রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৪:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কমলাপুর আইসিডি’র নিয়ন্ত্রণ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়কে নিতে সুপারিশ ভোট কম পড়ার বড় ফ্যাক্টর বিএনপি : ইসি আলমগীর অভিবাসী কর্মীদের টেকসই ভবিষ্যৎ নির্মাণে কাজ করছে সরকার উপজেলা নির্বাচন : দ্বিতীয় ধাপে ৪৫৭ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন এখনো চলছে অটোরিকশাচালকদের বিক্ষোভ, ৩ বাস ভাঙচুর সাগরে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা: জেলেরা বলছেন ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ মেট্রোরেলে ভ্যাট বসানো এনবিআরের ভুল সিদ্ধান্ত : ওবায়দুল কাদের ভাঙ্গায় চেয়ারম্যানপ্রার্থীর উঠান বৈঠকে হামলা-ভাঙচুর সিঙ্গাপুরে হঠাৎ মাথাচাড়া করোনার, আক্রান্ত প্রায় ২৬ হাজার বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি সভাপতি কাজী খলীকুজ্জমান, সম্পাদক আইনুল ওএমএস–এ গাফলতি হলে জেল-জরিমানার হুঁশিয়ারি খাদ্যমন্ত্রীর এসএমই মেলা উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী একদল কুকুরের আক্রমণে প্রাণ গেলো যুবকের উখিয়ায় অস্ত্রসহ ৪ আরসা সদস্য গ্রেপ্তার বিশ্ববাজারে ইতিহাসের সর্বোচ্চ দামে সোনা বৃষ্টি হতে পারে সারাদেশে সফলতার সঙ্গে আমরা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি: মেয়র তাপস গবেষকদের দাবি: ভয়ঙ্কর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভ্যাক্সিনের টিকায় কানে নজর কাড়লেন কিয়ারা ঢাকায় আসছেন অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং

গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে ‘যাত্রাপালা’

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় মঙ্গলবার, ১০ এপ্রিল, ২০১৮
  • ৬৬২ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি: গ্রাম বাংলার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য যাত্রাপালা এখন একেবারেই বিলুপ্তির পথে। লোকসংস্কৃতির এক অতুলনীয় ভান্ডার আমাদের এই দেশ। সেই লোকসংস্কৃতির পরিধির এক সুবিশাল জায়গা জুড়ে রয়েছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যমূলক এই যাত্রাপালা। নিত্যনতুন কাহিনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র নয়, তবে চলচ্চিত্রের চেয়ে বিস্ময়কর এই যাত্রাপালা। প্রাচীন ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ত্ব বা রাজা বাদশাহদের ঐতিহাসিক জীবন কাহিনী ও অমর প্রেমকাহীনি নিয়ে রচিত হতো এই যাত্রা পালা। যা অধিকন্ত আমাদের দেশের গ্রাম সমাজে মঞ্চস্থভাবে প্রদর্শিত হতো।

আসন্ন নববর্ষ উৎসব “১লা বৈশাখ”। ১লা বৈশাখের মত বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেও মঞ্চস্থ হতো এই যাত্রাপালা। হিন্দু ধর্মীয় বিভিন্ন পূজোতেও যাত্রাপালা অভিনীত হতো। অতীতে শারদীয় দুর্গাপুজা থেকে শুরু হতো যাত্রা পালার মৌসুম। মৌসুম শুরু হবার এক থেকে দেড় মাস আগে থেকেই চলতো রিহার্সেল ও যাত্রাদলের বুকিং। যা পূর্বে বায়না হিসেব অভিহিত ছিল। এছাড়া তৎকালীন সময় জমিদার বাড়িতে বিভিন্ন উৎসবেও যাত্রার আসর বসানো হতো। নৌকায় ভাসমান অবস্থায়ও অভিনীত হতো এই যাত্রাপালা।

লোকসংস্কৃতির অন্যতম মাধ্যম যাত্রা পালার উদ্ভব সম্পর্কে বিভিন্ন মতবাদ সৃষ্টি হলেও ষোড়শ শতাব্দীকে যাত্রা পালার জন্মকাল ধরা হয়। ১৫০৯ সালে প্রথম যাত্রা অভিনীত হয় এবং সেই যাত্রার নাম ছিল- “রুক্ষ্মিণী হরণ”। তবে প্রকৃত অর্থে যাত্রা অভিনয়ের পরিচিতি হয় প্রায় আড়াইশ বছর পর।

যাত্রাপালার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে অনলাইন গণমাধ্যম উইকিপিডিয়ায় বর্ণিত আছে- যাত্রা প্রধানত চারঘন্টাব্যাপি বিপুল আয়োজনের বিনোদন। উচ্চ শব্দ ও চড়া আলোর ব্যবহারে এবং দৈত্যাকার মঞ্চে বিশেষ নাটকীয় ভাবভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হয়ে থাকে। যাত্রা একটি জনপ্রিয় লোকনাট্য ধারা।

একটা সময়ছিল যখন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কথা ভাবলেই গ্রাম বাংলার মানুষের চোখের সামনে যাত্রাপালা ভেসে উঠতো। তখন হয়তো এতো উন্নত প্রযুক্তির দ্বারা বেশি রিজুলেশন নিয়ে এতো ঝকঝকে চলচ্চিত্র নির্মিত হতো না। মানুষের হাসি-খুশি ও ঐতিহাসিক জীবনকাহিনী প্রদর্শনের একমাত্র চিত্র-মাধ্যম ছিল এই যাত্রা পালা। যা আজ একেবারেই বিলীন। গত শতকের ষাট দশকেও যাত্রা শিল্পের বেশ রমরমা অবস্থা ছিল। যা আজ একেবারেই বিলীন।

তথাকথিত সমাজে যাত্রাশিল্পীদের নিয়ে বিভিন্ন যাত্রা-দল গঠিত হতো। দলের শিল্পীরা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন রকমের যাত্রা প্রদর্শন করতো। তাদের কাহিনী প্রদর্শনীর মাধ্যমে মানুষ খুজে পেতো তাদের সুখ,দুঃখ,হাসি,কান্না ও বাস্তব জীবনের জ্ঞানের সমারোহ। তৎকালীন প্রদর্শিত যাত্রাগুলো হল- মহিষাসুর বধ, রাবণ বধ, রামের বনবাস, লাইলী-মজনু, শিরি-ফরহাদ, কমলার বনবাস, শহীদ কারবালা, সাইফুল-মুল্লুক, বদিয়াজ্জামাল, আলোমতী-প্রেম কুমার, কাশেম-মালার প্রেম, জোসনা তারা, ভিখারীর ছেলে, রাখাল বন্ধু, রহিম-রুব্বান, গুনাঈ বিবি, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ইত্যাদি।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com