বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:১২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
কর্ণফুলীতে ভেসে উঠলো নিখোঁজ দুই পর্যটকের মরদেহ ফায়ার সার্ভিস কর্মীকে চাপা দেওয়া ট্রাকচালক ধরা পড়ল শিক্ষার্থীদের হাতে সিরিয়ায় আসাদপন্থিদের ‘অতর্কিত হামলায়’ ১৪ নিরাপত্তা সদস্য নিহত ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সচিবালয় এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার, দুই প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন আট-নয় তলার নথিপত্র সব পুড়ে গেছে বলে ধারণা ফায়ার ডিজির পঞ্চগড়ে বইছে শৈত্যপ্রবাহ ভারতের মহারাষ্ট্রে ১৭ বাংলাদেশি গ্রেপ্তার অন্তর্বর্তী সরকারের উদারতা জাতিকে অনন্তকাল ভোগাবে : হাসনাত আব্দুল্লাহ স্বৈরাচার পালিয়ে গেলেও দেশকে অস্থির করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে ভেতরে প্রবেশ করছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা লামায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ড. ইউনূসের নিন্দা আগুনের সূত্রপাত কীভাবে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি : ফায়ারের ডিজি সচিবালয়ের আগুন ৬ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে সড়কে পড়ে আছে ফায়ারকর্মী নয়নের হেলমেট ও তাজা রক্ত সচিবালয়ে আগুন: যে হুঁশিয়ারি দিলেন আসিফ মাহমুদ আগুন ৬ তলায় লেগে উপরে গেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সবাই একসঙ্গে শান্তিতে থাকতে চাই : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে থেকে পড়ে বিদ্যুতায়িত, দুই শ্রমিকের মৃত্যু ‘আমাদের একমাত্র লক্ষ্য শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করা’

যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকে জয়ের ২৫০০ কোটি টাকা : উৎস নিয়ে খালেদা জিয়ার প্রশ্ন

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় শনিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৬
  • ১৫৭ বার পড়া হয়েছে

বাংলা৭১নিউজ, ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অভিযোগ করেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ব্যাংক হিসাবে আড়াই হাজার কোটি টাকা (তিন শ মিলিয়ন ডলার) জমা আছে। যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে একটি মামলার নথিতে এটি আছে বলে তাঁর দাবি।

বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০-দলীয় জোটের শরিক জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) ৩৬-তম জাতীয় সম্মেলনে খালেদা জিয়া এ কথা বলেন। আজ শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

খালেদা জিয়া প্রশ্ন করেন, এই টাকা কোথা থেকে গেছে? এই টাকার উৎস কী? তাদের আরও কত টাকা আছে, বাংলাদেশের মানুষ তা জানতে চায়? বাংলাদেশের মানুষ মনে করে, এই টাকা বাংলাদেশের জনগণের টাকা। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে অর্জিত বিপুল টাকা বিদেশে পাচার করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে। তিনি এর তদন্ত দাবি করে টাকা ফিরিয়ে আনার দাবি জানান। এই টাকার ব্যাপারে সরকারের নীরবতায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রীর পুত্রের টাকার কথা ধামাচাপা দিতে প্রবীণ সাংবাদিক শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। কারারুদ্ধ আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকেও এই মামলায় জড়িয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, এই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে, তাঁরা নাকি প্রধানমন্ত্রীর পুত্রকে অপহরণ ও হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন। অথচ যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের রায়েই এ ধরনের অভিযোগকে নাকচ করে দেওয়া হয়েছে। এভাবে মিথ্যা প্রচারণা, অত্যাচার, নানা ইস্যু সৃষ্টি করে সরকার তাদের অপরাধগুলো ঢেকে রাখতে চায়। জনগণের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে দিতে চায়।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, দেশ–জাতির এক গভীর সংকটকাল চলছে। দেশে গণতন্ত্র নেই। জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার নেই। বৈধ সংসদ নেই। তথাকথিত সংসদে কোনো কার্যকর বিরোধী দল নেই। নির্বাচনী ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। বাংলাদেশে সুশাসন নেই। সুবিচার নেই। রাষ্ট্রীয় প্রথা ও প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। আইনের শাসন নেই। নেই কোনো মানুষের নিরাপত্তা। সরকার কাউকে কোথাও কোনো নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তবু দাবি করছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক। যা কিছু ঘটছে, তা সব বিচ্ছিন্ন ঘটনা। দেশে কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক অবস্থা নেই। প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন মানুষ খুন হচ্ছে। নারী ও শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না।

সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুপ্তহত্যা এবং অতর্কিতে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। ব্লগার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, লেখক, প্রকাশক, বিদেশি নাগরিক, দূতাবাস কর্মী ও বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের লোকেরাও এ ধরনের হামলা ও হত্যার শিকার হচ্ছে। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচার নিশ্চিত করতে পারছে না সরকার। বরং তারা এর দায়-দায়িত্ব চাপাচ্ছে বিরোধী দলের ওপর। এতে তদন্ত প্রভাবিত হচ্ছে এবং প্রকৃত অপরাধীরা আড়ালে থেকে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি সরকারে আসার পর জঙ্গিবাদী তৎপরতাকে কঠোর হাতে দমন করেছিল। জঙ্গিনেতাদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনা হয়েছিল। তাদের নেটওয়ার্ক সম্পূর্ণ অকার্যকর করে ফেলা সম্ভব হয়েছিল।

খালেদা জিয়া বলেন, ‘বিএনপি একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে প্রতিবেশীসহ সব দেশের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ মৈত্রীর সম্পর্ক চায়। আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সব দেশের সঙ্গে সব সমস্যা নিরসনের নীতিতে বিএনপি বিশ্বাসী। তবে একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে সবকিছুই করা হবে সমমর্যাদার ভিত্তিতে। কারও কাছে মাথা নত করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি বর্তমান শাসকেরা বেশি দিন ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবে না।

তাই তাদের বলব, দেশের মানুষের ওপর নির্ভর করুন। দেশের অভ্যন্তরে যে সংকট, তা দেশের ভেতরেই আলাপ-আলোচনার পথে নিরসন করুন। সময় দ্রুত বয়ে যাচ্ছে। আর সময়ক্ষেপণের চেষ্টা করবেন না।’

বাংলা৭১নিউজ/এসএইচবি

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৪ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com