শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
আওয়ামী লীগ নয়, দেশ চালাচ্ছে অদৃশ্য শক্তি: মির্জা ফখরুল শাহ্জালাল ইসলামী ব্যাংকের ২৩ বছর পূর্তি উদযাপন ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত বিরোধীদের শেষ করে দিতে চান মোদী: কেজরিওয়াল কুয়েতে অবৈধভাবে প্রবেশের দায়ে পাঁচ বাংলাদেশি গ্রেফতার চিকিৎসাহীনতা : বাত-ব্যথায় ‘অল্প’ বয়সেই ‘বৃদ্ধ’ হচ্ছে মানুষ সরকার সিন্দাবাদের দৈত্য হয়ে জনগণের কাঁধে চেপে বসেছে প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রভাবিত হওয়া যাবে না: ইসি রাশেদা শাহবাগ থেকে অবরোধকারীদের সরিয়ে দিলো পুলিশ, আটক ১৩ মোহামেডানকে হারিয়ে কিংসের পঞ্চম শিরোপা কেনা সনদের তালিকা প্রস্তুত, জমা দেওয়া হবে কারিগরি বোর্ডে : হারুন বৃষ্টিতে ঢাকার বাতাসে দূষণ কমেছে একমাত্র নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন সম্ভব : হানিফ পল্টনে কুড়িয়ে পাওয়া শপিংব্যাগে ককটেল বিস্ফোরণে কিশোর আহত তিন সঞ্চালন লাইন চালু করল পিজিসিবি কোথাও জলাবদ্ধতা হলে হটলাইনে কল করতে বললেন মেয়র কুয়েতে রাজনৈতিক অস্থিরতা, সংসদ ভেঙে দিলেন আমির চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগাম আমের বাগান বিক্রিতে হিমশিম বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে সেতু মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির শ্রদ্ধা অ্যামেক্স, সিটিম্যাক্স কার্ড থেকেও ‘অ্যাড মানি’ করা যাচ্ছে বিকাশে

কোটি কোটি টাকার লোকসানের বোঝা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে পাবনা সুগার মিল

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২৮ মার্চ, ২০১৮
  • ৪৯০ বার পড়া হয়েছে

বাংলা71নিউজ,আফতাব হোসেন,চাটমোহর(পাবন)প্রতিনিধি: উত্তরাঞ্চলের রাষ্ট্রায়াত্ত ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান পাবনা সুগার মিল মোট ৬০একর জমির উপর দাঁড়িয়ে থাকলেও কোটি কোটি টাকা লোকশানের বোঝা মাথোয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এছাড়া অবশিষ্ট ৪৫ একর জমিতে আবাসিক স্থাপনাসহ অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে।
১৯৯২ সালের ২৭শে ডিসেম্বর সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পাবনা সুগার মিলের ভিত্তি উদ্বোধন করেন। ১৯৯৬-৯৭ মাড়াই মৌসুমে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যায় পাবনা সুগার মিলটি। ১৯৯৭-৯৮ সালে বানিজ্যিকভাবে এই মিলের উৎপাদন শুরু হয়। দীর্ঘ ২০ বছর ধরে লোকশানের বোঝা মাথায় নিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে মিলের কার্যক্রম। এই মিলে ৭’শজন শ্রমিক কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। ৩৪৫ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে ঈশ্বরদীর দাশুড়িয়ায় অবস্থিত পাবনা সুগার মিলের ২০১৭-১৮ মৌসুমের আখ মাড়াই শেষ হয়েছে।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে ৬০ হাজার মেট্রিক টন আখ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল। ৪২ দিন চালু থাকার পর এই মৌসুমের মতো মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। মিলের মাড়াই মৌসুমের সময়সীমা বৃদ্ধি করতে িশ্রমিক-কর্মচারীরা নিজেরাও আখ উৎপাদন শুরু করছেন। একই সাথে আখ চাষীদের আখের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তারা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। চাষীদের আখের ফলন বৃদ্ধিতে নিয়মিত সেচ, সার ও কীটনাষক প্রদানের জন্য নানা ধরনের পরামর্শ প্রদান করে চলেছেন।
পাবনা সুগার মিলের ওয়াকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, মিলের নিজস্ব জমি না থাকায় আখ উৎপাদন সম্ভব হচ্ছেনা। মিল থেকে প্রতি বছর মাড়াই মৌসুমে আখ সরবরাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হলেও পর্যাপ্ত আখ চাষ না হওয়াতে লক্ষমাত্রা পূরণ হয়না। ফলে নির্ধারিত সময় মতো মিল উৎপাদন করতে পারেনা।
পাবনা সুগার মিলের ওয়াকার্স ইউনিয়নের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন বলেন, বর্তমানে এই মিলে মোট ৬০ একর জমি রয়েছে। যার মধ্যে ১৫ একর লেগুন হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এছাড়া অবশিষ্ট ৪৫ একর জমিতে আবাসিক স্থাপনাসহ অন্যান্য স্থাপনা রয়েছে। অলাভজনক এই মিলে বহুমুখী উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য পাবনা সুগার মিলের আরও জমির প্রয়োজন রয়েছে। প্রতি বছর এই মিলে চাষীরা যে আখ সরবরাহ করে থাকেন তাতে নির্ধারিত সময় মতো মিল চলতে চায়না।
বাংলাদেশ চিনিকল আখচাষি ফেডারেশনের সাধারন সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্বর্ণ পদক প্রাপ্ত আখ চাষী আলহাজ্ব শাহজাহান আলী পেঁপে বাদশা বলেন, এই মিলের চাহিদার চেয়ে তুলনামূলক আখ সরবরাহ অনেক কম। আখ স্বল্পতার কারণে প্রতি বছর নির্ধারিত সময়ের আগেই মিলটি বন্ধ হয়ে যায়। মিলকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে আখ চাষ বৃদ্ধি করতে হবে।
পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, পাবনা সুগার মিলে প্রতিদিন এক হাজার ৫০০ মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে বার্ষিক ১৫ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে। মিলটির কোন পরীক্ষা মূলক খামার না থাকায় আখের উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন ও চাষীদের মাঝে সরবরাহ করতে না পারায় চাষীরা আখচাষে নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছেন। ফলে চাষীরা মিলটিতে চাহিদা অনুযায়ি আখ সরবরাহ করতে পারছেন না।
বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা কেন্দ্রের মহাপরিচালক ড. আমজাদ হোসেন বলেন, চিনিকলের প্লান্টেশন বাড়াতে আমরা ভ্যারাইটি আখের উন্নত জাতের বীজ উৎপাদন করে চলেছি। আমাদের উৎপাদিত আখের বীজ চাষীদের মাঝে ইতোমধ্যে প্রদান করা হয়েছে। নতুন জাতের এই আখ রোপন করে চাষীরা ভালো ফলন পেয়েছে। মিলের মাড়াই মৌসুমের সময়সীমা বৃদ্ধিতে এবং মিল চালু রাখতে আখের পাশাপাশি যে সম¯Í ফসল দিয়ে চিনি উৎপাদন হয় তা দিয়ে মিলকে চিনি উৎপাদনে যেতে হবে। মাড়াই মৌসুমে পর্যান্ত পরিমাণে আখ সরবরাহ করা হলে মিলের লোকসান কমে গিয়ে আগামিতে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রুপান্তনিত হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com