বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: শুক্রবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া ঘাটে কর্মস্থলমুখী যাত্রী ও যানবাহনের ঢল নেমেছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিমুলিয়া ঘাট থেকে যাত্রী ও যানবাহন শূন্য ফেরি, লঞ্চ, স্পীডবোট এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করছে প্রশাসন। বাড়তি ভাড়া ও অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের অভিযোগ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপে এক লঞ্চ যাত্রী পন্টুন থেকে পানিতে পড়ে গেলে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা তাকে উদ্ধার করলে অল্পের জন্য সে প্রানে বেঁচে যায়।
বিআইডব্লিউটিসিসহ একাধিক সূত্র জানায়, শুক্রবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে কাঠালবাড়ি ঘাটে ঢাকাগামী মানুষের ও যানবাহনের প্রচন্ড ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। লঞ্চ, স্পীডবোট ও ফেরিতে কানায় কানায় পূর্ন যাত্রীতে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রশাসন শিমুলিয়া থেকে খালি ফেরি, লঞ্চ, স্পীডবোট এনে ভীড় সামাল দিচ্ছেন। অন্যান্য দিন ফেরিতে যানবাহন সংকট থাকলেও এদিন সকাল থেকেই যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়েছে ঘাটে। দক্ষিনাঞ্চলের সকল জেলা থেকে ছেড়ে আসা যানবাহনের সাথে সাথে এ রুটের ফেরি, লঞ্চ, স্পীডবোটেও বাড়তি ভাড়ার অভিযোগ রয়েছে। লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করতে দেখা গেছে। যাত্রী চাপ বেশি থাকায় ফেরিতে পর্যাপ্ত যানবাহন উঠতে পারছে না। যাত্রীদের নিরাপত্তায় ও ওভারলোড ঠেকাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদের নেতৃত্বে বিআইডব্লিউটিএ পুলিশ, বিআইডব্লিউটিসি, ফায়ার সার্ভিস, আনসার যৌথভাবে কাজ করছে। বর্তমানে এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, দুই শতাধিক স্পিডবোট ও ১৯টি ফেরি যাত্রীসেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আহমেদ বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে যাত্রীদের ঢল নেমেছে কাঠালবাড়ি ঘাটে। বাধ্য হয়ে আমরা শিমুলিয়া থেকে খালি ফেরি, লঞ্চ ও স্পীডবোট আনছি। ফেরিতেও যাত্রীদের অগ্রাধিকার দেয়া হচ্ছে। তবে কোথাও কোন যাত্রী হয়রানির শীকার হয়নি।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস