সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:০৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠক: দু’জনই স্নায়ুচাপ ও উত্তেজনা লুকাতে ব্যর্থ

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮
  • ১৩৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: মঙ্গলবার সকালে সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বৈঠকে বসেন। একই সময় হোটেলের নির্ধারিত কক্ষে প্রবেশ করেন তারা। প্রথমে বামদিক থেকে কক্ষে প্রবেশ করেন কিম।

এরপর ডানদিক থেকে প্রবেশ করেন ট্রাম্প। এরপর ট্রাম্প হাত বাড়িয়ে দিয়ে ১৩ সেকেন্ডের করমর্দন আর কিমের পিঠ চাপড়ে দেন। বৈঠকজুড়ে ট্রাম্প ও কিমের শরীরী ভাষা কেমন ছিল তা নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে শরীরী ভাষা বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, ঐতিহাসিক বৈঠকের শুরুতেই ট্রাম্প ও কিমকে একে অপরের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করতে গেছে।

প্রথম আগমন কিমের

বৈঠকের উদ্দেশ্যে ট্রাম্পই প্রথম শাংরি-লা হোটেল ছেড়ে কাপেলা হোটেলে দিকে রওনা হন। কিন্তু ট্রাম্পের অন্তত সাত মিনিট আগে হোটেলে পৌঁছান কিম। কিমের পক্ষ থেকে এটাকে বৈঠকের প্রতি কিমের শ্রদ্ধার বিষয়টি দেখছেন সাংবাদিকরা।

পরিচয়পর্ব

সাক্ষাতের প্রথম ৬০ সেকেন্ডে দেখা গেছে, দুই নেতাই পরিস্থিতি নিজের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার চেষ্টা করছেন। সিঙ্গাপুরভিত্তিক শরীরী ভাষাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইনফ্লুয়েন্স সলিউশনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কারেন লেয়ং বলেন, ‘হাত মেলানোর সময় দু’জনকেই সমকক্ষ মনে হচ্ছিল। নিজেকে নেতা এবং বিষয়টির ওপর নিয়ন্ত্রণ আছে দেখাতে বেশ সচেতন ছিলেন ট্রাম্প।

তিনি চাচ্ছিলেন, তার কথাবার্তা অগ্রাধিকার দেয়া হোক এবং বৈঠকের নেতা তিনিই তা প্রকাশ করতে দেখা গেছে।’

১৩ সেকেন্ডের করমর্দন

করমর্দন ছিল এ বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। শুরুতেই পরিস্থিতি কার নিয়ন্ত্রণে তা অনেকটাই নির্ধারিত হয়ে যায় করমর্দনের মাধ্যমে। এদিকটাই বিশেষ মনোযোগ ছিল বিশেষজ্ঞদের। কিমসহ এ পর্যন্ত তিন করমর্দনে আগে হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। অনেকের মতে, তার করমর্দন করার ধরন অনেকটা ‘বর্বরের’ মতো।

এর আগে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাত্রেঁদ্ধার সঙ্গে শক্ত করে চেপে ধরে করমর্দন করেন ট্রাম্প। কিমের সঙ্গেও একইভাবে করমর্দন করেছেন তিনি এবং সেটা ১৩ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল। শরীরী ভাষা বিশেষজ্ঞ ট্রেসি ব্রাউন বলেন, শুরু থেকেই কিমের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের জন্যই এমনটা করেন ট্রাম্প।

কিমের চওড়া হাসি

ফটোসেশনের সময় কিম চিরাচরিত একটা চওড়া হাসি দেন। কোরীয় সংস্কৃতিতে ‘এমন হাসি দেয়া হয় সাধারণত সত্যিকার আবেগ আড়াল করা ও নিরপেক্ষ ও ভদ্রতার প্রদর্শনের লক্ষ্যে’।

হাত সামনে রেখে ট্রাম্পের সোজা অবস্থান

কথা বলার সময় দুই হাত কাছাকাছি রেখে সোজা হয়ে বসেছিলেন ট্রাম্প। এটা প্রায়ই তার নিজের ক্ষমতা জাহির করার একটা ধরন। এটা তার আত্মবিশ্বাস নিজেকে প্রবোধ দেয়ার ইঙ্গিত বহন করে। এছাড়া ট্রাম্পের ছিল তির্যক হাসি এবং হাত উশখুশ। এর মানে ওই সময় কিছুটা অনিশ্চয়তা বোধ করছিলেন তিনি। শরীরী ভাষার বিশেষজ্ঞ লিয়ং আরও বলেন, ‘বৈঠক কক্ষে বসার পরও দু’জনই স্নায়ুচাপ ও উত্তেজনা লুকাতে ব্যর্থ হয়েছেন। দুই হাত দিয়ে অস্থিরতা ঢাকার চেষ্টার পাশাপাশি চটজলদি হাসিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন ট্রাম্প। অন্যদিকে খানিক ঝুঁকে থাকা কিমের চোখ ছিল মাটির দিকে।

কিমের পিঠে ট্রাম্পের চাপড়

বৈঠকে ট্রাম্পকে বেশ কয়েকবার কিমের কাঁধে ও পিঠ চাপড়ে দিতে দেখা যায়। এটা বৈঠকে তার প্রভাব ও আধিপত্য প্রতিষ্ঠার আকাক্সক্ষাকে নির্দেশ করে।

ট্রাম্প বক্তা, কিম শ্রোতা

বৈঠকের প্রথম পর্বে ট্রাম্পই বেশি সময় ধরে কথা বলেছেন, কিম ছিলেন অত্যন্ত মনোযোগী। বৈঠক কক্ষে যাওয়ার আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা অন্তত তিনবার ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকে কথা শোনার চেষ্টা করেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের বাহুতে চাপড় দিয়ে কিম মুখোমুখি সাক্ষাতে নিজের নিয়ন্ত্রণ আছে এটা দেখাতেও সচেষ্ট ছিলেন।

বাংলা৭১নিউজ/সূত্র:বিবিসি/এএফপি/এসএস

 

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com