রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

দুর্ঘটনা এড়াতে ওভারলোডিং ইন্ডিকেটর

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ২২ মে, ২০১৮
  • ৪৬৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, মাদারীপুর প্রতিনিধি: মাদারীপুরের মেয়ে আমিরা খানম আয়শা নৌযানে দুর্ঘটনা এড়াতে ওভারলোডিং ইন্ডিকেটর উদ্ভাবন করে সকলকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। তার এ উদ্ভাবনটি চলতি বছর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে।

সেই সাথে উজ্জ্বল করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম। আমিরা খানম আয়শা শরীয়তপুর জেড.এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ৩য় বর্ষের ছাত্রী। আমিরা মাদারীপুর পৌরসভার ১নং শকুনি মহল্লার হামিদ শিকদার সড়কের আহসান হাবিব ও মিনারা খানমের বড় মেয়ে। সে ২০০৯ সালে মাদারীপুর টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে এসএসসি (ইলেকট্রনিক্স) পাস করে।

২০১৪ সালে শরিয়তপুর পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা শেষ করে ২০১৬ জেড.এইচ. সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং) বিভাগে ভর্তি হয়।

চলতি বছর ১২-১৩ মে শরীয়তপুর জেড.এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় আমিরা খানম আয়শা তার সহপাঠি আমির হামজাকে সঙ্গে নিয়ে নৌযানে ওভারলোডিং ইন্ডিকেটর উদ্ভাবন করে মেলায় প্রদর্শন করে। মেলায় প্রদর্শিত এটি অন্যান্য উদ্ভাবনকে ছাপিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে।

আমিরার এ উদ্ভাবনে অনুপ্রেরণা, মেধা ও শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করেছেন একই  বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান মো. সোহেল রানা এবং প্রভাষক মো. জহিরুল ইসলাম।

নৌযানে দুর্ঘটনা এড়াতে উদ্ভাবিত ওভারলোডিং ইন্ডিকেটরের কাজ হলো-এটি কোন লঞ্চ বা স্টিমারে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে লাইট ও শব্দ সংকেত (এলার্ম) এর মাধ্যমে যাত্রীদের জানাবে যে, এই নৌযানে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে। একই সাথে নির্দিষ্ট একটি মোবাইল নাম্বারে কল চলে যাবে। যতক্ষণ পর্যন্ত যাত্রী বা অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে নির্দিষ্ট ওজনে না আনা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত ইন্ডিকেটর সার্কিট থেকে সংকেত দিতেই থাকবে। ঠিক একই সময় নৌযানে স্থাপিত ইন্ডিকেটর থেকে কন্ট্রোল রুমে সেট করা নাম্বারে কল চলে যাবে। এটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের যে কোন প্রান্ত থেকে এ কলের মাধ্যমে লঞ্চ বা নৌযানের ওভারলোডিং-এর বিষয়টি মুহূর্তের মধ্যে জানা যাবে।

এতে ব্যবহৃত মোবাইল সিস্টেমটি এ কলটির কাজ করতেই থাকবে। এ সিস্টেম ব্যবহার করে ্একটি নির্দিষ্ট ওজন এর পর লঞ্চটি আরো অতিরিক্ত ওজন/যাত্রী বহন করলেই এ সার্কিটটি এলার্ম ও লাইট জ্বালিয়ে ইন্ডিকেট করতে থাকবে। এর পরেও যদি অতিরিক্ত যাত্রী বহন বা ওজনের কারণে লঞ্চ বা নৌযানটি দুর্ঘটনার কবলে পরে ডুবে যায়; তখনও সার্কিট থেকে কল যেতেই থাকবে।

যতক্ষণ পর্যন্ত নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে সার্কিট ততক্ষণ পর্যন্ত সংকেত পাঠাতে থাকবে। শুধু তাই নয় নাম্বার লোকেট করে ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে ডুবে যাওয়ার আগের লোকেশনও জানা সম্ভব হবে। ফলে উদ্ধার কাজ ত্বরান্বিত হবে এবং যাত্রীদের মৃত্যুঝুঁকি কম থাকবে।

ফলে পিনাক-৬ এর মত হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটা কমবে। এ সার্কিটে কিছু ইলেকট্রনিক্স কম্পোনেট ব্যবহার করা হয়েছে এবং এটির সাথে মোবাইল সিস্টেম ব্যবহার করার কারণে এটি অনেকটা সহজ লভ্য। বাংলাদেশ নদী মাতৃক দেশ। দেশের নৌযাত্রা নিরাপদ রাখার বিষয়টি মাথায় রেখে এ ইন্ডকেটর তৈরির মূল উদ্দেশ্য বলে আমিরা দাবী করেছে।

আমিরার সাথে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য, ইচ্ছা শক্তি, কল্পনা ও মেধার বিকাশ ঘটিয়ে তা বাস্তবায়নে এ সার্কিটে সংযুক্ত করার চেষ্টা করেছে। আগামীতে আরো আপডেট করে নতুন কিছু সংযুক্ত করার ইচ্ছা আছে তার। যাতে নৌপথে দুর্ঘটনা পুরোপুরি এড়াতে না পারলেও অনেকটা কমে আসবে এবং জীবনের ঝুঁকিও বহুলাংশে হ্রাস পাবে। উদ্ভাবিত ইন্ডিকেটর সার্কিটটি নৌযানের দুর্ঘটনা রোধে ব্যাপক ভূমিকা রাখতে পারে বলেও আমিরার বিশ্বাস।

আমিরা খানম আয়শা ভবিষ্যতে নৌযানে অতিরিক্ত ওভারলোড হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে এমন ধরণের নতুন কিছু উদ্ভাবনের চিন্তা করছে। এ ছাড়াও যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে লঞ্চ বা কোন নৌযান দূর্ঘটনার কবলে পরে ডুবে যায়; তা‘হলে জরুরি দরজা স্বয়ংক্রিয়ভাবে খুলে যাবে। এ ধরণের নতুন কিছু উদ্ভাবনের চিন্তা মাথায় রেখে গবেষনার কাজে এগিয়ে যাচ্ছে আমিরা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com