রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০২:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
স্বর্ণের দাম আরও বাড়ল এবার পোশাকে নায়িকাদের নাম ফুটিয়ে হাজির ভাবনা সোনালী আঁশের সুদিন ফিরিয়ে আনতে চাই: পাটমন্ত্রী অনিয়ম এড়াতে মোবাইল অ্যাপে চাল বিক্রি ৩০ দিনের মধ্যে শহীদ আনোয়ারা উদ্যান ফেরতের দাবি মাগুরায় রেলপথ শিগগিরই চালু হবে : রেলমন্ত্রী যিনি দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিল আপনি তো ওনারই সন্তান হেফাজত নেতা মামুনুল হক ডিবিতে যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পুলিশ প্রস্তুত: আইজিপি সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মধ্যে স্কুলসামগ্রী বিতরণ শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের জাল ভোট পড়লেই কেন্দ্র বন্ধ: ইসি হাবিব ইসলামী ব্যাংকের সঙ্গে অ্যাস্ট্রা এয়ারওয়েজের চুক্তি স্বাক্ষর ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু ডেপুটি গভর্নর বাংলাদেশ ব্যাংকে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশে বাধা নেই বেনাপোল-পেট্রাপোল দিয়ে ভারত ভ্রমণে তিনদিনের নিষেধাজ্ঞা ঢাবিতে বিষমুক্ত ফল নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন গোপালগঞ্জের সেপটিক ট্যাংকে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ২ শ্রমিক নিহত দিল্লির তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে ভোট বর্জনই বিএনপির আন্দোলন: এ্যানি আফগানিস্তানে বন্যায় ৫০ জনের মৃত্যু

বাংলাদেশে বেতন বোনাস নিয়ে ঈদের আগে গার্মেন্টসে বিশৃঙ্খলার আশঙ্কা

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় সোমবার, ২৮ মে, ২০১৮
  • ২৬৬ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: প্রতি বছরই ঈদের আগে পোশাক শ্রমিকরা বেতন বোনাসের দাবিতে আন্দোলনে নামেন৷ এবার ঈদের বেশ কিছুদিন আগেই বিভিন্ন  এলাকায় শ্রমিকদের আন্দোলন শুরু হয়েছে৷ তবে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি৷

সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, প্রতি বছরের মতো এবারও ঈদের আগে রাজধানীর আশেপাশেসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার বেশ কিছু পোশাক কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের আশঙ্কা রয়েছে৷ বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে এ বছর আগেভাগেই তা আমলে নিয়েছে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও বিজিএমইএ কর্তৃপক্ষ৷ ইতিমধ্যেই তৈরি পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকা বলে খ্যাত ঢাকার আশুলিয়া, টঙ্গী, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, চট্টগ্রামে বাড়ানো হয়েছে নজরদারী৷

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার জানান, ‘এবার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন৷ এখনই অনেক গার্মেন্টসে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে৷ আজ গাজীপুরে একটি গার্মেন্টসে বোনাসের জন্য শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন৷ এবার শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো নির্ধারণের জন্য যে কমিটি করা হয়েছে ওই কমিটি বৈঠকই করতে পারছে না৷ তারিখ ঠিক হলেও বিজিএমইএ সভাপতি বিদেশে চলে যান৷ মালিক পক্ষের অসহযোগিতার কারণে ওই বৈঠকগুলো হচ্ছে না৷ এবার ঈদে বেতন-বোনাসের সঙ্গে এই ইস্যুটা যুক্ত হতে পারে৷ ফলে শ্রমিক আন্দোলনের আশংকা আছে৷”

তবে বিজিএমইএ সভাপতি এই ধরনের আশঙ্কা আমলে নিতে রাজি নন৷ তিনি বলেন, ‘‘এবার পরিস্থিতি একটু ভিন্ন৷ কারণ মাসের মাঝামাঝিতে ঈদ পড়েছে৷ ফলে একটা সংকট তো হতেই পারে৷ কারণ বেতন দিতে হবে, বোনাস দিতে হবে৷ সবগুলো একসঙ্গে দিতে গেলে মালিকরা তো একটু চাপে পড়বেন৷ তবে আমরা আলোচনা করে সব সমস্যার সামাধান করে ফেলবো৷ আর শ্রমিকরা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সমস্যা সমাধান করতে পারে৷ শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনার কিছু নেই৷”

ঈদের আগে শ্রমিকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে বেতন ভাতা পায় সেজন্য ব্যবস্থা নিতে সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ এর জন্য অন্যান্য বছরের মতো এবারও কেন্দ্রীয়ভাবে ক্রাইসিস কন্ট্রোল রুম কাজ করছে৷ এর বাইরে আঞ্চলিক ক্রাইসিস কমিটি রয়েছে৷

গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর রশীদ বলেন, ‘‘আমরা বিষয়টার দিকে নজর রাখছি৷ মালিকদের ইতিমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে৷ কোন মালিক নির্দেশনা না মানলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে৷ ঈদের বেতন বোনাসকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটার সুযোগ আমরা দেব না৷ শ্রমিকদের বেতন বোনাস দিতে হবে৷ মালিকদের বলেছি, রেশনিং করে শ্রমিকদের ছুটির ব্যবস্থা করতে৷”

বিজিএমইএ সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, কারখানা মালিকদেরকে আগামী জুন মাসে একসঙ্গে প্রায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করতে হবে৷ জুন মাসেই পরিশোধ করতে হবে মে মাসের বেতন৷ এর পর দিতে হবে ঈদের বোনাস৷ একই সঙ্গে জুন মাসের পুরোটা না হলেও আংশিক বেতন দিতে হতে পারে৷ এর ফলে মালিকদের ওপর এক ধরনের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে৷

এদিকে উৎপাদনে নেই দেড় হাজারেরও বেশি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা৷ এর মধ্যে কিছু কারখানা স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে গেছে৷ কিছু কারখানায় নেই রপ্তানি আদেশ৷ কাজ না থাকায় এসব কারখানাও বন্ধ হওয়ার পথে৷ ফলে এসব কারখানার শ্রমিকদের বেতন-বোনাস কীভাবে হবে তা নিয়ে আছে শংকা৷

এত কারখানা বন্ধ হওয়ায় পোশাক খাত যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনি মালিক এবং শ্রমিক উভয় শ্রেণিই বিপদে পড়েছে৷ জানা গেছে, ২০১৩ সালে রানা প্লাজা ধসের পর নিয়মিত উৎপাদনে না থাকাসহ অন্যান্য কারণে ৫৫০ কারখানার সদস্যপদ বাতিল করেছে বিজিএমইএ৷ আয়-ব্যয়ের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারায় ৩০০ কারখানা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছে মালিক পক্ষ৷ নিয়মিত উৎপাদনে না থাকার কারণে ১৮০ কারখানার সদস্যপদ বাতিল করেছে বিকেএমইএ৷

বিকেএমইএ ভুক্ত ২০০ কারখানা নিজেরাই বন্ধ করে দিয়েছেন মালিকরা৷ সংস্কার কার্যক্রমে অগ্রগতি দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এ পর্যন্ত ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ২৩২ কারখানা৷ এসব কারখানার সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন ক্রেতারা৷ এ কারখানাগুলো দুই জোটের কোনো ক্রেতার রপ্তানি আদেশ পাচ্ছে না৷ কার্যত এসব কারখানা এখন বন্ধ৷

বাংলা৭১নিউজ/তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে/এসএইচ

 

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com