বাংলা৭১নিউজ, আদমদীঘি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের অটোরিক্সা চালক আব্দুস সালাম সান্তাহার-রানীনগর সড়কে অটোরিক্সা চালাতেন । স্ত্রী সন্তানসহ ছয়জনের সুখের পরিবার ছিল তাঁর। কিন্তু হঠাৎ করে তার জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। প্রায় ছয় মাস আগে অটোরিক্সা নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে হঠাৎ তিনি হৃদযন্ত্রের অসুখে আক্রান্ত হন। এ সময় তার শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় তার জীবনের সকল কর্মকান্ড । এখন তিনি আর কোন কাজ করতে পারেন না ।
ছয়জনের সংসার চালাতে তাকে হিমসিম খেতে হচ্ছে। সাহায়্যের হাত বাড়িয়ে ঘুরে ফিরছেন মানুষের দুয়ারে দুয়ারে । কিন্তু কোন জায়গা থেকে কোন প্রকার সাহায্যে পাচ্ছেন না আব্দুস সালাম। তিনি নিরুপায় হয়ে গত রোববার আসেন সান্তাহার প্র্রেসক্লাবে। সেখানে তিনি বর্ননা করেন তার অসহায় জীবনের কথা। আব্দুস সালাম কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, কারো কাছে কোন দিন হাত পাতিনি। এখনও হাত পাততে কষ্ট লাগে ।
কিন্তু যখন ছেলে মেয়েদের উপোস অবস্থা দেখি তখন কষ্টে বুক ফেটে যায়। ইচ্ছা না থাকা সর্ত্তেও ছুটে যায় মানুষের কাছে। প্রায় ছয়মাস ধরে ঘুরছি চেয়ারম্যান মেম্বার সহ অনেকের কাছে।
তিনি বলেন, আমার শ্রমিক সংগঠনের কাছে সাহায্যে চেয়েছিলাম কিন্তু সেখান থেকে শুধু আমার নিজের জমানো পাঁচ’শ টাকা দেয়া হয়েছে। সান্তাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এরশাদূল হকের কাছে একটি হুইল চেয়ার চেয়েছিলাম কিন্তু পাই নি। আব্দুস সালাম বলেন, আমি একজন শ্রমিক কিন্তু কোন শ্রমিক সংগঠন আমার এই অসময়ে পাশে এসে দাড়ায়নি। তিনি আরো বলেন,বর্তমানে টাকার অভাবে তাঁর চিকিৎসা বন্ধ হয়ে গেছে। আব্দুস সালাম তাঁর সন্তানদের কষ্টের কথা ভেবে সমাজের বৃত্তবানদের নিকট থেকে সাহায়্যের আবেদন করেছেন। আব্দুস সালামের মুঠোফোন নম্বর-০১৭৯১৭৮১৫৭৭ ।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস