বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানুর রহমান মিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুদকের সেগুনবাগিচা কার্যালয়ে অভিযোগ অনুসন্ধানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।তাকে দুদকের উপপরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
গত ২৫ এপ্রিল দুদকের তলবি নোটিশে সাড়া দিয়ে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে হাজির হন মিজান।দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক। এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে তলব করা হয়েছে।দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক। এই অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তাকে তলব করা হয়েছে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, ডিআইজি মিজান পুলিশের উচ্চ পদে থেকে তদ্বির, নিয়োগ, বদলিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ আছে।চাকরি জীবনে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে নানা উপায়ে শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে-বেনামে বিলাসবহুল বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট ও জমি রয়েছে। একাধিক ব্যাংক হিসাবে রয়েছে বিপুল অর্থ ও ফিক্সড ডিপোজিট। এমনকি দেশের বাইরে অর্থ পাচারেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।উল্লেখ্য, বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনৈক সংবাদ পাঠিকাকে হত্যার হুমকি দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিআইজি) মিজানুর রহমান।এর আগে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে এবং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল তার বিরুদ্ধে।
মরিয়ম আক্তার ইকো নামের ওই নারী দাবি করেছিলেন, ঘরে বউ-সন্তান রেখে তাকে জোর করে বিয়ে করার পর ৪ মাস সংসার করেছিলেন ডিআইজি মিজান। ওই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ সদর দপ্তরে সংযুক্ত করা হয় এবং অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়।গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ওই তদন্ত প্রতিবেদন পুলিশ প্রধানের কাছে জমা দিয়েছে কমিটি। ওই সময় এ সম্পর্কিত বিভিন্ন অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে তিনি হত্যার হুমকি দিয়েছিলেন সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের।
বাংলা৭১নিউজ/জেড এইচ