বাংলা৭১নিউজ, মাহাবুব রহমান সুমন, ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: প্রেমের টানে সুদূর সিঙ্গাপুর থেকে কুড়িগ্রামে ফুলবাড়ীতে ছুটে এসেছেন ফিলিপাইনের এক তরুণী।
গত ২৬ মার্চ কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও ওই তরুণীর প্রেমিক রুবেল আহমেদের বাড়িতে আসেন ইয়াসমিন নামের ফিলিপাইনের এ তরুণী।
গত বুধবার বিকালে ফুলবাড়ী উপজেলার সীমান্ত ঘেষা কাশিপুর ইউনিয়নের অনন্তপুর মাঠেরপাড় গ্রামে রুবেল আহমেদের বাড়িতে গিয়ে ওই তরুণীকে দেখা গেছে। ওই বিদেশী তরুনীকে একনজর দেখার জন্য রুবেল আহমেদের বাড়ীতে শত শত নারী-পুরুষ ও কিশোর-কিশোরীর ঢল নামে। প্রেমিক রুবেল আহমেদ জানান, সিঙ্গাপুরে একটি গ্লাস কোম্পানিতে কর্মরত থাকায় তার সাথে ফিলিপাইনের ফারান্দ ইসলামের মেয়ে ইয়াসমিনের সঙ্গে পরিচয়। সেই পরিচয় থেকেই তাদের মধ্যে পরিণয়।
রুবেল ১০ বছর ধরে সিঙ্গাপুরে থাকেন এবং বিগত ৫ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। সম্প্রতি রুবেল আহমেদ ছুটিতে বাংলাদেশে আসেন। দীর্ঘ পাঁচ মাস থেকে তাদের মধ্যে দেখা স্বাক্ষাত না থাকায় প্রেমের টানে ইয়াসমিন বাংলাদেশে তার কাছে চলে আসেন।
রুবেল আহমেদ বলেন, ইয়াসমিন আমার বাসায় আসার পর পরিবারের লোকজন বিষয়টি শুনে আমাদের সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয় এবং আমরা ২৫ মার্চ ঢাকায় একটি আদালতে এফিডেভিট করার মাধ্যমে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বর্তমানে আমরা দুই জনেই ইসলাম ধর্মমতে স্বামী-স্ত্রী। আমরা বাকিটা জীবণ এক সঙ্গে কাটাতে চাই।
রুবেলের বাবা বেলাল হোসেন জানান, আমি কৃষক মানুষ। ছেলের ভালোই আমার ভালো। তারা যেহেতু একজন আর একজনকে পছন্দ করে সেজন্য তাদের সুখের কথা চিন্তা করে আমরা তাদের সম্পর্ক মেনে নিয়ে কোর্টের মাধ্যমে তাদের বিয়ে দিয়েছি। বাড়ীতে অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই এলাকাবাসী ও আত্মীয়-স্বজনদের বৌ ভাত খাওয়ানো হয়েছে। এখনো ছেলের বিয়ের আনন্দ বইছে। সবাই আমার ছেলে ও ছেলের নতুন বউয়ের জন্য দোয়া করবেন যেন ভালো থাকে।
রুবেলের চাচা ও সাবেক ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক জানান, ২৭ মার্চ রুবেল ও ইয়াসমিনের বিয়ে উপলক্ষে বাড়িতে বৌভাতের আয়োজনও করা হয়েছে। এক সপ্তাহ পর নতুন এই দম্পতি আবারও সিঙ্গাপুরে তাদের কর্মস্থলে ফিরে যাবে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস