বাংলা৭১নিউজ, বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ব্যস্ততম সড়কের পাশে অবৈধভাবে মালামাল সংরক্ষন বিপণনের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে। রাস্তা জুড়ে বিভিন্ন মালামাল সংরক্ষন ও বিপণনের কারনে সড়ক দূর্ঘটনাসহ যানবাহন চলাচলে নানা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাগেরহাটের সাইনবোট – বগি আঞ্চলিক মহাসড়কের মোরেলগঞ্জ অংশের মহাসড়ক সহ বিভিন্ন সড়কের পাশের্^ ও সড়ক জুড়ে অবৈধভাবে মালামাল সংরক্ষন করে আসছে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল। নিজ স্বার্থ চরিতার্থ করতে সড়ক জুড়ে ইট,বালি,খোয়া,কাঠের গুড়ি সহ বাস, ট্রাক অবৈধভাবে রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। আর এর কারনে যানবাহন ও পথচারীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। ঘটছে অনেক দূর্ঘটনা।
৩০ মার্চ দুপুরে বগী-সাইনবোর্ড আঞ্চলিক মহাসড়কের খালকুলা এলাকায় সড়ক দূর্ঘটনায় সানকিভাঙ্গা গ্রামের নুরুল হক শেখের পুত্র সুমন (২৬), ১৮ মার্চ বাগেরহাট-মোরেলগঞ্জ মহাসড়কের দোনা এলাকায় দূর্ঘটনায় মা শিল্পী আক্তার (৩৫) ও ছেলে স্কুল ছাত্র মো. ওমর (৭), ২৯ জানুয়ারী নব্বইরশি বাস ষ্ট্যান্ডের সন্নিকটে রাস্তার উপর রাখা নিরব ঘাতক ট্রাকের ধাক্কায় তন্ময় মালিঙ্গা (২৮)যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এভাবে প্রতিদিন কমবেশী সড়ক দূর্ঘটনা ঘটেছে। বাড়ছে মৃত্যুও হার।
এসব নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুজ্জামান ছোলমবাড়িয়া বাসষ্ট্যান্ড থেকে দৈবজ্ঞহাটী পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশের্^ অবৈধভাবে ইট,বালু ও কাঠের গুটি সংরক্ষনকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। আর এ অভিযোগে মহাসড়কের আইনের আওতায় ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এসময় তাকে সহায়তা করেন সহকারী কমিশনা (ভূমি) মো. আলমগীর হুসাইন ও মোরেলগঞ্জ থানা পুলিশ।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান জানান , মোরেলগঞ্জ বাজার, পোলেরহাট বাজার ও দৈবজ্ঞহাটি বাজারে পবিত্র রমজানে দ্রব্যমূল্য, খাবার-ইফতারি সামগ্রির মান, মুদি দোকানে দ্রব্যমূল্য প্রদর্শণ, পশু খাদ্য ও মাছের খাবার বিক্রির লাইসেন্স ইত্যাদি বিষয়ে মনিটরিং করা হয়েছে। এসময় পোলেরহাট ও দৈবজ্ঞহাটি বাজারে পঁচা মাছ, নিষিদ্ধ বিদেশী মাগুর ও পিরানহা মাছ জব্দ ও নষ্ট করা হয়।
এছাড়াও মাছ, মাংস, মুদি, ওষুধ, কাপড় ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদেরকে ডেকে একসাথে তাদেরকে ব্রিফিং করা হয়। স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এর সিল/অনুমতি ব্যতিত পশু জবাই করা যাবেনা, ইঞ্চি-গজ এর বদলে মিটার-সেন্টিমিটার স্কেলে কাপড় পরিমাপ ও আনা-তোলা-ভরি এর বদলে গ্রামে স্বর্ণ পরিমাপের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে ব্যবসায়ীদেরকে অবহিত করা হয়। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ও কর্মকর্তা।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস