বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানে ত্রুটির মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বিমানের ১১ কর্মকর্তা।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা শুনানি শেষে এই অব্যাহতির আদেশ দেন। একই সঙ্গে বিমানের যন্ত্রপাতি সম্পর্কে তাচ্ছিল্যপূর্ণ মনোভাবের জন্য আসামিদের মধ্যে তিনজনের বিরুদ্ধে দণ্ডিবিধির ২৮৭ ধারায় প্রসিকিউশন মামলার অনুমতি দিয়েছে।
অব্যাহতিপ্রাপ্তরা হলেন, বিমানের ইঞ্জিনিয়ার অফিসার নাজমুল হক, জুনিয়র টেকনিশিয়ান শাহ আলম, বিমানের প্রধান প্রকৌশলী (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী (কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স) এস এ সিদ্দিক ও প্রিন্সিপাল ইঞ্জিনিয়ার (মেইনটেন্যান্স অ্যান্ডসিস্টেম কন্ট্রোল) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা সামিউল হক, লুৎফর রহমান, বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, জাকির হোসাইন, প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রোকনুজ্জামান ও টেকনিশিয়ান সিদ্দিকুর রহমান।
এদের মধ্যে সিদ্দিকুর রহমান, নাজমুল হক, শাহ আলমের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন মামলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ৬ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক মাহবুব আলম মামলাটির ১১ আসামিকে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারা ও দণ্ডবিধির ১১৮ ও ১২০(খ) ধারার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ২৭ নভেম্বর বোয়িং-৭৭৭-৩০০ ইআর উড়োজাহাজটি প্রধানমন্ত্রীর বুদাপেস্ট সফরের জন্য ঠিক করা হয়। আসামিরা বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশল বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তা। তাদের ওপর এই উড়োজাহাজের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ছিল। আসামিরা ২৬ নভেম্বর ওই উড়োজাহাজ নিজেদের হেফাজতে নিয়ে রক্ষণাবেক্ষণ করেন। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়োজাহাজ ২৭ নভেম্বর সকাল ৯টা ১৪ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। উড়োজাহাজটি অনুমানিক দুই ঘণ্টা ২৮ মিনিট প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে উড়ার পর পাইলট ইঞ্জিনে তেল কমার লক্ষণ দেখতে পান। আর ৩০ মিনিট পর পাইলট ইঞ্জিনের তেলের চাপ আরও কমার লক্ষণ দেখতে পান।
এরপর বাংলাদেশ সময় ১টা ৫৮ মিনিটে ইঞ্জিনে তেলের চাপ লিমিটের নিচে নেমে আসায় উড়োজাহাজটি নির্ধারিত গন্তব্যের আগেই তুর্কিমিনিস্থানের রাজধানীতে পাইলট অবতরণ করতে বাধ্য হন। এ রপর বাম পাশের ইঞ্জিনের কাইরলং খোলা হলে ওয়েল প্রেসারের বি-নাট ঢিলা পাওয়া যায়। পরে তা মেরামত করে প্রধানমন্ত্রী উক্ত উড়োজাহাজেই বুদাপেস্ট যান।
এই ঘটনায় বিমান কর্তৃপক্ষ ওই বছরের ২৮ নভেম্বর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্তে আসামিদের দায়িত্ব পালনে অবহেলা এবং ব্যর্থতা উঠে আসে। এরপর ২০১৬ সালের ২০ ডিসেম্বর রাতে দণ্ডবিধির ১০৯/১১৮/১২০(খ)/২৮৭ এবং বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় বিমানের পরিচালক (ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট) এমএম আসাদুজ্জামান বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস