বাংলা৭১নিউজ, আক্তারুজ্জামান বাচ্চু, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরায় স্কুল ছাত্রী অপহরণের দায়ে একজনকে যাবজ্জীবন ও এক নারীকে ধর্ষন চেষ্টার অপরাধে একজনকে পাঁচ বছরের কারাদন্ডাদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (১৬ মে) দুপুরে সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক হোসনে আরা আক্তার পৃথক এ রায় ঘোষণা করেন। একই সাথে বিচারক আসামীদের জরিমানাও করেছেন।
কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, জেলার শ্যামনগর উপজেলার চালতেঘাটার আব্দুর রহমান ঢালীর ছেলে আব্দুস সোবহান ঢালী (যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত) ও একই উপজেলার হেঞ্চি গ্রামের বেলায়েত গাজীর ছেলে নুরুল ইসলাম (পাঁচ বছরের দন্ডপ্রাপ্ত)। আসামীরা পলাতক রয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর সাতক্ষীরা পৌরসভার বাকাল বারুইপাড়ার এক ছাত্রীকে স্কুলে যাওয়ার সময় প্রাইভেটকারে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় চিৎকার শুনে ওই গাড়ীর গতিরোধ করে স্কুল স্ত্রীকে উদ্ধার করে এলাকাবাসী। তবে পালিয়ে যায় অপহরণকারী আব্দুস সোবহান। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিচারক আসামী সোবহানকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
অপর মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, হেঞ্চি গ্রামের নুরুল ইসলাম একই গ্রামের ফজর আলীর মেয়েকে বিভিন্ন সময়ে উত্ত্যক্ত করতো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে বাড়ির পাশের রাস্তায় একা পেয়ে নুরুল ইসলাম তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ ঘটনায় নির্যাতিত নারী নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিচারক আসামী নুরুল ইসলামকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাকে আরো তিন মাসের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন।
সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট জহুরুল হায়দার বাবু জানান, দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা পলাতক রয়েছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস