বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: সরকার দলীয় সংসদ সদস্য রহমত উল্লাহর ভাগ্নে ফারুক আহমেদের প্ররোচনায়, ষড়যন্ত্র ও নির্দেশেই অপরাপর আসামিরা কামরুজ্জামান ওরফে দুখু মিয়াকে গুলি করে হত্যা করে ও অন্যান্যদের জখম করে। ঘটনার সময় প্রকাশ্য দিবালোকে দুখু মিয়াকে গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা ও একাধিক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি করে মারাত্মক জখম করা হয়। তদন্তকালে আসামিদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ আসছে।
সোমবার রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার এসআই খন্দকার রাজীব আহমেদ। আদালতে দাখিল করা তদন্ত কর্মকর্তার ওই আবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
বাড্ডা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বেরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের ছোট ভাই দুখু মিয়া। এমপি ভাগ্নে ফারুক আহমেদ ছাড়া অপর দুই আসামি হলেনÑ ফারুকের চাচাতো ভাই ও বেরাইদ ইউপি সদস্য মারুফ আহম্মেদ এবং আইয়ুব আনছারী।
আবেদনে বলা হয়, আসামিদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তদন্তের যে কোন পর্যায়ে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের প্রয়োজন হতে পারেন। এ ছাড়া এদিন রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের প্রধান কৌঁসুলি মো. আব্দুল্লাহ আবু, আবদুর রহমান হাওলাদার আসামিদের জামিনের বিরোধীতা করেন। অপরদিকে আসামিপক্ষে আইনজীবী আবু সাঈদ জামিন শুনানি বলেন, মামলাটি মিথ্যা, বানোয়াট ও হয়ারনীমূলক। তারা ঘটনার সাথে জড়িত না। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের মামলায় জড়ানো হয়েছে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ জামিন নাকচ করে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ১০ মে এ মামলায় ওই তিন আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরও আগে ৮ মে মামলায় এ মামলায় ওই তিন আসামিসহ ২৪ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। ওই তিন জনের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠালেও বাকি ২১ জনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
২২ এপ্রিল বেরাইদে আসামিদের ছোড়া গুলিতে দুখু নিহত হন। গুলিবিদ্ধ হন আরও অন্তত ১০ জন। এ ঘটনায় জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে এমপি ভাগ্নে ফারুক আহমেদকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বাড্ডা থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস