শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ০৮:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
সাগরে লঘুচাপ, বন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত চট্টগ্রামে মার্কেটে ভয়াবহ আগুন, নিহত ৩ ভারত আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু: ওবায়দুল কাদের বিষয় ছাড়া কীভাবে ডায়ালগ হবে? প্রধানমন্ত্রীকে ড. ইউনূসের প্রশ্ন সব ধরনের সবজির বাজার উচ্চমূল্যে স্থিতিশীল পাউবো’র ৮টি জোনের মধ্যে প্রথম স্থানে ফরিদপুর মুখোমুখি বিতর্কে বাইডেনের চেয়ে ট্রাম্প এগিয়ে আজ ফুটবলার রাউল গঞ্জালেজের জন্মদিন ‘খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, দায় সরকারের না’ ৪০ লাখ ডলার জেতার আনন্দে হার্ট অ্যাটাক করলেন তিনি নতুন শিক্ষাক্রমে গ্রামের অভিভাবক খুশি, আপত্তি শহুরে বাবা-মায়ের আল-আকসার ইমামের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগ আনল ইসরায়েল ডিএনসিসির অভিযানে ৬০টি অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে ১০ বিঘা ভূমি উদ্ধার আমের রপ্তানি বাড়াতে কাজ করছে সরকার : কৃষিমন্ত্রী তিন সেতু থেকে টোল আদায় ১৪৭২ কোটি টাকা ফল ও সবজির রপ্তানি বাড়াতে পর্যাপ্ত এয়ার কার্গো চান ব্যবসায়ীরা এবি ব্যাংকের মোংলা সমুদ্রবন্দর উপশাখার উদ্বোধন শুক্রবার ভোট, কে হচ্ছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট বাহাউদ্দিন নাছিমের সঙ্গে হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের মতবিনিময় সভা টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন বর্তমান সরকারের অঙ্গীকার

ইটভাটায় পুড়ছে কাঠ, ফসলি জমির মাটি

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ২৪ মার্চ, ২০১৮
  • ১৪৫ বার পড়া হয়েছে

বাংলা71নিউজ,আফতাব হোসেন,চাটমোহর(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার চাটমোহর উপজেলার ইটভাটাগুলোতে ব্যাপকহারে কাঠ পোড়ানো হচ্ছে। একই সাথে পুড়ছে কৃষি জমির মাটি। ভাটা মালিকরা সরকারি আইন-কানুনের কোন তোয়াক্কা করছেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রচ্ছায়ায় লাইসেন্সবিহীন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমোদন ছাড়াই চলছে ইটভাটা।

অনুসন্থানে জানা গেছে, চাটমোহর উপজেলায় কতটা ইটভাটা আছে, এগুলোর কোন অনুমোদন আছে কিনা, তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হয়েছে কিনা-তা জানেনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তর। পুরাতন ফাইল থেকে জানা গেলো, এ উপজেলায় ১২টি ইটভাটা রয়েছে। নতুনভাবে ইটভাটা স্থাপন হলেও, তার তথ্য জানা নেই সংশ্লিষ্ট দপ্তরের। উপজেলার গুনাইগাছায় লাইসেন্স ও অনুমোদন ছাড়াই ‘সিটিবি ব্রিকস’ এবং চরসেনগ্রামে ‘ডিএসএ ব্রিকস ফিল্ড’ চালু হয়েছে। এছাড়া হরিপুরে ‘মল্লিক ব্রিকস ফিল্ড’নামের আরেকটি ইটভাটা চালু হয়েছে।

যা উপজেলা প্রশাসনের নজরেই নেই। এই ৩টি ইটভাটা ইচ্ছেমতো কৃষি জমি ব্যবহার করছে। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ ও বাঁশের মোথা। তাদের কোন প্রকার অনুমোদন কিংবা লাইসেন্স নবায়ন নেই। সরকার রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে আর পরিবেশ হচ্ছে বিপন্ন। ইটভাটায় ব্যাপকহারে কাঠ ও কৃষি জমির মাটি ব্যবহার করায় যেমন উজার হচ্ছে বৃক্ষরাজি,তেমনি উর্বরতা শক্তি হারিয়ে ফেলছে কৃষি জমি। অনেক কৃষক না বুঝেই জমির মাটি বিক্রি করছেন। প্রতিদিন রাতে নছিমন কিংবা ট্রলি যোগে ইটভাটায় ঢুকছে শ’শ’ মণ কাঠ। বিনাশ হচ্ছে বাঁশ ঝাড়ও।

প্রতি বছর অন্ততঃ ৬ মাসে একটি ইটভাটায় ৮০ লাখ থেকে দেড় কোটি ইট প্রস্তুত হয়। চাটমোহর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ হাসান রশীদ হুসাইনী জানান,কৃষি বিভাগের কোন প্রকার প্রত্যায়ন ছাড়াই ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে। পরিবেশবাদীদের অভিমত, ইট উৎপাদনের ক্ষেত্রে পরিবেশের উপর প্রভাব স্পষ্ট। বিশেষ করে কৃষি জমি ও কাঠের ব্যবহার মহামারী আকার থারণ করেছে। ইটভাটা স্থাপনের ক্ষেত্রে কোন আইন ও নিয়মের তোয়াক্কা করা হচ্ছে না। আইন থাকলেও তা প্রয়োগ করছে না সংশ্লিষ্টরা। পরিবেশ বাঁচানোর জন্য এখনই যত্রতত্র ইটভাটা স্থাপন বন্ধ করতে হবে। চাটমোহর উপজেলা

নির্বাহী কর্মকর্তা সরকার অসীম কুমার জানান, কোন ইটভাটায় কাঠ পোড়ানো যাবে না। ইতোমধ্যে ইটভাটাগুলোর ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। যাদের লাইসেন্স নেআ বা লাইসেন্স নবায়ন নেই এবং যারা আইন অমান্য করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com