শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৩:০৬ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম
পার্লামেন্টের নারী স্পিকারদের সামিট এক অনবদ্য প্ল্যাটফর্ম টেক্সাসে ভারী বৃষ্টি-ঝড়, নিহত ৭ বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকরা কেন ঢুকবে, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের দুই ম্যাচ আগেই কিংসকে ‘উপহার’ বাফুফের বৃষ্টিতে ফরিদপুরের পাটচাষিদের ৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হামলা আরও জোরালো করতে পারে রাশিয়া, আশঙ্কা জেলেনস্কির ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে লাগা আগুন নিয়ন্ত্রণে মেয়র তাপসের বক্তব্যের ব্যাখ্যা দিতে সংবাদ সম্মেলনে সাঈদ খোকন সকালের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি রাজধানীবাসীর কানে ঐশ্বরিয়ার লুক নিয়ে নেটপাড়ায় হাসির রোল টাঙ্গাইলে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো ২ ভাইয়ের ভারতে চলন্ত বাসে আগুন, ৮ জনের প্রাণহানি বাংলাদেশের তরুণীকে ভারতে নিয়ে পতিতাবৃত্তি, আজ আদালতের রায় ইভিএম ব্যবহারে ব্যাপক প্রচারের নির্দেশ ইসির ধোলাইখালে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৪ ইউনিট সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১০ হজযাত্রীদের হেলথ চেকআপে বিকাশ পেমেন্টে ছাড় মদিনায় চলতি বছরে প্রথম বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু মঞ্চেই জুতা ছিঁড়লো মমতার, সেফটিপিন লাগিয়ে পা মেলালেন নৃত্যে শারজাহ থেকে আসা যাত্রীর শরীরে মিললো সাড়ে চার কোটি টাকার সোনা

পর্দা নিয়ে মন্তব্য করে বিপাকে অধ্যাপক

বাংলা ৭১ নিউজ
  • আপলোড সময় বুধবার, ২১ মার্চ, ২০১৮
  • ৬৮ বার পড়া হয়েছে
সোশাল মিডিয়ায় তরমুজ দেখিয়ে বিক্ষোভ।

বাংলা৭১নিউজ ডেস্ক: জৌহর মুন্নাভির কেরালার একটি কলেজে সমাজবিজ্ঞানের অধ্যাপক। তিনি নিজেও যেমন মুসলমান, তেমনই ঐ কলেজের ৮০% ছাত্রীও মুসলিম।
নিজের ছাত্রীদের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেছেন, যে তারা নাকি “পর্দা করে ঠিকই, তবে তার নীচে লেগিংসও পড়ে। অনেক সময়ে পর্দাটা একটু তুলে আবার লেগিংসও দেখায়ও। মুফতাহ-র কথা তো ছেড়েই দিন। একটা শাল জড়িয়ে নেয় – যাতে বুকের কিছুটা অংশ দেখা যায়।”
নিজের ছাত্রীদের নিয়ে মন্তব্য এখানেই শেষ নয় ঐ অধ্যাপকের।
“পুরুষমানুষের কাছে নারীদের বুক একটা আকর্ষণের জায়গা। সেজন্যই ঢেকে রাখা উচিত সেটা। কিন্তু আমাদের মেয়েরা বুকের একটা অংশ প্রদর্শন করে। আমরা যেমন তরমুজটা পাকা কী না সেটা দেখার জন্য যেমন একটু কেটে দেখে নিই, সেরকমভাবেই যেন ছাত্রীরা বোঝাতে চায় শরীরের বাকিটাও ওই অংশটার মতোই,” মন্তব্য ঐ অধ্যাপকের।
মি. মুন্নাভির এসব কথা বলেছিলেন যে মুসলমান নারীদের পর্দা করা কতটা আবশ্যক এবং তারা যেভাবে পর্দা করে, সেটা যে অ-মুসলিম কায়দা, সেটা বোঝানোর জন্য।

পথে নেমেছেন কেরালার বিক্ষোভকারিরা।


ফারুক ট্রেনিং কলেজের ওই অধ্যাপকের এই ভাষণ সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আর তারপরেই যেমন রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে ছাত্র সংগঠনগুলি। তেমনই ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যমেও।
উমা নামের এক টুইট ব্যবহারকারী ওই ঘটনার কথা তুলে ধরে বলেছেন “মুসলিম পুরুষদের উচিত এই লোকটাকে চাবকানো।”
ফেমিনিচি স্পিকিং নামের আরেকজন টুইট করে ওই অধ্যাপককে ‘ব্রেস্ট অবসেসর’ নামে অভিহিত করে বলেছেন, “নারীদের স্তন তাদের শরীরের অংশ।”
ছাত্রীদের সম্পর্কে কী করে একজন অধ্যাপক এরকম অশালীন মন্তব্য করতে পারেন? এটাও জানার ছিল যে তিনি কী তাহলে ছাত্রীদের পোশাকের দিকেই নজর রাখেন?
সেটা জানতে ফোন করেছিলাম ঐ অধ্যাপকের মোবাইলে। সেটি বেজে গেল। কোনও উত্তর পাওয়া গেল না।
তারপরে ফারুক ট্রেনিং কলেজের অধ্যক্ষ ড. সি. এ. জৌহরের দুটি মোবাইলেও ফোন করলাম। সে দুটিও কেউ ধরল না।
তবে কেরালার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে নজরে পড়ল ঐ অধ্যক্ষের একটি মন্তব্য।
তিনি বলেছেন, যে ভিডিওটি নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে, সেটি বেশ কিছুদিনের পুরনো। ঐ অধ্যাপক কলেজের ছুটির সময়ে নানা জায়গায় কাউন্সেলিং করান। সেরকমই কোনও জায়গায় ওই ভাষণ দিয়েছেন তিনি।
আর কলেজ চত্বরের বাইরে যেহেতু ঘটনা এটি, কোনও ছাত্র-ছাত্রী অভিযোগও জানায় নি, তাই কলেজের এ ব্যাপারে কিছু করার নেই।
তবে যে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর ওই বেসরকারি পরিচালনাধীন কলেজটির অধ্যাপকদের বেতন দেয়, তাই বিষয়টি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা।

বাংলা৭১নিউজ/জেএস

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরও সংবাদ
২০১৫-২০২৩ © বাংলা৭১নিউজ.কম কর্তৃক সকল অধিকার সংরক্ষিত।
Theme Dwonload From ThemesBazar.Com