বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: সরকারি চাকরিতে কোটা ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করাসহ ৫ দফা দাবিতে চলমান আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা প্রত্যাহারের পাশাপাশি আজ মঙ্গলবারের মতো অবস্থান ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শেষ করেছেন আন্দোলনকারীরা। আজ রাত সোয়া ৮টার দিকে তাঁরা আজকের মতো অবস্থান কর্মসূচি শেষ করার ঘোষণা দেন। আগামীকাল বুধবার সকাল ১০টায় আবারও এই একই দাবিতে আন্দোলন শুরু হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা। আজ মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে করে এ কথা জানান তাঁরা।
রাতে কয়েক হাজার আন্দোলনকারীর বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থানের পর বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঘোষণা দেন, কাল বুধবার সকালে আবারও তাঁরা আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করবেন।
বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. রাশেদ খান সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে তিনটি দাবির কথা তুলে ধরেন। দাবির মধ্যে রয়েছে—আটক ব্যক্তিদের মুক্তি, আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা ও কোটা সংস্কারের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সুনির্দিষ্ট ঘোষণা।
এর আগে সকালে এক সংবাদ সম্মেলন করে আন্দোলনকারীরা বিকলে পাঁচটার মধ্যে কোটা সংস্কার নিয়ে জাতীয় সংসদে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিতে বলেন। কিন্তু আন্দোলনকারীদের কথায় সাড়া দেননি কৃষিমন্ত্রী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিকেলে এই সংবাদ সম্মেলন করেন তাঁরা।
আন্দোলনকারীরা বলেন, সচিবালয়ে সরকারের সঙ্গে বৈঠকের একদিন পরই অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, বাজেটের পরে কোটা সংস্কারে হাত দেওয়া হবে। আমরা এমন দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া মেনে নেব না। সারা দেশে অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে দেশের সব কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করার আহ্বান জানান আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য্, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী সংসদে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানেরা সুযোগ পাবে না, রাজাকারের বাচ্চারা সুযোগ পাবে? তাদের জন্য মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংকুচিত হবে?’ তিনি বলেন, ‘রাজধানী কেন্দ্রিক একটি এলিট শ্রেণি তৈরির চক্রান্ত চলছে। তারই মহড়া গতকাল (রোববার) আমরা দেখলাম।’
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরিষ্কার বলতে চাই। মুক্তিযুদ্ধ চলছে, চলবে। রাজাকারের বাচ্চাদের আমরা দেখে নেব। তবে ছাত্রদের প্রতি আমাদের কোনো রাগ নেই। মতলববাজ, জামায়াত-শিবির, তাদের এজেন্টদের বিরুদ্ধে সামান্য শৈথিল্য দেখানো হবে না। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলব এদের ক্ষমা নেই, ক্ষমা করা যাবে না। হয় তারা থাকবে, নতুবা আমরা থাকব।’
বাংলা৭১নিউজ/জেএস