বাংলা৭১নিউজ,শেখ আব্দুল মজিদ,সিলেট অফিস: আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরবাসীকে জল্বদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত রাখতে গাভীয়ারখালে আবারো অভিযান শুরু করেছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
শনিবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে এ অভিযান শুরু হয়। অভিযানে গাভীয়ারখালের গতি পরিবর্তন করে দেয়াল নির্মাণ করায় তা ভেঙ্গে দেন তিনি। এর আগে ২০১৩ সালে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বিজয়ী হওয়ার পর গাভীয়ারখাল উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। উদ্ধারের পর সে সময় এই ছড়া দিয়ে স্পিডবোর্ড ও নৌকা চলাচল করান মেয়র। এর পর দীর্ঘ দিন কারাগারে থাকার কারনে ফের গাভীয়ারখাল অবৈধ দখলকারীদের কবলে পড়ে ছড়ার অস্থিত্ব হারায় গাভীয়ারখাল। ছড়ার দু’পাড়ে গড়ে উঠে বাসা-বাড়িসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা।
খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে দখল হয়ে যাওয়া নগরীর নবাবরোড এলজিডি কার্যালয়ের পেছনের অংশ ভাঙ্গার কাজ শুরু করেন মেয়র আরিফ। এসময় সিসিক মেয়র বলেন, ‘সিলেট নগরীর অন্যতম সমস্যা নগরীর ভেতর দিয়ে প্রবাহনমান ছড়া-খাল দখল ও ভরাট হয়ে যাওয়া। এরফলে বাধাগ্রস্ত হয় নগরীর পানি নিষ্কাষণ, দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। এ থেকে উত্তরণে নেয়া হয় নানা উদ্যোগ।
২০১৩ সালে একই লক্ষ্যে প্রকল্পের মাধ্যমে গাভীয়ারখাল উদ্ধার করে সেখানে স্পিডবোর্ড ও নৌকা চলাচল করিয়েছি’। এরপর দীর্ঘ সময় কারাগারে থাকায় ফের দখলে চলে যায় গাভীয়ারখাল। মেয়র বলেন, এখন আর কেউ ছড়া, খাল, ড্রেন দখল করতে পারবেনা। দখলকারীদের খোঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, দখলদাররা যত বড় প্রভাবশালী হোক না কেন তার বিরুদ্ধে এ্যাকশনে আছে সিসিক।
ছড়া-খাল রক্ষায় বার বার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করলেও এতো দিন নগরবাসী এর তেমন সুফল ভোগ করতে পারেননি উল্লেখ করে সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানান, এখন থেকে ছড়া, নালা, খাল, ড্রেন উদ্ধারে কাউকে ছাড় নয়; বরং এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করবে সিসিক। আসন্ন বর্ষা মৌসুমে নগরীতে আর তেমন জলাবদ্ধতা হবার আশংকা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ছড়া-খাল উদ্ধার করে তা রক্ষার উদ্যোগ নগরবাসীকেও নিতে হবে। কোন ধরণের দখলদারিত্ব হলে তাৎক্ষনিক সিটি মেয়র বা সিসিক কর্তৃপক্ষকে জানানোর আহবান জানান নূর আজিজুর রহমান। এছাড়া নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ছাড়া ছড়া নালা, ড্রেনে আবর্জনা না ফেলতে নগরবাসীকে অনুরোধ করেন সিসিকের এই কর্মকর্তা। অভিযানে সিসিকের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এডভোকেট ছালেহ আহমদ, মখলিছুর রহমান কামরান, সিসিকের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী আলী আকবর, শামছুল হক পাটোয়ারীসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস