বাংলা৭১নিউজ, মোঃ মনজুর-ই-মওলা সাব্বির, নাটোর প্রতিনিধি: শাকিল শাওন ইমন। এক ভূমিহীন বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ার সময়ই বাবা আব্দুল কুদ্দুস মৃধা অসুস্থ্য হয়ে মারা যান। মা ছাবিয়া বেগম মাত্র ১২শ টাকা মাসিক বেতনে অন্যের বাড়িতে ঝি এর কাজ করেন। কপালের ফেরে আগে থেকেই নেই নানা-নানী ও দাদা-দাদী। ফলে দেখারও কেউ নেই।
একটি মাত্র ছোট্র ছাপড়া ঘরে দুটি ছাগলের সাথেই বসবাস করে মা আর ছেলে। সেই ঘরে পড়াশুনা করেই এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে নাটোরের পন্ডিতগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে এই ইয়াতিম ছাত্র শাকিল শাওন ইমন।
ইমন এবং তার স্কুলের প্রধান শিক্ষক কামাল হোসেন জানান, শুরু থেকেই সে স্কুলে বিনা বেতনে লেখাপড়া করেছে। স্কুলের সব শিক্ষক তাকে বিনা বেতন প্রয়োজন মতো প্রাইভেটও পড়িয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার সময় বোর্ড ফি ১৪শ টাকার প্রয়োজন দেখা দিলে ইমনের ক্লাশের বন্ধুরা বাড়িয়ে দেয় সহযোগীতার হাত। ক্লাশের বন্ধুরা সবাই মিলেই ১৪শ টাকা জমা করে তার এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপ করে দেয়। ইমন তার বন্ধু ও শিক্ষকদের সহযোগীতার সম্মান রেখেছে ।
একমাত্র সেই তার স্কুল থেকে গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে। তার মা ছাবিয়া বেগম জিপিএ-৫ কি আগে তা না বুঝলেও সবার কথা শুনে বুঝতে পারছেন তার ছেলে এসএসসিতে ভালো ফলাফল করেছে, তবে ছেলে এত ভাল ফলাফলে খুশী না হয়ে উল্টো এখন ছেলের উচ্চ শিক্ষার স্বপ্ন কিভাবে সফল করবেন সেই চিন্তায় হতাশ হয়ে পড়েছেন।
ইমনের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভকিষ্যতে সে কম্পিউটার ইঞ্জিয়ার হতে চায়। কিন্তু আশা করলেও উচ্চ শিক্ষার এ বিশাল খরচ কিভাবে যোগাড় হবে তার কুল কিনারা পাচ্ছেনা। তাই সমাজের ধনী ও হৃদয়বান মানুষের কাছে তার প্রার্থনা যদি তারা শাওনের পাশে দাঁড়ান তবে একদিন অবশ্যই শাওনের উচ্চ শিক্ষা গ্রহন করে একজন ভালো মানুষ হওয়ার স্বপ্ন পুরন হবেই।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস