রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৪৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন

বিএনপি’র কর্মীরা রিকশা চালায়-মির্জা ফখরুল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ২১ জুন, ২০১৮
  • ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা:  বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৬ জুনের পর সাংবাদিক ভাইয়েরা যেমন ফল বিক্রি করেছেন, আজ তেমনি আমাদের রাজনৈতিক কর্মীরা ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘তারা হকার হয়েছেন, তারা কোনো বাড়ির নাইট গার্ডের কাজ করেন। কেউ এলাকায় থাকতে পারছেন না, সবাই চলে এসেছেন যে যার মতো করে।  এই ঢাকা শহরের এক পাড়ার লোক সে পাড়ায় থাকতে পারছেন না, অন্য পাড়ায় চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং ঢাকা সাংবদিক ইউনিয়নের একাংশের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘প্রতিদিনই আমরা কথা বলছি, কথা শুনছি, অনেক কথা বলছি।  এখন এই কথাবার্তা খুব বেশি আমার নিজেরই শুনতে ইচ্ছে করে না, বলতেও ইচ্ছে করে না।  এজন্য যে আমরা ধীরে ধীরে একটা অন্ধকার গহ্বরের দিকে প্রবেশ করেছি, যে গহ্ববরের শেষ দিকে আলোর রেখা দেখা যাচ্ছে না। আমরা মনে পড়ে এই প্রেস ক্লাবেই ২০১০ সালে মাহামুদুর রহমান সাহেব (আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক) গ্রেফতার হওয়ার পরে পাশেই একটি আলোচনা সভায় আমি জোরের সঙ্গে বলেছিলাম যে, আমরা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা প্রবর্তনের সব লক্ষণগুলো দেখতে পাচ্ছি।’

বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, ‘আমাদের দলের অনেকে এসে বলে, স্যার কী হবে? আমি বলি, হতাশাই শেষ কথা হতে পারে না, লড়াই করো, লড়াই করতে করতে আমরা একটা জায়গায় গিয়ে পৌঁছাব-ই। আমরা তো এই বংলাদেশেই দেখেছি, নয় বছর, দশ বছর, বাংলাদেশেই তো একদলীয় শাসন ব্যবস্থা বাকশাল দেখেছি, কিন্তু এই বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু জেগে উঠেছে। এই বাংলাদেশের মানুষই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ধ্বংসস্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো উড়ে গেছে। আমাদেরকে সেইভাবে এগোতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমরা রাজনীতিক দল হিসেবে, একটা মধ্যপন্থী দল হিসেবে উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে সব সময় গণতন্ত্রের রাস্তাটা খুঁজি। একটা পরিসর খুঁজি, স্পেস খুঁজি। ডেমোক্রেসির একটা স্পেস থাকলে আমরা একটু কমফোরটেবল ফিল করি; আমি একটা বক্তৃতা করব, আমি মাঠের মধ্যে একটা জনসভা করব, আমি রাস্তায় মিছিল করব, আমার বক্তব্যগুলো জনগণের কাছে তুলে ধরব। জনগণ একসময় আমাদের সঙ্গে আসবে। এটাই আমরা অতীতে দেখেছি। এখনকার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন।  একটা ভীতি, ত্রাসের ফোবিয়া ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। গত কয়েক বছরে তাদের নিপীড়ন, নির্যাতন, হত্যা, শিশুকে আটকে রেখে ব্লাকমেইল-কী না হয়েছে!’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এখন আমাদের দায়িত্ব হলো সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করা, মানুষের মধ্যে সাহস জাগানো।  আর তরুণদের কাছে আমি সব সময় যে কথাটা বলি, জেগে উঠতে হবে। পৃথিবীর যে কোনো দেশে, যে কোনো সমাজে তরুণরা ছাড়া সমাজকে জাগাতে পারবে না। তরুণদের সামনে এগিয়ে আসতে হবে। আমরা ওয়ার্ল্ড কাপ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব, ক্রিকেট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব, আমরা ভালো কনসার্ট নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাব কিন্তু দেশ যে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে তার দিকে তো ঘুরে তাকাতে হবে।  তাদের ভূমিকা পালন করতে হবে।’

নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গত রাতেও (বুধবার) গাজীপুরের কাশিমপুরে আমাদের দলের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ কারণে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে সরানোর জন্য বলে আসছি আমরা।  যেদিন আমাদের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিল আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করল, তাকেসহ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করা হলো। আর হাইকোর্ট যেদিন নির্বাচন বন্ধ করল ওইদিন আমাদের আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ২১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা দিল। এটা হলো আমাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন! এটা হলো আমাদের সিইসি সাহেবের খুলনার মতো নির্বাচন না হওয়ার নমুনা।’

সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীর সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে শওকত মাহমুদ, মাহামুদুর রহমান, সৈয়দ আবদাল আহমেদ, কাদের গনি চৌধুরী প্রমুখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com