বাংলা৭১নিউজ, ডেস্ক: বহু স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে এই দেশটার সঙ্গে। যদিও তা খুব একটা মধুর নয়। তাও নিজের দেশ বলে কথা। শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী মালালা ইউসুফজাই তালিবান হামলার ছ’বছর পর পা রাখলেন পাকিস্তানে।
বৃহস্পতিবারই তিনি নিজের দেশের মাটিতে পা রেখেছেন। ২০১২ সালে পাকিস্তানি মেয়েদের শিক্ষিত হয়ে ওঠার পক্ষে মুখ খোলায় কপালে এসে বিঁধেছিল তালিবানের বুলেট। চিকিৎসার জন্য তাঁকে লন্ডন পাঠিয়ে দেয় পাকিস্তান সরকার।
চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি। সেদিনের ঘটনার ৬ বছর পর মালালা ইউসুফজাই আজ আন্তর্জাতিক একটি নাম। সকলেই একনামে চেনেন মালালাকে। পাকিস্তানের সেই সাহসী মেয়ে ৬ বছর পর নিজের দেশে ফিরলেন।
জানা গেছে, মালালা তাঁর বাবার সঙ্গে পাকিস্তানে এসেছেন। যদিও তাঁর নিরাপত্তার কারণে তাঁর সফর সম্বন্ধে গোপনীয়তা বজায় রাখা হয়েছে। তাই তিনি কোথায় যাচ্ছেন বা কখন যাচ্ছেন সে বিষয়ে কোনও কিছুই প্রকাশ্যে আনা হবে না।
তবে ৪ দিনের এই সফরে মালালা পাক প্রধানমন্ত্রী শাহিদ খাকান আব্বাসির সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২০ বছরের মালালা ইউসুফজাইকে ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কড়া নিরাপত্তার সঙ্গে নিয়ে আসা হয়।
২০১২ সালে মেয়েদের পড়াশোনার অধিকার নিয়ে সরব হয়েছিলেন মালালা। সে বছরের ৯ অক্টোবর সোয়াট উপতক্যায় তাঁর স্কুল বাস থামিয়ে তালিবানরা বাসে উঠে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে জিজ্ঞাসা করেছিল ‘কে এই মালালা’? এরপরই মালালার মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায় তালিবানরা।
এই ঘটনার পর মালালা মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক প্রতীক হয়ে ওঠেন এবং মেয়েদের জন্য শিক্ষার জন্য লড়াই শুরু করেন। মালালার চিকিৎসা চলে ব্রিটিশ সিটি অফ বার্মিংহামে।
লন্ডনেই তিনি তাঁর স্কুল শেষ করেন। ২০১৪ সালে মালালাকে শান্তির জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি তাঁর উচ্চশিক্ষার জন্য এখনও পড়াশোনা করে চলেছেন। জীবনের ঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও মালালা দেশে ফিরে আসায় খুশি অনেক পাক নাগরিকই।
সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে তাঁকে স্বাগত জানিয়েছেন তাঁরা। কিন্তু বহু কট্টরপন্থীর মতে, মালালা পশ্চিমী দালাল, দেশের লজ্জা। তাঁর এই পাকিস্তান সফর তাঁরা ভাল চোখে দেখছেন না।
বাংলা৭১নিউজ/সূত্র: আজকাল অনলাইন/বিকে