বাংলা৭১নিউজ,বাগেরহাট প্রতিনিধি: বাগেরহাটের মোল্লাহাটে সুমাইয়া আক্তার নিরমা (২১) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এই অভিমানে বৃহষ্পতিবার সকালে স্বামী ইমরান বিশ^াসও (২৬) গলায় রশি দিয়ে আতœহত্যা করেছেন।
বৃহষ্পতিবার বেলা বারোটার দিকে পুলিশ মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের সরোসপুর গ্রাম থেকে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠাচ্ছে। পুলিশ নিহত গৃহবধূর শরীরে আঘাতে চিহ্ন পেয়েছে। এই দম্পতি মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের সরোসপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের বরাত দিয়ে মোল্লাহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ স ম ভায়রুল আনাম বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের সরোসপুর গ্রামের ইমরান বিশ^াস পারিবারিক কলহের জেরে তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তারকে প্রহার করেন। এতে তার স্ত্রী সুমাইয়া অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে পাশ^বর্তি গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ওই গৃহবধূর মুখ থেকে রক্ত ঝরলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওই গুহবধূর স্বামী তাকে খুলনায় না নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে তার মৃত্যু হয়। স্ত্রীর মৃত্যু হওয়ায় স্বামী ইমরান বিশ^াস বৃহষ্পতিবার সকালে ঘরের আড়ার সাথে রশি দিয়ে ঝুলে আতœহত্যা করেন।
তিনি আরও বলেন, সাত মাস আগে মোল্লাহাট উপজেলার কোদালিয়া ইউনিয়নের সরোসপুর গ্রামের জাফর বিশ^াসের দিন মজুর ছেলে ইমরানের সাথে একই গ্রামের আবু বক্কর শেখের মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ হতো। এই বিবাদের জেরে বুধবার সন্ধ্যায় স্বামী ইমরান ক্ষুব্দ হয়ে সুমাইয়াকে মারধর করে। তার হাতে স্ত্রীর মৃত্যু হওয়ায় স্বামী ইমরান পুলিশের হাত থেকে রেহাই পেতে আতœহত্যার পথ বেছে নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করছেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। নিহত গৃহবধূর গলায়, ঘাটে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তাদের দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
বাংলা৭১নিউজ/জেএস