও হন তখন পুলিশ দিয়ে এ ধরনের অনুসন্ধান করানো অসম্মানজনক।

তিনি বলেন, কোন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও সেটি তদন্ত হতেই পারে কিন্তু ঢালাওভাবে ইউএনওদের বিষয়ে পুলিশের পরিদর্শক পদমর্যাদার কর্মকর্তা দিয়ে তদন্ত করানো কোন ভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা।

আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, একজন ইউএনও হওয়ার পর তার স্কুল-কলেজের ইতিহাস খোঁজাটাই তো হাস্যকর। কারণ বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পরই এ ধরনের তদন্ত হয়ে গেছে।

ওই কর্মকর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে ইউএনওদের মধ্যে ক্ষোভের প্রেক্ষাপটে জনপ্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে অনানুষ্ঠানিকভাবে তুলেছেন কর্মকর্তারা।

কিন্তু মন্ত্রণালয় থেকেও উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পুলিশের ওই চিঠির কপি ও ভাষা দেখে।

কয়েকজন ইউএনও বিবিসিকে বলেছেন, তারা নিশ্চিত যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এমন কিছু করা হয়নি।

একজন ইউএনও বলেন, “পুলিশ হয়তো নিজ থেকেই এটি করেছে প্রশাসন ক্যাডারের প্রতি হীনমন্যতা থেকে।”

ওদিকে পুলিশের একটি সূত্র ও দুজন ইউএনও’র কাছ থেকে পাওয়া ওই চিঠির কপিতে দেখা যাচ্ছে জেলা পুলিশ সুপারকে তার জেলার প্রত্যেক ইউএনও সম্পর্কেই তথ্য দিতে বলা হয়েছে।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি বাংলা/এসএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com