রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:৪৫ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
ইসলামী ব্যাংকের সচেতনতা বিষয়ক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত ‘দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষার বিকল্প নেই’ বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সম্প্রসারণ করতে চায় কানাডা কুমিল্লায় বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু দূতাবাসগুলোর কার্যক্রম তদারকির নির্দেশনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স্বাস্থ্যসেবার আওতাধীন খাতে ইউজার ফি আদায়ে নীতিমালার সুপারিশ ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে সরকার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সহজলভ্য উৎস খোঁজার তাগিদ প্রতিমন্ত্রীর বান্দরবানে বন্দুকযুদ্ধে ৩ কেএনএফ সদস্য নিহত সুইজারল্যান্ড সফর শেষে দেশে ফিরেছেন স্পিকার জঙ্গিবাদ পুরোপুরি নির্মূল না হলেও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে: আইজিপি টেকসই উন্নয়নে সময়োপযোগী আর্থিক ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ইশরাক ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে পালানোর সময় জনতার হাতে ধরা পুলিশ কর্মকর্তা কঙ্গোতে সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে কালশী ট্রাফিক বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশাচালকরা কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার

এদেশে কোন জঙ্গি সন্ত্রাসের স্থান নেই, জয়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুণ: প্রধানমন্ত্রী

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বৃহস্পতিবার, ৫ মে, ২০১৬
  • ১৮০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদেশে কোন জঙ্গি সন্ত্রাসের স্থান নেই। এদেশের মাটি ব্যবহার করে কাউকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া হবে না। তিনি বলেন, ‘অনেকে জঙ্গি সন্ত্রাসের ধোয়া তুলে এদেশকে নিয়ে খেলার চেষ্টা করবে। কিন্তু আমি বেঁচে থাকতে এদেশকে নিয়ে কাউকে খেলতে দেবো না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী জয় সম্পর্কে সম্প্রতি একটি মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। জয় এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেছে। বিএনপি নেত্রীকে আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার সংসদে ১০ম সংসদের ১০ম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় থাকাকালে এদেশ জঙ্গি সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল। দুর্নীতি, সন্ত্রাস, হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রই হচ্ছে বিএনপির রাজনীতির মূলমন্ত্র।

ঘুষ-দুর্নীতিতে বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তার দুই পুত্র চ্যাম্পিয়ন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল এবং মানুষকে শোষণ করাই ছিল বিএনপি আমলের চিত্র।

তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া যখন প্রধানমন্ত্রী ছিল তখন তিনি কালো টাকা সাদা করেছেন। রাষ্ট্রীয় ব্যাংক থেকে তাদের পরিবার শত শত কোটি টাকা লুটপাট করেছে। বাংলাদেশ ওই সময় বিশ্বসভায় দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন ছিল। এটাই ছিল বাংলাদেশের পরিচয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর সেই পরিচয় থেকে বেরিয়ে এসে আজকের বাংলাদেশ হচ্ছে উন্নয়নের রোল মডেল। বিএনপি নেত্রীর দুই ছেলেই দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন। তাদের মানি লন্ডারিং সিঙ্গাপুরের আদালতে প্রমাণিত। এফবিআই-এর লোক এসে এখানে সাক্ষী দিয়ে গেছেন। বেগম খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে টাকা এনে এতিমের টাকা লুটপাট করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এক তার বার্তায় বিএনপি নেত্রীর বড় ছেলে সিমেন্সসহ বিভিন্ন কোম্পানি থেকে ঘুষ নিয়েছিল তার উল্লেখ করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে একটি মামলা হয়েছে। সেখানে সিমেন্স কোম্পানি থেকে যে ঘুষ নিয়েছে সেটা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল কোর্টে প্রমাণ হয়েছে এবং বিভিন্ন কোম্পানি থেকে তার ছেলে কত ডলার ঘুষ নিয়েছে এটাও উল্লেখ রয়েছে। এই টাকা সিঙ্গাপুরের সিটি ব্যাংকে বিএনপি নেত্রীর ছেলের বন্ধুর নামে রাখা হয়েছে এবং সেখানে সে ধরা পড়েছে ব্যাংকের কার্ড ব্যবহার করতে গিয়ে। এমনকি একটি হত্যা মামলা ঘুষ নিয়েছিল তার ছেলে। এটি তাদের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেছে। এসব দুর্নীতির মাধ্যমে যাদের সম্পদ ছিল ছেড়া গেঞ্জি আর ভাঙ্গা সুটকেস তারা শত শত কোটি টাকার মালিক হয়ে যায়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা নিজেরা মানি লন্ডারিং দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তারা এতো টাকা ঘুষ খেয়েছে যে আমেরিকার এফবিআই’র অফিসারকে পর্যন্ত টাকা দিয়ে কিনে ফেলেছে। এফবিআই’র অফিসারকে কিনতে গিয়ে বিএনপির এক নেতা আমেরিকাতে আটক হয়েছে। সেখানে তার বিচার হয়েছে। ওই বিচার কার্যক্রমে বিএনপি নেত্রীর উপদেষ্টা শফিক রেহমান ও মাহমুদুর রহমানের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। তারা সজীব ওয়াজেদ জয়কে হত্যার পরিকল্পনার বিষয়টি ওঠে এসেছে।

তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেত্রী জয় সম্পর্কে সম্প্রতি একটি মিথ্যা অভিযোগ এনেছেন। জয় এ বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেছে। বিএনপি নেত্রীকে আমি সেই চ্যালেঞ্জ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি এবং শেখ রেহানা আমাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করিয়েছি। চোর-চোট্টা বানাইনি। ২১ আগস্ট আমাকে হত্যায় ব্যর্থ হয়ে এখন আমার ছেলেকে হত্যার ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’

তিনি বলেন, রাজনীতি জনগণের কল্যাণে এবং জনগণের জন্য। দেশের মানুষের কল্যাণে ১৯৯৬-২০০১ এবং ২০০৮ সালের পর ক্ষমতায় এসে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। রিজার্ভ ২৯ বিলিয়নে উন্নীত হয়েছে। প্রবৃদ্ধি ৭ ভাগের উপরে অর্জিত হয়েছে। দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখা হয়েছে। মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬১-এ নেমে এসেছে। জনগণের মাথাপিছু আয় ১ হাজার ৪৪৬ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। ৫ কোটি মানুষ দারিদ্র্য সীমা থেকে উঠে এসে নিম্ন মধ্য আয়ে পৌঁছেছে। ৭ বছরে ৩০ লাখ ৭৫ হাজার ৭০৮ জনের বিদেশে কর্মসংস্থান হয়েছে। দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। রফতানি আয় বেড়ে ৩২ দশমিক ২ ডলারে উন্নীত হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মাধ্যমে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এতে মা ও শিশু মৃত্যু হার কমেছে। গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে শিক্ষার হার ৭১ ভাগে উন্নীত হয়েছে। মানুষের দোরগোড়ায় শিক্ষা পৌঁছে দিতে বিনামূল্যে বই বিতরণ করা হচ্ছে। প্রাথমিক থেকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত মেধাবৃত্তি ও উপবৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, কৃষকদের উৎপাদন খরচ কমাতে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলা এবং কৃষকদের মাঝে কৃষি উপকরণ কার্ড বিতরণ করা হয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১০৪টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। বর্তমানে ১৪ হাজার ৭শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি। দেশের ৭৬ ভাগ মানুষ এখন বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে।

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচ

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com