বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, নির্ধারিত সময়ের পর এ্যাকর্ড এবং এ্যালায়েন্সের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হবে না। ৩১ মে এ্যাকর্ডের এবং ৩০ জুন এ্যালায়েন্সের মেয়াদ শেষ হবে, এরপর ৬ মাস কার্যক্রম গুছিয়ে নেয়ার সময় দেয়া হবে। বাংলাদেশে এ দু‘টি সংস্থার আর প্রয়োজন হবে না। সংগত কারনেই এ্যাকর্ড ও এ্যালায়েন্সের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। পৃথিবীর কোথাও এ ধরনের সংস্থার কার্যক্রম নেই। বাংলাদেশ এখন তৈরী পোশাক শিল্প কল-কারখানা গুলোর নিরাপত্তা ও কর্মবান্ধব পরিবেশ তদারকির সক্ষমতা অর্জন করেছে।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম বৃদ্ধি করা হয়েছে। অপ্রত্যাশিত রানা প্লাজা দুর্ঘটনার পর এখন পর্যন্ত কোন দুর্ঘটনা ঘটেনি। এখন থেকে নিয়মিত পরিদর্শনের কাজ রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল (আরসিসি) করবে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ সকল কাজ করার জন্য বাংলাদেশ সক্ষমতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশে একের পর এক গ্রীন ফ্যাক্টরী গড়ে উঠছে। কারখানাগুলো এখন নিরাপদ ও কর্মবান্ধব। তৈরী পোশাক কারখানাগুলোর এখন বিশে^র মানের। বাংলাদেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরী পোশাক। মোট রপ্তারি প্রায় ৮২ ভাগ আসে তৈরী পোশাক রপ্তানি করে। এ বছর আমাদেরর রপ্তানি হবে সেবা খাতসহ ৪১.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (৩১ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল ফিতর সুষ্ঠুভাবে উদযাপন উপলক্ষে তৈরী পোশাক শিল্প খাতে নিয়োজিত শ্রমিকদের বেতন, বোনাস ও অন্যান্য ভাতাদি সময়মত পরিশোধ এবং ঈদের ছুটি সমন্বয় বিষয়াদি পর্যালোচনার লক্ষে আয়োজিত বিশেষ সভায় সভাপতিত্ব করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, শ্রমিকদের বেতন, ভাতা, বোনাস নিয়ে কোন ধরনের সমস্যা হবে না। শ্রমিকরা যথাসময়ে তাদের পাওনাদী বুঝে পাবেন। শিল্প মালিকগণ খুবই সতর্কতার সাথে এ বিষয়ে সজাগ রয়েছেন। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে গ্রহণ করা হয়েছে। শিল্প মালিকগণ এ বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নিয়ম অনুযায়ি শ্রমিকদের প্রথমে নির্ধারিত সময়ে বেতন এবং ঈদের ছুটির আগেই বোনাস প্রদান করা হবে। এ নিয়ে কোন ধরনের জটিলতা হবে না। ঈদের আগে শ্রমিকদের ছুটি, নিরাপদ যাতায়ত এবং নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেস ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যাতে শ্রমিকদের কোন ধরনের সমস্যা না হয়।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে অতিরিক্ত সচিব মুন্সী সফিউল হক, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, বিজিএমই-এর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান, বিটিএমএ-এর পরিচালক বি এম শোয়েবসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং শ্রম কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিগন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস