বাংলা৭১নিউজ,ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণ, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শান্তির প্রতীক পায়রা ও নানা রঙের বেলুন মুক্তকাশে উড়িয়ে, মুক্ত আলোচনা আর বর্ণিল শোভাযাত্রায় ‘ঐতিহ্যের ভিত্তি ধরি, দেশের ছবি রক্ষা করি’ শ্লোগান নিয়ে উদযাপিত হলো এবছরের জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস।
আজ মঙ্গলবার সকাল ন’টায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএফডিসি) চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্প অর্পণের মাধ্যমে দিবসটির সূচনা করেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি, তথ্যসচিব আবদুল মালেক, জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত প্রবীণ অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান, বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমির হোসেনসহ চলচ্চিত্র অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ মন্ত্রীর সাথে পুষ্প অর্পণে যোগ দেন।
এর পরপরই বিএফডিসি মঞ্চে দাঁড়িয়ে জাতীয় সংগীতের সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন তথ্যমন্ত্রী। এ মঞ্চেই দিবসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দের বক্তব্যের পর প্রধান অতিথি হিসেবে তথ্যমন্ত্রী দিবসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলা চলচ্চিত্রের ভিত্তি গড়ে দিয়ে গেছেন। চলচ্চিত্র নিয়ে তার সুদূর প্রসারী চিন্তা বিস্ময়কর। পঁচাত্তর সালের পর সামরিক জান্তাদের হাতে চলচ্চিত্র হোঁচট খায়। দেশ বিরোধীরা চলচ্চিত্র অঙ্গণকে ধ্বংস করতে অশ্লীলতা আর নকলের অন্ধকারে নিয়ে যায়। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপসংস্কৃতির বেড়াজাল থেকে মুক্ত হয়ে বাঙালিয়ানার পথে হাঁটতে চলচ্চিত্র আমাদের আলোর দিশারী।’
তথ্য প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেন, ‘সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শিল্পীরা সবার সামনে থাকেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এফডিসির প্রতিষ্ঠাতা আর শিল্পমনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করেছেন। প্রতিভা না থাকলে শিল্পী হওয়া যায় না। তাই শিল্পীদের সম্মান অক্ষুণœ রাখতে চলচ্চিত্রকে নিয়ে যেতে হবে নতুন মাত্রায়।’
তথ্য সচিব আবদুল মালেক বলেন, ‘১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তদানীন্তন প্রাদেশিক পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু উত্থাপিত বিলের মাধ্যমেই ঢাকায় চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠিত হয়, সূচনা হয় এদেশের চলচ্চিত্রের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা। সে ঐতিহাসিক অধ্যায় স্মরণেই ২০১২ সনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনটিকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ঘোষণা করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ঘোড়ার গাড়ী, নানা রঙের প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুনে সুসজ্জিত চলচ্চিত্র দিবসের শোভাযাত্রা বিএফডিসির প্রাঙ্গণ থেকে যাত্রা করে তেজগাঁও অঞ্চল প্রদক্ষিণ করে। তথ্যমন্ত্রী, তথ্য প্রতিমন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও তথ্যসচিবের সাথে চলচ্চিত্র অঙ্গণের শিল্পী-কলাকুশলী, প্রযোজক, নির্মাতা, পরিচালক, পরিবেশক ও প্রদর্শকসহ চলচ্চিত্রমোদী দর্শক ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সকল সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।
এর পাশাপাশি বিএফডিসি চত্বর ও এর বিভিন্ন ফ্লোরে দিনব্যাপী চলতে থাকে মেলা, টক-শো, লাল গালিচা সম্বর্ধনা, স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনী।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে এফডিসিতে প্রবীণ অভিনেতা সৈয়দ হাসান ইমাম, এটিএম শামসুজ্জামান, চিত্রনায়ক ফারুক, অভিনেত্রী সুজাতাসহ চলচ্চিত্র প্রযোজক, পরিবেশক, অভিনয়শিল্পী ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন নানা আয়োজন করে। সূত্র: বাসস।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস