বাংলা৭১নিউজ, হিলি প্রতিনিধি: হিলিতে স্ত্রী ও মেয়েকে অসত আচরনের জন্য স্কুল থেকে বহিস্কার করায় সাগর ইসলাম রণি নামের একব্যাক্তি প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মেয়ের সাথে শীলতাহানির চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ এনে উপজেলা নিবার্হী অফিসার বরাবরে অভিযোগ দায়ের করেছে।
উপজেলা নিবার্হী অফিসে দায়েরকৃত অভিযোগ সুত্রে জানাযায়, হাকিমপুর উপজেলার দক্ষিণ বাসুদেবপুরে হিলি পাবলিক স্কুলের স্বতাধিকারী ও প্রধান শিক্ষক এ এফ এম রাফেউল করিমের বিরুদ্ধে ওই স্কুলের ২য় ক্যাম্পাসের বহিস্কৃত ৭ম শ্রেনীর ছাত্রীর সাথে অশ্লিল আচরন ও গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করে বলে ওই ছাত্রীর পিতা একই মহল্লার আব্দুল বারী খাঁর ছেলে সাগর ইসলাম রনী এই অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে ইউএনও শুকরিয়া পারভীন বিআরডিবি অফিসার মো: আশরাফুল আলমকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি তদন্ত টিমও গঠন করে দিয়েছেন।
সরেজমিনে অনুসন্ধানে জানাযায়, স্কুলটি গত ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকেই অদ্যাবধি ইশ্বনিয় ফলাফল করে আসায় একটি কুচক্রি মহলের নিকট গাত্র দাহের কারন হয়ে দাড়িয়েছে। এরই ফলোশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠানটির ভাবমুত্তি ক্ষুন্ন করতে বারংবার ওই কুচক্রি মহলটি ইতিপুর্বেও তার বিরুদ্ধে মিথ্যা ইফটিজিং মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করেন। সেই মামলায় সে আদালতে নিদোশ প্রমানিত হয়।
সে যাত্রায় ব্যার্থ হওয়ার পর ওইএকই চক্রটি অভিন্্য কায়দায় বহিস্কৃত আয়া এবং ওই আয়ার বহিস্কৃত ৭ম শ্রেনী পড়–য়া ছাত্রীকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে হিলি পাবলিক স্কুল ও স্কুল প্রধানের ভাবমুত্তি ক্ষুন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ এফ এম রাফেউল করিম বলেন, অভিযোগকারী সাগর আসলাম রণির স্ত্রী পারভীন আক্তার ওই স্কুলের আয়ার পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে চাকরি করতেন। অদাচরনের কারনে তাকে পর পর ৩ বার বরখাস্ত করা হয়। এর পর স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনুরোধে তাকে চাকুরীতে পুনবহাল করা হলেও সে আরও বেপরোয়া হয়ে মদ্যর্প অবস্থায় স্কুলে আসা যাওয়া করতে থাকে।
এবং স্বামী স্ত্রী দুজনে স্কুলে মদ্যপ অবস্থায় প্রবেশ করে মারামারি ঘটনাও ঘটিয়েছে। যার কারেন ওই আয়াকে গত ১ মে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
এবং তার মেয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ও এক সহপাঠীকে প্রেম ঘটিত অভিযোগসহ উস্লিংখল আচরনের কারনে গত ১২ মে স্কুল থেকে বহিস্কার করা হয়। ওই ছাত্রী ও তার সহপাঠির কাছ থেকে মোবাইল ও প্রেমপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মা ও মেয়েকে স্কুল থেকে বহিস্কার করায় ওই কুচক্রি মহল সাগর ইসলাম রনির মাধ্যমে নাটক সাজিয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ দেয়।
৭ম শ্রেনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্র জানায়, ওই বহিস্কৃত আয়ার মেয়ে তাকে ক্লাস রুমে প্রেমের প্রস্তাব দেয় এবং তাদেরকে বাজে বাজে কথা বলে থাকেন।
সহকারী শিক্ষক রুহুল আমীন, আল মামুন, আব্দুল ওয়াদুদ জানান, আয়াকে বহিস্কার ও আয়ার মেয়ে ৭ম শ্রেনীর স্কুলছাত্রীকে স্কুলের শৃংখলা ভঙ্গের কারনে বহিস্কার করায় তারা স্কুল ও প্রতিষ্ঠাপ্রধানের ভাবমুত্তি ক্ষুন্ন করার জন্য অভিযোগ দিয়ে মান ক্ষুন্ন করছে।
সাগর ইসলাম রনির প্রতিবেশী সারোয়ার হোসেন জানান, রনির পরিবারটি উশ্লিংখল প্রকৃতির।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস