বাংলা৭১নিউজ, ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুর সদর উপজেলার ১১ ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) শান্তিপূর্ণ পরিবেশে (২৯মার্চৃ) ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের ছয়জন, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী দুইজন ও বিএনপির তিনজন প্রার্থী বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রাথমিকভাবে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
এর মধ্যে ঈশান গোপালপুর ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগের মনোনীত শহিদুল ইসলাম মজনু নৌকা প্রতীক নিয়ে ৭ হাজার ৫৫২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মনোনীত প্রার্থী নুরুজ্জামান চৌধুরী পংকজ ধানের শীষ প্রতীকে ৪ হাজার ৮৮৬ ভোট পেয়েছেন।
গেরদা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের জাহিদুর রহমান নৌকা প্রতীকে ৭ হাজার ৮০৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির রেজাউল করিম পেয়েছেন ৬ হাজার ২৩৩ ভোট।
আলিয়াবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ওমর ফারুক ডাবলু ৪ হাজার ৫৩৭ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির সামসুল আলম বাবলু ২ হাজার ২৯২ ভোট পেয়েছেন।
অম্বিকাপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের আবু সাইদ চৌধুরী বারী পেয়েছেন ৩ হাজার ৯৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির জয়নাল আবেদীন চৌধুরী পেয়েছেন ২ হাজার ৭৫৮ ভোট।
কানাইপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বেলায়েত ফকির পেয়েছেন ১১ হাজার ২৩১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আহিদ মোল্লা পেয়েছেন ৮ হাজার ৮১৪ ভোট।
কৈজুরী ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ইফতেখার আহম্মেদ ইকু পেয়েছেন ১০ হাজার ২৭৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির নাজিম উদ্দিন ৫ হাজার ৭৬ ভোট পেয়েছেন।
ডিক্রীরচর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান মিন্টু ফকির পেয়েছেন ৪ হাজার ৬১২ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের সাদেকুজ্জামান মিলন পাল পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৩৮ ভোট।
মাচ্চর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জাহিদ মুন্সী পেয়েছেন ৬ হাজার ৮৫৯ ভোট। তার নিকটতম আওয়ামী লীগের সরোয়ার হোসেন সন্টু পেয়েছেন ৬ হাজার ৭৬৮ ভোট।
এছাড়া নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে বিএনপির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক ৬ হাজার ৪০৬ ভোট পেয়ে জয় পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের মোফাজ্জেল হোসেন পেয়েছেন ৫ হাজার ৫২১ ভোট।
চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে বিএনপির মির্জা আজম ৫ হাজার ৪০২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস