বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে মধ্যরাতে ছাত্রীদের বের করে দেয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে হলটির প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবি করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও নুরুল হক নূর আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।
আজ শুক্রবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শেষে এ কথা বলেন নেতারা।
অন্যদিকে রাজু ভাস্কর্যের উত্তর দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ অবস্থান নেয়। কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামন থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কথা থাকলে ছাত্রলীগের অবস্থানের কারণে তা পরিবর্তন করে রাজু ভাস্কর্য থেকে আন্দোলন করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
রাজু ভাস্কর্যের সামনে সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর বলেন, গভীর রাতে হল থেকে ছাত্রীদের বের করে দেয়ার ঘটনা পৃথিবীতে বিরল। ছাত্রীদের অভিভাবকদের ডেকে এনে কাউকে অভিভাবক ছাড়া বের করে দেয়া হয়। হুমকি দেয়া হয় মিডিয়ার সঙ্গে কথা না বলার জন্য। হল থেকে বহিষ্কার করার হুমকিও দেয়া হয়।
হলটির প্রাধ্যক্ষের একটি অডিও রেকর্ড প্রচার হয়েছে। তিনি বলেছেন, আন্দোলনে অংশ নেয়া ছাত্রীদের সংখ্যা ২ হাজার হলেও তাদের বহিষ্কার করা হবে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যে পরিচয় দিয়েছে তা ন্যাক্কারজনক।
এসময় রাশেদ খান বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাতে চাই, শিক্ষার্থী হেনস্তা বন্ধে উদ্যোগ নিন, আমাদের দাবি ছিল কোটা ব্যবস্থার সংস্কার। প্রধানমন্ত্রী আপনি নিজ মুখে কোটা ব্যবস্থাই না রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। আপনার প্রতি আমরা আস্থাশীল। আশা করছি অতি দ্রুত সে ঘোষণা বাস্তবায়ন করবেন। প্রজ্ঞাপন দ্রুত জারির পদক্ষেপ নেবেন।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে হল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ, ফোন কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি কয়েক জনকে হল থেকে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস