বাংলা৭১নিউজ, বেনাপোল প্রতিনিধি: যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার বাগআচড়া ৭ মাইল গরুর খাটাল থেকে ১০ টি জেবরা উদ্ধারের ঘটনায় শার্শা থানায় বুধবার গভীর রাতে খাটালের মালিক বাগআচড়া সাত মাইল এলাকার আব্দুল বিশ্বাশের ছেলে মো. তুতু মিয়া (৪০), বেনাপোল পোর্ট থানার পুটখালি গ্রামের আবুল সর্দারের ছেলে মো. মুক্তি (৪৫),ঢাকার উত্বরার আব্দুল মান্নান ভূইয়ার ছেলে রানা ভূঁইয়া (২৮), বগুড়ার চকপাড়া গ্রামের আহাদ আলী সর্দারের ছেলে কামরুজ্জামান বাবুসহ (৩২) পাঁচ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে নয়টি জেব্রার আনুমানিক মূল্য বলা হয়েছে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেবরা গুলো খুলনা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ বিভাগের কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুিনরুজ্জামান জানান, টার্কিশ এয়ারলাইন্সের কার্গো বিমানে করে জেব্রা গুলেঅ ঢাকায় আনা হয়। আর সেখান থেকে বড় দুটি খাঁচায় করে যশোরের শার্শা উপজেলার বাগআঁচডার সাতমাইল গরুর খাটালে এনে রাখা হয় ভারতে পাচারের জন্য।
তার ভাষ্য— ‘আমরা জেব্রাগুলো উদ্ধারের সময় দুটি খাঁচা পেয়েছি। এই খাঁচার ওপরে একটি টার্কিশ সিল ছিল। যা থেকে বোঝা যায়, জেব্রাগুলো তুরস্ক থেকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এরপর ঢাকা থেকে খাঁচায় করে এখানে নিয়ে আসা হয়।
যশোরের বন কর্মকর্তা সরোয়ার আলম খান বলেন “এগুলো অবশ্যই বাইরের দেশ থেকে এসেছে। কার্গো বিমান বা জাহাজযোগে এসেছে মনে হচ্ছে। এগুলো আফ্রিকার জেব্রা হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।”
একটি জেব্রা মারা যাওয়ার কারণ প্রসঙ্গে বন কর্মকর্তা বলেন, সাধারণত দুটি কারণে এসব জেব্রার মৃত্যু হতে পারে। যদি কোনো রোগ থাকে অথবা জার্নি শক বা ভ্রমণ ক্লান্তির কারণে মারা যেতে পারে।
বাংলাদেশে এভাবে জেব্রা উদ্ধারের খবর এর আগে শোনা যাযনি বলেও তিনি জানান। দেশে এধরনের প্রাণীর খামার নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশে জেব্রার কোনো খামার গড়ে ওঠেনি। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখন আদালতে মামলা যাবে। আদালত এরপর বন বিভাগের জিম্মায় দিলে জেব্রাগুলো ঢাকার সাফারি পার্ক বা চিডিয়াখানায় পাঠানো হবে।”
জার্নি শক বা ভ্রমণ ক্লান্তি থাকায় জেব্রাগুলোর বিশেষ যতেœর প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন এই বন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, বর্তমানে পানি ও ঘাস দিয়ে এগুলোকে চাঙ্গা রাখা হচ্ছে। সেই সঙ্গে ফ্যানের বাতাস দেওযার ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রাণীগুলো খুব ক্লাšত, বিশেষ যতœ দরকার। নাহলে আরো মারা যেতে পারে।
উল্লেখ্য, মো. তুতু মিয়াসহ মামলার সবাই আন্তর্জাতিক অআইল্ড চোরাচালােনর সাথে জড়িত । ভারতে বন্য প্রানী পাচারের জন্য বাগআচড়া , পুটখালি সীমান্তে একটি শক্তি শালী সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে।
২০১৭ সালের ১৩ নভেম্বর ভারতের পাচারের সময় পুলিশ’র হাতে ২টি বাঘ, ২টি সিঙহের সাবক আটক করা হয়। যা একই সিন্ডিকেটের সদস্যরাই ভারতে পাচার করছিল বলে পুলিশ জানায়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস