বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আমাদের রপ্তানি খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরীর বিকল্প নেই। দেশের রপ্তানি দ্রুত বেড়েই চরছে। সে তুলনায় আমাদের দক্ষ জনশক্তি তৈরী করা খুবই জরুরি। বর্তমান সরকার সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা মোতাবেক দেশের রপ্তানি পণ্যের খাত ও বাজার বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। এর মধ্যে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাদুকা, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্লাষ্টিক খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এগুলো আমাদের উজ্জল সম্ভাবনাময় খাত। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ খাতে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে বিশ^ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এ্যাসোসিয়েশন(আইডিএ) এগিয়ে এসেছে। রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে এ খাতে ১.৫ মিলিয়ন দক্ষ জনশক্তি তৈরীর উদ্দেশ্যে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পে আইডিএ-এর সহায়তা থাকবে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ সরকারের থাকবে ১৯.১২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রকল্পটি ২০২৩ সালে শেষ হবে। এর ফলে বাংলাশের পণ্য রপ্তানি বাড়বে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
বাণিজ্যমন্ত্রী শনিবার দিবাগত রাতে ঢাকায় লা মেরিডিয়ান হোটেলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত “ এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস(ইসি৪জে) প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েই চলছে। বিগত সাড়ে নয় বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ নিজ অর্থায়নে পদ্মসেতু নির্মাণ করছে। মেট্রোরেল, কর্ণফুলি টানেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ দেশে বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প সফল ভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। দেশ স্বাধীন হবার পর যারা বাংলাদেশকে বলতো বিশে^র দরিদ্র দেশের মডেল, তলাবিহীন ঝুড়ি। আজ তারাই বলছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন মিরাক্কেল। গত অর্থ বছরে বাংলাদেশ পণ্য রপ্তানি করেছে প্রায় ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, সেবা খাতসহ মোট রপ্তানি ছিল ৩৭.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২১ সালে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির পরিমান দাঁড়াবে ৬০ বিলিয়র মার্কিন ডলারের বেশি। সংগত কারনেই আমাদের রপ্তানি খাতে দক্ষ জনমক্তি প্রয়োজন। দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরী করতে এ ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়ন খুবই প্রয়োজন।
এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (ডাইরেকটর ট্রেড অর্গানার্জেশন) মো. ওবায়দুল আজম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু এবং বিশ^ব্যাংকের ঢাকা অফিসের হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম লিডার ঞবশধনব অুধষবি ইবষধু, উল্লিখিত চার সেক্টরের ব্যবসায়ীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন প্লাস্টিক এ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. জসিম উদ্দিন, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি কারক সমিতির প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব সারোয়ার হাসান আলো এবং এ প্রকল্পের বিশ^ব্যাংকের টিম লিডার হোসনা ফেরদৌস সুমী।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস