বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলার চার আসামিকে পুলিশকে মারধর করে গুরুতর জখমের মামলায় গ্রফতার দেখানো হয়েছে।
মঙ্গলবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. গোলাম নবী আসামিদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করে রিমান্ড শুনানির জন্য আগামী ১০ মে দিন ধার্য করেন।
আসামিরা হলেন, রাকিবুল হাসান ওরফে রাকিব, আলী হোসেন শেখ ওরফে আলী, মাসুদ আলম ওরফে মাসুদ ও আবু সাঈদ ফজলে রাব্বির ওরফে সিয়াম।
চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবন ভাঙচুরের মামলায় এ আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। রিমান্ড শেষে বর্তমানে আসামিরা কারাগারে রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, চলতি বছরের ৯ এপ্রিল রাত সাড়ে ১২টা থেকে ২টার মধ্য শতাধিক মুখোশধারীরা উপাচার্যের বাড়িতে হামলা চালায়।
সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র লোহার রড, পাইপ, হেমার, লাঠি ইত্যাতি নিয়ে উপাচার্যের বাড়ির ওয়াল টপকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে।
দুষ্কৃতকারীরা ঐতিহ্যবাহী ভবনে সংরক্ষিত মূল্যবান জিনিসপত্র, আসবাবপত্র, টিভি, ফ্রিজ, ফ্যানসহ সকল মালামাল ভাঙচুর করে।
ভবনে রক্ষিত দুটি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। ভবনে রক্ষিত সিটি ক্যামেরা ভাঙচুর করে ও আলামত নষ্টের জন্য কম্পিউটারে রক্ষিত ডিভিআর পুড়িয়ে দেয়। এতে কমপক্ষে দেড়কোটি টাকার ক্ষতি হয়।
এ ঘটনায় ১০ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এসএম কামরুল আহসান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ছাড়া একই সময় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাস্তা বন্ধ করে টায়ার ও আসবাবপত্র জালানোসহ নাশকতা সৃষ্টি এবং পুলিশকে মারধরের ঘটনায় আরও তিনটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তবে কোনো মামলার এজাহারেই আসামির নাম উল্লেখ নেই।
অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিটি মামলাই রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করা হয়। ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বাহাউদ্দিন ফারুকী পুলিশকে মারধরের এ মামলাটি তদন্ত করছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস